(এই চিঠিটি তৈরি হয় 'ঈশানের পুঞ্জমেঘ' ফেসবুক গ্রুপে। দীর্ঘদিন ধরেই দৈনিক যুগশঙ্খের 'রবিবারের বৈঠক' নিয়ে নিয়ে এখানে ওখানে এবং ঈশানের পুঞ্জমেঘে কথা হচ্ছিলই। শেষে ঠিক হলো সবাই মিলে পত্রিকা সম্পাদককেই একটি চিঠি লেখা যাক। একটি খসড়া তৈরি হলো। সবার মতামত নেয়া হলো। অনেকেই দিলেন, যেগুলো এই ব্লগ পোষ্টের শেষে রয়েছে। এবং দরকারি পরিবর্তন করে ফেসবুক পোষ্ট মুছে দিয়ে সম্পাদককে পাঠানো হলো প্রায় মাসখানিক আগে। সপ্তাহ তিনেক অপেক্ষা করা হলো যদি চিঠিটি প্রকাশ পায়। যেকোনো আভ্যন্তরিণ কারণেই চিঠিটি প্রকাশ পায় নি। এবং পাবে না বলে আমরা নিশ্চিত হয়ে একে আন্তর্জালে প্রকাশ্যে নিয়ে আসছি। ----- পত্রলেখকদের একজন---সুশান্ত কর। )
প্রতি
সম্পাদক,
দৈনিক যুগশঙ্খ পশ্চিম বাংলা বা
ত্রিপুরার থেকে যতটা বাংলা সংবাদ পত্র প্রকাশিত হয়, আসাম থেকে যতটা অসমিয়া সংবাদ পত্র প্রকাশিত হয় তার তুলনাতে
আসামে বাংলা সংবাদপত্রের সংখ্যা খুবই কম। তার উপরে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকাতে টিকে
থাকতে বহু লড়াই করতে হয়। আরো দুইএকটি যদিও সেই লড়াইতে নেমেছিল, টিকে থাকতে পারে নি। ফলে এখন বলতে গেলে
সবেধন নীলমণি এই একটি দৈনিক যুগশঙ্খ। গত বছর কয় ধরে যুগশঙ্খের কলকাতা সংস্করণ
বেরোচ্ছে, এবং মাস কয় ধরে
আন্তর্জালে ইউনিকোডে আসছে। এবং লেখকদের থেকে লেখাও ইউনিকোডে চাওয়া হচ্ছে। এই সবই
যুগশঙ্খের সঙ্গে আমাদের সবার কাছেই গৌরবের বিষয়। গোটা পূর্বোত্তরের বাঙালি প্রদেশে
প্রদেশে বিচ্ছিন্ন ভাবে বাস করেন, তায়
অসমে দুই উপত্যকাতে বিচ্ছিন্ন। এক উপত্যকার মানুষের সংবাদ আরেক উপত্যকাতে পাবার
উপায় থাকে না। ভাববিনিময় তো দূর। সেখানে যুগশঙ্খ এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোর মধ্যে
একটি সাঁকোর ভূমিকাতে নেমেছে দেখে আমাদের স্বপ্ন আশার বিস্তার ঘটেই চলেছে।
কিন্তু পাঠক হিসেবে আমাদের অতৃপ্তির
জায়গাও কম নেই। বিশেষ করে আমরা যারা লেখালেখির জগতের মানুষ তাদের ‘রবিবারের বৈঠক’ নিয়ে কিছু কথা বলবার আছে। অন্যান্য ক্রোড়পত্রের মতো ‘রবিবারের বৈঠক’ নিয়েও যুগশঙ্খ বছর কয় ধরে পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গেছে
আমরা লক্ষ করেছি। কিন্তু সেসব কতদূর আভ্যন্তরীণ কারণে, আর কতটা পাঠক লেখকের আগ্রহের সমীক্ষার মধ্য দিয়ে হয়েছে সেই
নিয়ে আমাদের সংশয় আছে।
সাম্প্রতিক
কালে দেখেছি ‘রবিবারের বৈঠক’
স্বতন্ত্র ক্রোড়পত্র হিসেবে বেরোচ্ছে না,
মূল কাগজের মাঝেই অতিরিক্ত পৃষ্ঠা জুড়ে
দেয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে আমার সাপ্তাহিক রাশিফল জুড়ে দেয়া হচ্ছে। লেখকরা যেখানে
সমাজের সবচাইতে অগ্রণী অংশ বলে আমরা জেনে এবং ভেবে এসেছি সেখানে তাদের জন্যে
বরাদ্দ পাতাতে রাশিফল অত্যন্ত বেমানান। কাগজটি যেহেতু পূর্বোত্তর ভারত থেকেই নিয়ন্ত্রিত সেখানে
আমাদের বৌদ্ধিক স্তর নিয়েই বিষয়টি একটি ভুল বার্তা দেয়। কিন্তু আমাদের ক্ষোভের
বিষয়টি আরো গভীর। বছর কয় ধরে দেখছি যুগশঙ্খ ভারতের বাংলা সাহিত্যের প্রতিনিধি হয়ে
উঠবার চেষ্টা করছে। পূর্বোত্তরের বাইরে বাকি ভারত বলতে গেলে পশ্চিমবাংলাই মূলত। সেখানকার লেখালেখির পাশে
সামান্য জায়গা পূর্বোত্তরের লেখকদের জন্যে বরাদ্দ থাকছে। তর্ক উঠতেই পারে, বাংলা সাহিত্যের আবার অঞ্চল বিভাজন কেন?
যুগশঙ্খ হয়তো, লেখা যেখানকারই হোক ভালো লেখাতে বিশ্বাসী হয়ে উঠছে।
কিন্তু বাস্তবে সেই বিশ্বাস নিয়ে আমাদের
সমস্যা আছে। ভালো মন্দ যে লেখাই হোক, পূর্বোত্তরের
লেখালেখির মঞ্চ কম। যুগশঙ্খ যদিও বা সামান্য স্থান বরাদ্দ করছে, ‘ভালো সাহিত্যে’র প্রকাশক অন্য কাগজগুলো তো সেইটুকুনও করে না। গোটাটাই মূলত
পশ্চিম বাংলা, আরো বিশেষ করে লিখলে
কলকাতা দিয়ে পাতা ভরিয়ে দেয়। ফলে আম জনতার মধ্যে এমন এক বদ্ধধারণা রয়েছে, যে বাংলা সাহিত্য মাত্রেই কলকাতার
সাহিত্য। আর সেখানকার সাহিত্যের জন্যে মঞ্চের অভাব নেই। সেখানে যুগশঙ্খও যদি তাই
করে, তবে আর আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন
বাঁচে কী করে? রবিবারের বৈঠক নিয়ে
আমাদের আলাদা আগ্রহ থাকবে কেন? ভালো
সাহিত্যের জন্যে আমরা আনন্দবাজার, আজকাল,
বর্তমানের দিকে ঝুঁকব না কেন? তারা আরো ‘ভালো লেখা’ সংগ্রহ
এবং প্রকাশ করে। আমাদের আগ্রহ উজ্জীবিত হতে পারে, যদি ছবিটা উলটো হয়। অর্থাৎ পূর্বোত্তরের লেখালেখির ভিড়ে এক
চতুর্থাংশ বাকি ভারতের লেখালেখির জায়গা করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, বাংলাতে লেখালেখি মানে এই নয় যে কেবল গল্প কবিতা আর সাহিত্য
সমালোচনা। একটা সময় দেখেছিলাম, ‘রবিবারের
বৈঠক’ গুয়াহাটি থেকে
সম্পাদিত হচ্ছিল। আর সঙ্গীত নাটক শিক্ষা সমাজ ইত্যাদি বিচিত্র বিষয় নিয়ে
সমালোচনাত্মক নিবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছিল। কারো প্রথম প্রকাশ অভিজ্ঞতা, প্রথম মঞ্চ অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখানো
হচ্ছিল। স্বতন্ত্র পাঠকের মতামতও আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম। দুই উপত্যকাতে একই সংস্করণ
ছিল। ফলে শিলচরের লেখক শিল্পীদের চিনতে জানতে পারছিলেন তিনসুকিয়া বা ডিব্রুগড়ের
মানুষজন, অথবা উল্টোটা হচ্ছিল।
ভাবের আদানপ্রদানের যেখানে এমনিতে এক বড় বাধা রয়েছে, সেই বাধা কাটিয়ে তুলছিল রবিবারের বৈঠক। ফলে লেখক শিল্পীদের
মধ্যে এমন আগ্রহ দেখা দিয়েছিল যে একে অন্যকে জিজ্ঞেস করতেন আজকের রবিবারের বৈঠকে
অমুকের লেখা পড়েছেন? বরাকে হয়তো সেসব কম
অনুভূত হত, কেননা সেখানে আরো কাগজ
রয়েছে। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র উপত্যকাতে রীতিমত সেটি একটি আন্দোলনের চেহারা নিচ্ছিল।
অনেকেই যেন জীবনে প্রথম জানছিলেন, আসামেও
এতো লেখালেখি হয়, গান হয়, কবিতা নাটক হয়! অনেকেই উৎসাহিত হয়ে বহু
জায়গাতে বাংলা সাময়িক পত্র শুরু করছিলেন। নতুন ভাবনা নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি
আয়োজন করতে শুরু করছিলেন। সেরকম কিছু অনুষ্ঠানে দৈনিক যুগশঙ্খ, ব্যতিক্রম মাসিক পত্রিকার সম্পাদকদের
অতিথি করে ডেকে নেবার উৎসাহও আমরা দেখেছি---সেটা লোকেরা করতেন কেননা সম্পাদনা
গোষ্ঠীকে এরা সাংস্কৃতিক এবং বৌদ্ধিক নেতৃত্ব বলে ভাবতে শুরু করেছিলেন। শুধু তাই
নয়, পূর্বোত্তরে আন্তর্জালে বাংলা প্রচারের
নেতৃত্বদায়ী গোষ্ঠী ‘ঈশানের
পুঞ্জমেঘ---একটি বাংলা গোষ্ঠী’---রবিবারের
বৈঠককে প্রায় সহযোগী সংগঠনে পরিণত করেছিল। বহু লেখকের সন্ধান আসলে হয় এখানে পাওয়া
গেছে, অথবা বিপরীতে
রবিবারের বৈঠকের লেখককে আন্তর্জালে এনে বাংলাতে লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতি সপ্তাহে এই গোষ্ঠীতে রবিবারের বৈঠক সহ অন্যান্য কাগজের সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র
নিয়ে আলোচনা হতো। ফল-স্বরূপে রবিবারের বৈঠকে একটি পাঠক অভিমতের কোনও ক্রমেই দেখা
দিয়েছিল।
সর্বোপরী অনেকে রবিবারের বৈঠক পড়েই একে অন্যকে যুগশঙ্খের গ্রাহক হবার জন্যে উদ্বুদ্ধ
করছিলেন। কিন্তু সম্পাদনার দায়িত্ব কলকাতা কার্যালয়ে চলে যেতেই, এবং কলকাতা গুয়াহাটি শিলচরের সংস্করণ এক
হতেই সেই উৎসাহে ভাটা পড়ে। এখন আর রবিবারের বৈঠকের কথা কেউ কাউকে বলে না।
আমাদের
নিম্নস্বাক্ষরকারীদের অনুরোধ বাণিজ্যের সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক যুগশঙ্খ নিজের অজান্তে
যে সামাজিক দায় বহন করছিল তা অব্যাহত থাকুক। ক্রোড়পত্রটিকে আবার আগের চেহারাতে
ফিরিয়ে আনা হোক। শিলচর গুয়াহাটির অভিন্ন কিন্তু স্বতন্ত্র সংস্করণ হোক।
পূর্বোত্তরের সাহিত্য এবং সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে পরিচিত এবং নতুন প্রতিভা তৈরির
কাজে দায়বদ্ধ কাউকে সম্পাদনার দায়িত্ব দেওয়া হোক, পূর্বতন সম্পাদকদের কাঁধে যদি আপনাদের দায়িত্ব দিতে কোনো
অসুবিধে থাকে তবে। রবিবারের বৈঠকের তিন চতুর্থাংশ কেবল পূর্বোত্তরের জন্যেই
নিবেদিত হোক। বরাক-ব্রহ্মপুত্র সহ মেঘালয়-ত্রিপুরা-নাগাল্যাণ্ডের বাংলা এবং
বাঙালির সাঁকোর ভূমিকা পালন করুক।
একটি অভিযোগ ছিল যখন গুয়াহাটি থেকে
সম্পাদিত হচ্ছিল , তখন বুঝি ব্রহ্মপুত্র
উপত্যকার প্রতি পক্ষপাত হতো। এই সব অভিযোগ থাকবেই। যারা করছিলেন, তারা সম্ভবত এই উপত্যকার বিকল্পহীনতার
প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন না। তবু, এই
পক্ষপাত এড়াতে বরাক ব্রহ্মপুত্রের দুই লেখক ব্যক্তিত্বকে সম্পাদনার যৌথ দায়িত্ব
দেওয়া যেতে পারে।
... ইতি বিনীত
সারা পূর্বোত্তর ভারত থেকে
রণবীর পুরকায়স্থ, রাইহানা বারি, জাহানারা
মজুমদার, প্রলয় নাগ, মানবরতন মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা সেনগুপ্ত, পরিতোষ তালুকদার,
সেলিম মোস্তফা, মাশুরুল বারি, কৃষ্ণজ্যোতি দেব, পার্থসারথি দত্ত, মনিষ সিংহ রায়, শিবানী
ভট্টাচার্য, এফ হাসান লস্কর, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ত্বা হা আমিন, মৃন্ময় দেব, মৃন্ময়
রায়, মধুমিতা সেনগুপ্ত, নীলদীপ সেনগুপ্ত, জাকির হুসেইন, অমিতাভ চক্রবর্তী,
চন্দ্রানী পুরকায়স্থ, কপোতাক্ষী ব্রহ্মচারী, রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ,নীলাদ্রি ভট্টাচার্য,
সৌমিত্র ঘোষ, নীলমণি দে, মুস্তফা লস্কর, প্রদ্যোত গোস্বামী, পারিজাত এন ঘোষ, সমর
বিজয় চক্রবর্তী , চিরশ্রী দেবনাথ, অভীক কুমার দে, অমিতাভ সেনগুপ্ত, প্রদীপ
সেনগুপ্ত, পিঙ্কু চন্দ , অপর্ণা দেব, কৃষ্ণেন্দু রায়, অলক বিশ্বাস, ত্রিদেব চৌধুরী, লীনা নাথ ,
অশোকানন্দ রায়বর্ধন, ধনঞ্জয় চক্রবর্তী, আবিদা মজুমদার , শঙ্খ সেনগুপ্ত , বিদ্যুৎ চক্রবর্তী , পার্থঙ্কর চৌধুরী এবং সুশান্ত কর।
n ---
n Ranabir Purkayastha মানতেই হবে গুয়াহাটি
থেকে সম্পাদিত 'রবিবারের বৈঠক'আসামের বাঙালিকে এক
স্বতন্ত্র পরিচয় দিয়েছিল।
ফিরে আসুক অতীত গৌরব।
ফিরে আসুক অতীত গৌরব।
n Raihana Bari Sushanta
Kar--- দাদা
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত, এরকম ধারণা আমার নিজের ও হয়েছে, আর কিছু বলার নাই, আপনি সবকিছুই বর্ননা
করে বুঝিয়ে বলেছেন, তাই বলতেই হয় '"রবিবারের বৈঠক'" আগের অবস্হানে ফিরে
আসলে নিশ্চিত ভালোই হবে।
n Manab Ratan Mukherjee যে বনে সিংহ থাকে না
সে বনে শিয়াল রাজা হয় , আর শিয়ালের রাজত্বে প্রজারা কেমন দিন কাটায় সহজেই
অনুমেয় । যুগশঙ্খ ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার একমাত্র বাংলা সংবাদ পত্রিকা, আর রবিবারের বৈঠক
একমাত্র সাহিত্যের জানালা । এই একমাত্র পত্রিকাই এখন আসাম বিশেষত ব্রহ্মপুত্র
উপত্যকার সাহিত্যের রাজত্ব চালাচ্ছে । সুশান্তবাবুর সাথে সম্পুর্ণ ভাবে একমত হয়ে
বলছি এখনের রবিবারের বৈঠকে ব্রহ্মপুত্র উপত্যাকার কোন গুরুত্বই নেই । একই অভিযোগ
হয়তো বরাক থেকেও উঠছে । যদি এখান থেকে কোন নতুন বাংলা কাগজ প্রকাশিত হয় তাহলে
যুগশঙ্খ ছাড়তে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করব না ।
n Adima Mazumder এরকম একটি পত্রিকায়
রাশিফল মেনে নেয়া যায় না। দ্বিতীয়ত , কিছুদিন থেকে মনের ভেতর সুশান্ত কর মহাশয়ের এই চিঠির
প্রতিটি লাইন যেন আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। প্রকাশ করার মতো সুযোগ পাচ্ছিলাম না।
কতো গল্প পাঠালাম একটা ও প্রকাশ হলো না। তখন ভাবছিলাম নিশ্চয় পত্রিকাটি কোনো না
কোনোভাবে কলকাতার হয়ে গেছে। একটু আধটু সাহিত্য ভালোবাসি বলে, 'রবিবারের বৈঠকে'র প্রতি আলাদা একটা
আকর্ষণ অনুভব করি। যাক, এই চিঠির দৌলতে যদি আমাদের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার হয়
আশার আশায় রইলাম।
n Sushanta KarGroup
admin যারা
মন্তব্য করে সহমত জানালেন তাঁদের নাম যাবে চিঠিতে। কিন্তু অনেকে লাইক করেছেন। তাতে
কিছু বোঝা যাচ্ছে না। স্পষ্ট অভিমত দিলে ভালো।
n Paritosh Talukdar আমার মনে হচ্ছে অসমকে
ঠিক মতো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।আগে ফোন আসত লেখা চেয়ে।এখন সব বন্ধ।লেখার জন্য
সম্মান দক্ষিণাও পেতাম।মাঝ পথে সব বন্ধ হয়ে গেল।কলকাতা যাওয়ার পর যুগশঙ্খের
চরিত্র বদলে গেল।কলকাতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।ওখানে অনেক বাংলা পত্রিকা
আছে...See more
n Selim MustafaGroup
admin হ্যাঁ
। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । ত্রিপুরার দৈনিক সংবাদেরও রবিবারের ক্রোড়পত্রে এখন
কোলকাতার লোকদেরই রমরমা । আহামরি লেখা কিছু নয় । তবু কোলকাতার লোকদের প্রাধান্য
থেকে যাচ্ছে । ওরা সুযোগ নিচ্ছে । কারণ, শুনেছি ক্রোড়পত্রের দপ্তরটা হচ্ছে কোলকাতায় । এই
হ্যাংলা...See more
n Mashurul Bari বৈদ্যনাথ বাবুর স্বপ্ন
বুজি ডানা মেলেছে!
Sushanta Kar স্যার আমিও আপনার সাথে একমত। সাগরে কি আর নদীর অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়?
Sushanta Kar স্যার আমিও আপনার সাথে একমত। সাগরে কি আর নদীর অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়?
n Krishnajyoti Deb আমিও একমত। যুগশঙখ পড়া
প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। আপনার শুভ প্রচেষ্টায় আবার পড়ার সুযোগ আসবে।
n Parthasarathi Dutta সত্যি কথা বলতে কী
একটা সময়
ধারাবাহিকভাবে কবিতা,গল্প,প্রবন্ধ,চিঠিপত্র, সাংস্কৃতিক প্রতিবেদন লিখতাম৷ পমরকাশিত কবিতাগুচ্ছ নিয়ে তো 'দৈনিক যুগশঙ্খের কবিতা ও অন্যান্য কবিতা 'নামে আমার কাব্য গ্রন্হও বেরিয়েছে৷ মাঝে মাঝে সাম্মানিকও পেয়েছি৷ ফরমায়েসি লেখাও কর্তৃপক্ষের অনুরোধে লিখেছি ৷ কলকাতায় অফিস হপার পর সমস্ত কিছু পরিবর্তিত হয়ে গেছে৷ ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার লেখকদের লেখা প্রায় থাকছেই না৷ এখন 'ব্যতিক্রম' ও অন্যান্য লিটল ম্যাগে এবং অসমিয়া পত্রপত্রিকায় বেশি করে লিখতে হচ্ছে৷ কেন এমন হলো৷ আগের পরিবেশ ফিরে আসার অপেক্ষায় রইলাম
ধারাবাহিকভাবে কবিতা,গল্প,প্রবন্ধ,চিঠিপত্র, সাংস্কৃতিক প্রতিবেদন লিখতাম৷ পমরকাশিত কবিতাগুচ্ছ নিয়ে তো 'দৈনিক যুগশঙ্খের কবিতা ও অন্যান্য কবিতা 'নামে আমার কাব্য গ্রন্হও বেরিয়েছে৷ মাঝে মাঝে সাম্মানিকও পেয়েছি৷ ফরমায়েসি লেখাও কর্তৃপক্ষের অনুরোধে লিখেছি ৷ কলকাতায় অফিস হপার পর সমস্ত কিছু পরিবর্তিত হয়ে গেছে৷ ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার লেখকদের লেখা প্রায় থাকছেই না৷ এখন 'ব্যতিক্রম' ও অন্যান্য লিটল ম্যাগে এবং অসমিয়া পত্রপত্রিকায় বেশি করে লিখতে হচ্ছে৷ কেন এমন হলো৷ আগের পরিবেশ ফিরে আসার অপেক্ষায় রইলাম
n
n
n Write a reply...
n
n
n
n Sibani Bhattacharjee কলকাতায় যুগশঙ্খের
কতটুকু আদর হয়েছে জানিনা। আমি তো আশেপাশের কোনো হকারের কাছে পত্রিকাাটা দেখিনা।
মাঝখান থেকে অসমের সাহিত্য আন্দোলনের ক্ষতি হয়েছে। পত্রিকাটি সম্পর্কে আমার ও
অভিযোগ আছে,, পাঁচ ছয় বছর আগে আমার
অন্তত ছ-সাতটি গল্প--বড়দের এবং শিশুদের মিলিয়ে----ছাপিয়েছে, একবার ও খবরটুকু দেয়নি
যে গল্পগুলো ছাপাচ্ছে। আমি নিজের উদ্যোগে ই-পেপারে দেখে নিতাম। বরাকএর আরো দুটো
পত্রিকার মান ও বেশ ভালো ছিল, ইদানীং কিছুটা পড়েছে, নববার্তা এবং সাময়িক
প্রসংগ। এই পত্রিকা দুটো ব্রহ্মপুত্র কে কভার করতে পারলেও খারাপ হতনা। নববার্তায়
সুরমাগাঙ্গের পানি প্রকাশিত হত, আরো কিছু ভালো লেখা পড়েছি।
n Sibani Bhattacharjee তবে যুগশঙ্খ আবার
সমস্ত অসমের বাংলাসাহিত্যের মুখপাত্র হলে তো ভালোই। একটা অঞ্চলে এরকম একটা
প্রচেষ্টার দরকার আছে।
n ত্বা-হা আমিন প্রস্তাব গৃহীত হলে
আমি আবার বরাকের গল্প লিখতে বসব। যুগশঙ্খই আমার লেখা একবার হলেও ছেপেছিল। অবশ্য
আমিও কেউ না সাধলে লিখি না, বিনে পয়সায় তো বিলকুল না । পরশু থেকে ফেসবুক থেকে
অবসর নিচ্ছি লিখব বলে। তাও আমাকে গুণতিতে ধরতে ইচ্ছে হলে পারেন। প্রস্তাব গৃহীত
হলেই একটি
গল্প পাঠাব Arijitদা, যা আপনাকে ছাপতেই হবে।
দাবী নয়, অধিকার নয়, উৎসাহও নয় — ভাল গল্প লিখতে পারব
জেনেই বলছি। এক্ষেত্রে পারিশ্রমিকও নেব না। অন্তত এই গল্পে। আপনি জানেন কেন নেব
না। অঙ্গীকারটাও তো যুগশঙ্খেই করেছিলাম, মনে আছে আপনার?
n Neeldeep Chakraborty অসমের কাগজ সুতরাং
এখানকার সাহিত্যকে বিশ্ববাংলার দরবারে পরিচিত ও উৎসাহিত করাবার দায়িত্ব না নিলে
ভবিষ্যতে কাগজটির গুরুত্ব ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে হাসাহাসি খোদ কলকাতাই করবে, এখন যেমন করে! আমার
পরিচিত কিছু কলকাতার বাসিন্দাদের এই কাগজের কথা জিজ্ঞেস করে উত্তর পেলাম, 'ওসব বাদ দে, আনন্দবাজার পড়' ! গোসা আর অভিমান হল, তাদের জন্য, যারা এখন আমাদের
লেখালেখি ছাপাতে খুব কৃপণ ! আমার নিজের পাড়াতেই 17 জন যুগসংখ ত্যাগ
করেছেন শুধুমাত্র 'রবিবারের বৈঠক' পাল্টে যাওয়ায় ।
n Manish Sinha Roy আমি কলকাতায় থাকি l কলকাতার বাইরের
লেখকদের লেখা নিয়েই বিশেষ আগ্রহী ছিলাম l কেননা সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত আছি , তাই কলকাতার বাইরের
লেখদের তুলে ধরাতেই আমার আগ্রহ l ভেবেছিলাম কলকাতায় আসামের সংবাদ ও আসামের লেখকদের
তুলে ধরবে যুগশঙ্খ l প্রথম প্রথম তাই যুগশঙ্খ
নিতাম l এখন আর রাখি না l কারণ আসামের সংবাদ ও
লেখকদের লেখা থাকে না l ধীরে ধীরে যুগশঙ্খ তার অন্যরকম চরিত্রটাও হারিয়ে
ফেলছে l কলকাতার সংবাদপত্রের
মানসিকতা অনুসরণ করছে l
n Manish Sinha Roy শুধু স্মারক লিপি নয় , আলাদা আলাদাভাবে
প্রত্যেকে যুগশঙ্খের চিঠির পাতায় এবং মালিককে ব্যক্তিগত ঠিকানায় চিঠি লিখুন l প্রতিবাদের চিঠির
বন্যা বইয়ে দিন l
n Sushanta KarGroup
admin Amitabha Dev Choudhury, Sanjay
Bhattacharjee, Avijit Chakraborty, অৰ্জুন দাস, Samar Deb, Samarbijoy Chakraborty, Biswaraj Bhattacharjee, Sayan Biswas, DrPinki Purkayastha Chandrani, Rajesh
Chandra Debnath, রাজেশ শর্মা, জ্যোতির্ময় সেনগুপ্ত,...See more
n
n
n Write a reply...
n
n
n
n Kapotakshi Brahmachary Chakraborty আনন্দবাজার, টেলিগ্রাফ এ দুটোই
কলকাতায় বেশি চলে, এর পর যুগশঙ্খ রাখার
বা পড়ার আর সময় কোথায় এখানে? পড়া হয় না আমারও!
n Mustafa Laskar সহমত , তবে মাজে মাজে
যুগশঙ্খের সম্পাদকীয় ও উত্তর সম্পাদকীয় কট্টর সাম্প্রদায়িকতায় ভরে উঠে , উপত্যকার আর্থ সামাজিক
উন্নয়ন তথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে গুরুত্ব চাই , রোবিবাসরেও এটার
প্রতিফলন চাই l
n Sushanta KarGroup
admin আপাতত
কার লেখা ছাপবে কি না ছাপবে, সেই সংশয় থাক না। কেমনতর কাগজটি দেখতে চাই, সেই নিয়ে কথা হোক না।
n Nilmani Dey Sushanta
Kar আমার
লেখা উত্তর-পূর্বের মানুষ সম্বন্ধ আর্যাবর্তের শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে।
n Sushanta KarGroup
admin বেশ
তো, সে আপনি লিখুন। এখন
লিখুন বা তখন লিখুন। সম্পাদক মণ্ডলি অনুমোদন জানালে প্রকাশ করবে। কিন্তু এখানে তো
প্রসঙ্গ ভিন্ন। এরা যদি পূর্বোত্তরের লেখালেখি প্রায় ছাপাবেনা বলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে
রেখেছেন, তবে আর ওখানে আপনি
লিখবেন কী করে? আর আমরা চিঠিটি সামগ্রিক
স্বার্থের কথা ভেবে লিখেছি, সেখানে লেখক, পাঠক সমাজ সবার কথা রয়েছে দেখুন।
n Manish Sinha Roy কাগজ তার মালিক কিভাবে
চালাবে সে ব্যপারটা আলাদা l এখানে "রবিবারের বৈঠক " আলোচনা ও
প্রতিবাদের মূল বিষয় থাক l
n
n
n Write a reply...
n
n
n
n Samarbijoy Chakraborty আমার মনে হয়,Ranabir Purkayastha বা Tapadhir
Bhattacharjee-এর
মতো একজন মালিক Bijoy Nath-এর
সংগে কথা বললে 'সংকুলান' হয়ে যাবে।
n Sushanta KarGroup
admin Samarbijoyদার প্রস্তাবটি মন্দ নয়। সেসব হোক। এই চিঠি সম্পর্কে
আপনার অভিমত বলুন। আপনি থাকছেন?
n Sushanta KarGroup
admin এখানে
তো আমরা চাইছিই সবাই এই চিঠির সংগে থাকুন। এটা সম্পাদকের প্রতি পত্র বিভাগে ছাপার
জন্যে পাঠাবো। বিপরীত পরামর্শতো থাকবার কোনো প্রশ্নই নেই। আমার মনে হয় আপনি
প্রসঙ্গটি ধরতে পারছেন না। চিঠিটি আবার পড়বার অনুরোধ রইল। আপনি যদি সহমত পোষণ করেন, তবে 'হ্যা, আছি' বললেই চলবে।
n
n
n Write a reply...
n
n
n
n Chirasree Debnath এটা তো, অবশ্যই হওয়া উচিত, এখানকার দৈনিক
পত্রিকাগুলোর যে শারদীয় সংখ্যা বের হয়, এসবেও উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাইরের অনেক লেখা থাকে, আমার মনে হয়, এসব ক্ষেত্রে এ
অঞ্চলের লেখকদের লেখা বেশী হওয়া উচিত, না হলে আর লিখে কি লাভ। আমি আপনার সঙ্গে সহমত
n Amitava Sengupta স্থানীয় স্তরে আরো
আরো লেখা , লেখক উঠে আসুক ,এইসব পত্রিকার
রবিবাসরীয় ক্রোড় পত্রে ...
লেখা আহ্বান ও করা হোক
লেখা আহ্বান ও করা হোক
n Pinku Chanda উত্তরপূর্বাঞ্চালের
সাহিত্যকে তুলে ধরাই হোক যুগশঙ্খের প্রধান দায়িত্ব. কেননা এখানেই তার নাডির
সম্পর্ক ।
n Sushanta KarGroup
admin এটা
চলতে থাকুক, যত বেশি সম্ভব
স্বাক্ষরের জন্যে বন্ধুদের বলুন। এখানে না থাকলে কপি পেষ্ট করে পড়িয়ে সম্মতি আনুন।
যত বেশি হবে সম্পাদক তত বেশি ভাবনা তে পড়বেন। না যেন মনে হয় এ কিছু মানুষের হুজুগে
আবেদন..জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সম্পাদকীয় দফতরে পাঠিয়ে দেব.... ...See more
n
n Write a reply...
n
n
n Tridev Choudhury সঙ্গে আছি। এতে
যুগশঙ্খের ও লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না। কারণ পাঠক বাড়বে। এই কথাটা চিঠিতে জুড়ে দেওয়া
যায় কি না ভেবে দেখুন।
n
n
n Write a reply...
n
n
n
n
n
n Write a reply...
n
n
n
n Sushanta KarGroup
admin আপাতত
এই নাম গুলো হলো। আরো নাই চাই যদি বলুনঃ
রণবীর পুরকায়স্থ, রাইহানা বারি, জাহানারা মজুমদার, প্রলয় নাগ, মানবরতন মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা সেনগুপ্ত, পরিতোষ তালুকদার, সেলিম মোস্তফা, মাশুরুল বারি, কৃষ্ণজ্যোতি দেব, পার্থসারথি দত্ত, মনিষ সিংহ রায়, শিবানী ভট্টাচার্য, এফ হাসান লস্কর, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ত্বা হা আমিন, মৃন্ময় দেব, মৃন্ময় রায়, মধুমিতা সেনগুপ্ত, নীলদীপ সেনগুপ্ত, জাকির হুসেইন, অমিতাভ চক্রবর্তী, চন্দ্রানী পুরকায়স্থ, কপোতাক্ষী ব্রহ্মচারী, রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ,নীলাদ্রি ভট্টাচার্য, সৌমিত্র ঘোষ, নীলমণি দে, মুস্তফা লস্কর, প্রদ্যোত গোস্বামী, পারিজাত এন ঘোষ, সমর বিজয় চক্রবর্তী , চিরশ্রী দেবনাথ, অভীক কুমার দে, অমিতাভ সেনগুপ্ত, প্রদীপ সেনগুপ্ত, পিঙ্কু চন্দ , অপর্ণা দেব, কৃষ্ণেন্দু রায়, অলক বিশ্বাস, ত্রিদেব চৌধুরী এবং সুশান্ত কর
রণবীর পুরকায়স্থ, রাইহানা বারি, জাহানারা মজুমদার, প্রলয় নাগ, মানবরতন মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা সেনগুপ্ত, পরিতোষ তালুকদার, সেলিম মোস্তফা, মাশুরুল বারি, কৃষ্ণজ্যোতি দেব, পার্থসারথি দত্ত, মনিষ সিংহ রায়, শিবানী ভট্টাচার্য, এফ হাসান লস্কর, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ত্বা হা আমিন, মৃন্ময় দেব, মৃন্ময় রায়, মধুমিতা সেনগুপ্ত, নীলদীপ সেনগুপ্ত, জাকির হুসেইন, অমিতাভ চক্রবর্তী, চন্দ্রানী পুরকায়স্থ, কপোতাক্ষী ব্রহ্মচারী, রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ,নীলাদ্রি ভট্টাচার্য, সৌমিত্র ঘোষ, নীলমণি দে, মুস্তফা লস্কর, প্রদ্যোত গোস্বামী, পারিজাত এন ঘোষ, সমর বিজয় চক্রবর্তী , চিরশ্রী দেবনাথ, অভীক কুমার দে, অমিতাভ সেনগুপ্ত, প্রদীপ সেনগুপ্ত, পিঙ্কু চন্দ , অপর্ণা দেব, কৃষ্ণেন্দু রায়, অলক বিশ্বাস, ত্রিদেব চৌধুরী এবং সুশান্ত কর
n
n Write a comment...
n
1 টি মন্তব্য:
সহমত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন