“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭

আঁচল


।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন।।
















কল বাকদান ব্যর্থ হয়
কারো জন্যে শব্দের ইমারত ওঠে না
তবুও কলম নিয়ে নির্বাক বসে থাকা
সময়কে ঠেলে পেরিয়ে যাব বলে
দ্রুত ছুটে চলা এক হঠকারী সিদ্ধান্ত
যতোই স্পন্দন সুস্থির আছে বলে বিশ্বস্ত
কালচত্বর বেয়ে ঘুণের রাজত্ব বেড়েছে গোপনে
শরীরের অনেক প্রত্যঙ্গ বাজিতে হেরে বসে আছি
দেউলিয়া হবার আগে সব দেনা
শোধ করে যেতে হবে, ফিরে যেতে হবে
সেই নির্ধারিত নদীর প্রস্তাবিত চরের আঁচলে
এতো জল খেলাম সাত ঘাটের, সাত ধারার নামে
তবুও অনন্ত তৃষ্ণা গেল কই?
সুবর্ণ পিপাসাই বুঝি টেনে টেনে রাখে
তুমি কী তারই ভাড়খাটা জনমজুর
আমার পিপাসু বুকে হাতুড়ি পেটাও অসময়ে ৷

কোন মন্তব্য নেই: