“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭

অর্গলহীন ২


(যোরহাটের শুভলক্ষ্মী আর ত্রিপুরার সুরলক্ষ্মীকে মনে রেখে।শুভলক্ষী যোরহাটের সেই মেয়ে যে শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে এক বুক ভয় নিয়েও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে । আর সুরলক্ষী আমাদের ঘরের মেয়ে-যাকে কোন বি এস এফ শ্লীলতাহানি করতে গেলে প্রতিবাদ করায় গুলী করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ । )














 ।।পার্থ প্রতিম আচার্য ।।


শুভ-সুর থেমে যায় ,
উর্দি আর বে- উর্দির
ফাঁকে উঁকি মারে
মর্দাঙ্গি-সাব্রুম থেকে
যোরহাট-
ক্লীব আমরা কাগজের
খড়খড়ে পাতা উল্টাই,
কোহলি থেকে যোগী ,
শুভ- সুর ভুলে
বেশ থাকি অশুভ আঁতাতে ,
লক্ষ্মী হীন ক্লেদাক্ত গলিপথে
ঘুমঘুম কল্প আয়েসে -
যতক্ষণ  না লালাবাই
ভেঙ্গে যায়
প্রিয়ের বুকে কোন
ধর্ষ-কামীর হাতে
...........................
আমার ঘরে রাইফেল নেই
শুধু কলম
হাঁটু গুলো ব্যথাতুর
তবু বলে রাখি
বুকে অদম্য প্রতিস্পর্ধা ।
............................
শুভের ঘৃণা ভরা থুতু
সুরের চ্যালা কাঠের
চিতা থেকে ছিটকে বেরুনো
কালো কালো গুড়ো
আমার চোখে মুখে
ভেতরে হু হু ঝড়
গোঙায় বার বার অবিরাম
শুধু একটাই শব্দ নিয়ে-
‘প্রতিশোধ’
........................
কেটে গেছে অনেকক্ষন
রাইফেলের জোর দেখানো
অথবা মাস্কের আড়ালের
সেই জম্বিদের থেকে
ক্রমশ ক্রোধের আগুন
বিস্তৃত হচ্ছে, ছড়াচ্ছে-
যারা জম্বি বানায় তাদের দিকে-
আমার আবিষ্ট লাল চোখে দেখি
এখনও গোলকধাঁধা থেকে
বেরুতে ছুটন্ত একগুচ্ছ যৌবন
শুভেরই মতো-

ভিড়ে মিশে যাই চল
দাঁড়াই দ্রোহের সারিতে...








কোন মন্তব্য নেই: