মূল যে প্রশ্নটা উঠে আসছে তা হচ্ছে, বর্তমান ভোট প্রক্রিয়ায় সরকারের উপর, জনগণের আশা আকাঙ্খার
প্রতিফলন কতটুকু ঘটছে ?
আমরা নেতাদের আর
পার্টিগুলোকে দোষ দিয়েই দায় এড়িয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কোনও ধরণের নড়াচড়া নেই
বুদ্ধিজীবী মহলে। সবাই যেন ঘুমে ঢুলছে। এখন ভোটকেন্দ্র
ভিত্তিক একজন করে প্রতিনিধি ক্ষমতায় যাচ্ছে, কখনো ২০% ভোটে
কখনো ১০% ভোটে। কোন পার্টিই অধিকাংশের সমর্থন নিয়ে যায়না, অর্থাৎ ৫০%-এর কম জনতার প্রতিনিধি তারা। কেন্দ্রে বর্তমানে
৩১% ভোটে সরকার চলছে। লোকসাভা নির্বাচনে, আসলে ৩৩% বৈধ
ভোটার, যারা ভোট দেয়নি, তাদের ধরলে কেন্দ্রে ২০% ভোটে বিজেপি ক্ষমতায় আছে। এই ৩১% হচ্ছে গৃহীত মোট ভোটের হারে।
আর মোট বৈধ ভোটারের বা মোট নাগরিকের হিসেবে তা ২০%-এরও কম হবে,
কারণ নির্বাচনে এক তৃতীয়াংশ বৈধ ভোটার ভোটে অংশ নেয়নি। ভোট দিয়েছিল ৬৭%
বৈধ ভোটার। লিখেছেন - সুদীপ নাথ
( ২৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধের আংশিক ছবি )
গণতন্ত্র শব্দটি শুনলে প্রথমেই আমাদের মনে আমারিকার গণতন্ত্রের কথা আসে।
আমেরিকা নাকি বিশ্বের সবথেকে বেশি শক্তিশালি গণতান্ত্রিক দেশ। সাথে অবশ্যই
এব্রাহাম লিঙ্কনের সেই অতি প্রচলিত গণতন্ত্রের
সংজ্ঞাটিও মনে উদয় হয়। এব্রাহাম লিঙ্কনের সংজ্ঞা অনুযায়ি গণতন্ত্র বলতে
বুঝায়, জনগণের দ্বারা জনগণের জন্য জনগণের শাসন ( Government of the people by the people
and for the people)। আমরা জানি আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে
গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে গণতন্ত্রের সুচনা হয়। সক্রেটিস, এ্যারিষ্ট্রেটল, প্লেটো, রুশো,
সহ যুগে যুগে আরো অনেক দার্শনিকের নামও রাষ্ট্র
এবং গনতন্ত্রের সাথে জড়িয়ে আছে।
এই সর্বজনবিদিত মহান গণতন্ত্রের দেশ আমেরিকায়
সবেমাত্র জনগণের জন্যে জনগণের দ্বারা জনগণের শাসনের জন্যে সেই দেশের জনগণ তাদের
সরকার পুনর্নির্বাচিত করে শাসন ক্ষমতায় বসিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে
শুরু করেছে, ওই দেশের গণতান্ত্রিক সরকারেরই বিরুদ্ধে। তা অবশ্যই বিশ্ববাসীকে
সবকিছু নূতন করে ভাবতে বাধ্য করাচ্ছে। এমতাবস্থায়, এই গণতন্ত্রের মধ্যে কোনো
ফাঁকফোকর আছে কিনা, চলুন তা একটু খতিয়ে দেখা যাক। তবে তা নিয়ে আলোচনা আমাদের দেশেই
সীমাবদ্ধ থাকুক না আজ।
এখন যে প্রশ্নটা সামনে চলে আসছে, তা হলো, আমাদের দেশে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা কি সরকারী কর্মকান্ডে
প্রতিফলিত হচ্ছে কিনা। সেই চিত্রটাই প্রথমে দেখা যাক।বিগত পশ্চিমবাংলার বিধানসভা নির্বাচনে, মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে
তৃণমূল এককভাবে ২১১ জন প্রতিনিধি বিধান সভায় পাঠায়। বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস মিলে ৭৬ জন,
গোর্খা জনমুক্তি মোরচা ৩
জন, বিজেপি ৩ জন আর নির্দল ১ জন প্রতিনিধি পাঠায়।
এদিকে, ভোট সংখ্যায় দেখা যায়, তৃণমূল পেয়েছে মোট ২,৪৫,৬৪,৫২৩ টি ভোট অর্থাৎ প্রায় আড়াই কোটি ভোট। আর
বামফ্রন্ট পেয়েছে মোট ১,৪২,১৬,৩২৭ টি ভোট এবং কংগ্রেস পেয়েছে ৬৭,০০,৯৩৮ টি ভোট। অর্থাৎ জোটের মোট ভোট হচ্ছে ২,০৯,১৭,২৬৫ টি ভোট, যা প্রায় দুই কোটি। এর সঙ্গে যোগ হবে জোট সমর্থিত নির্দল
প্রার্থী দের মোট ৩,৮৭,৩৭৮ টি ভোট। সুতরাং জোটের
মোট প্রাপ্ত ভোট দাঁড়াচ্ছে ২,১৩,০৪,৬৪৩ টি ভোট অর্থাৎ প্রায় সোয়া দুই কোটি ভোট। হিসেব অনুযায়ি
জোটের থেকে তৃণমূল মাত্র মোট ভোট ৩২,৫৯,৮৪০ টি বেশি পেয়েছে।
এবার দেখে দেখে নেয়া যাক,
বুথ পিছু পরিসংখ্যানটি। পশ্চিমবঙ্গে মোট বুথের
সংখ্যা ছিল ৭৭,২৪৭ টি। যদি এই ৭৭,২৪৭ টি বুথের নিরিখে এই হিসেব বের করা যায়, তাহলে দেখা যায়, বুথ পিছু তৃণমূলের
প্রাপ্ত ভোট কমবেশি ৩১৮ টি। অন্যদিকে বুথ পিছু জোটের প্রাপ্ত ভোট কমবেশি ২৭৬ টি।
অর্থাৎ প্রতিটি বুথ পিছু তৃণমূল বেশি পেয়েছে (৩১৮ – ২৭৬) ৪২ টি ভোট। গনতন্ত্রে ১
ভোটে হোক বা ১ লক্ষ ভোটে জয়,
উভয় প্রকার জয়ই সমতুল্য। সুতরাং জোট যদি বুথ
পিছু মাত্র ২২ টি ভোট বেশি পেত আর তৃণমূল ২২ টি কম পেত সেক্ষেত্রে ফলাফল হত উলটো!
সুতরাং এখনো যে বিপুল ভোট বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস এর রয়েছে তা অস্বীকার করা সম্ভব নয়
কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের পক্ষে।
এবার বিহার রাজ্যের বিগত বিধানসভার ভোট চিত্রটির দিকে তাকানো যাক। বিহারে নোটা
এবং বৈধ ভোটারের যারা ভোট দেয়নি তারা হচ্ছে চল্লিশ শতাংশ। অর্থাৎ মোট বৈধ ভোটারের
ষাট শতাংশের ভোটে বিধানসভার প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে বিহার রাজ্যে। এই ৬০% ভোটের
মধ্যে, নিতীশ-লালুপ্রসাদের
গটবন্ধন পেয়েছে ৪২% নাগরিকের ভোট। যা মোট ভোটারের ২৫% মাত্র (৬০/১০০X৪২)। অর্থাৎ মোট বৈধ ভোটার তথা জনগণের মাত্র ২৫% ভোটে
নীতিশ-লালুপ্রসাদের গটবন্ধন সরকার চালাচ্ছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, এই গটবন্ধনকে বিহারের ৭৫% শতাংশ নাগরিক চায় না। ঘুরিয়ে বললে
বিহারের ৭৫% জনতার সমর্থন নেই এই গটবন্ধনের প্রতি।
বিহার নির্বাচনের পরে,
পিটিআই-এর খবর উদ্ধৃত করে The Financial Express গত ৯-৯-২০১৫ তারিখে যে সংবাদ প্রচার করেছে ,তা ঠিক এইরকমঃ-
“A 7.8 percent more votes for the JD(U)-RJD-Congress alliance over
BJP-led NDA's tally fetched it another 120 seats catapulting the Nitish
Kumar-led coalition to a landslide two-third majority, according to an analysis
of Bihar poll results.
The Grand Secular Alliance with 41.9 percent votes got 178 seats
in a Hosue of 243 while the NDA with 34.1 percent votes could get only 58
seats, final election data showed on Sunday night.
Lalu Prasad's RJD with 18.4 percent votes bagged 80 seats to
emerge as the single largest party while Nitish Kumar's JD(U) garnered 16.8
percent votes to notch 71 seats. They both contested 101 seats.
Congress, the third partner in the Grand Secular Alliance, fared
creditably winning 27 of the 41 seats it contested. It polled 6.7 percent
votes.
The BJP, which contested 157 seats, polled the highest number of
votes (24.4) but could bag only 53 seats.”
বিজেপির অবস্থাটা বিহারে দেখুন। এনডিএ ৩৪% ভোট পেয়েও কোথায় অবস্থান করছে। এই
হচ্ছে আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের সার্বিক চেহারা।
এবার, ত্রিপুয়ায় আসা যাক। এখানে কোনদিনই, সিমিএম ৫০%এর বেশি ভোট পায় নি। অথচ তারাই কয়েক যুগ এখানে
রাজত্ব করে যাচ্ছে। তাদের এযাবৎ প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস সব বিগত নির্বাচনগুলোতে সব
সময়েই ৩০% থেকে ৪০% ভোট পেয়ে আসছে। অথচ দেখা যায় তারা মোটামুটি আট দশটা সীট দখল
করতে পারে মাত্র। এই হিসেব মোট ভোটার নয়, যত ভোট পড়েছিল, তার হিসেবে। গত বিধানসভা ২০১৩ নির্বাচনে সিপিএম ৪৯টি ও
সিপিআই ১ টি সীট দখল করে। যা মোট বিধায়কের এক পঞ্চমাংশ তথা ৮৩% থেকেও বেশি। অথচ
ভোট দিয়েছে ৫৪% লোক যারা মোট ভোটারের নিরিখে তারও অনেক কম। আর ৩০% ভোটে কংগ্রেস
পেতো মোট ১৮ জন প্রতিনিধি।
এবার চলে আসা যাক বিগত লোকসভা নির্বাচনে। ইন্টার নেটের বোতাম টিপলে যে চিত্রটা
বেরিয়ে আসে তা হচ্ছেঃ- “The
NDA won a sweeping victory, taking 336 seats. The BJP itself won 31.0% of all
votes and 282 (51.9%) of all seats, while NDA’s combined vote share was 38.5%
only. BJP and its allies won the right to form the largest majority government
since the 1994 general election, and it was the first time since that election
that a party has won enough seats to govern without the support of other
parties. The UPA, led by the Indian National Congress, won 58 seats, 44 (8.1%)
of which were won by the Congress, that won 19.3% of all votes.”
এখনে যে প্রশ্নটা উঠে আসছে তা হচ্ছে, বর্তমান ভোট প্রক্রিয়ায়
জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন কতটুকু ঘটছে ? আমরা নেতাদের আর
পার্টিগুলোকে দোষ দিয়েই দায় এড়িয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কোন ধরণের নড়াচড়া নেই বুদ্ধিজীবী
মহলে। সবাই ঘুমে ঢুলছে যেন। এখন ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক প্রতিনিধি একজন করে ক্ষমতায়
যাচ্ছে, কখনো ২০% ভোটে কখনো ১০% ভোটে। কোন পার্টিই
অধিকাংশের সমর্থন নিয়ে যায়না,
অর্থাৎ ৫০%এর কম জনতার প্রতিনিধি তারা।
কেন্দ্রে বর্তমানে ৩১% ভোটে সরকার চলছে। লোকসাভা নির্বাচনে, আসলে ৩৩% বৈধ ভোটার যারা ভোট দেয়নি তাদের ধরলে কেন্দ্রে ২০%
ভোটে বিজেপি ক্ষমতায় আছে। এই ৩১% হচ্ছে গৃহীত (casted) মোট ভোটের হারে। আর মোট
বৈধ (listed) ভোটারের অর্থাৎ মোট
নাগরিকের হিসেবে ২০%-এরও কম হবে, কারণ নির্বাচনে এক
তৃতীয়াংশ বৈধ ভোটার ভোটে অংশ নেয়নি। ভোট দিয়েছিল ৬৭% বৈধ ভোটার। এইসব ভোটার হচ্ছে
আঠার বছর বয়েসের বেশি। কোন কোন দেশে ষোল বছর
বয়েসেও ভোটাধিকার আছে। তাছাড়া অনেকেই ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারেনা, তা সবারই
জানা বিষয়, তাই তা নিয়ে কথা বাড়াচ্ছি না। এই হচ্ছে আমাদের দেশের তথাকথিত
গণতন্ত্রের আসল চেহারা।
আরও দেখা যায় যারা প্রচুর ভোট পেয়েও ২য় কি ৩য় পজিশনে থাকে, তাদের ভোটারের কোন
কথাই সরকারে বিকায় না, তাদের মতামতের কোন দামই নেই সরকারে। তাদের
ভোটেরও কোন দাম নেই। শুধু দলগত দিকটাই আলোচনায় আনছি।
লোকসভায় বহুজন সমাজ পার্টি চার শতাংশ ভোট পেয়ে একটাও সীট পায়নি, অথচ তৃণমূল মাত্র তিন দশমিক আট (৩.৮%) শতাংশ ভোট পেয়ে ৩৪ জন
সাংসদ পাঠিয়েছে। এআইডিএমকে ৩.৩% ভোটে ৩৭ জন এবং বিজু জনতা দল ১.৭% ভোট পেয়ে ২০ জন
সাংসদ পাঠিয়েছে। যদি ভোটের শতাংশ অনুযায়ি প্রতিনিধি পাঠানো হত, তাহলে বিজেপি পাঠাতো ১৬৮ জন সাংসদ, কংগ্রেস ১০০ জন সাংসদ, বহুজন সমাজ পার্টি ২২ জন, তৃণমূল ২১ জন। জয়ললিতা ৩৭ জনের বদলে পাঠাতো ১৮ জন, সমাজবাদি পার্টি পাঠাতো ৫ জনের বদলে ১৮ জন, সিপিএম ৯ জনের বদলে ১৮ জন ইত্যাদি।
তাই নির্বাচনি সংস্কার প্রয়োজন। এই সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে
নির্বাচনী নিয়মাবলীর পরিবর্তন। এই গোঁজামিলের ব্যবস্থার পরিবর্তন সবচেয়ে আগে
দরকার। সবাই হয়ত জানেন, ইজরায়েল সহ অনেক দেশে ব্যাক্তি না দাঁড়িয়ে
পার্টি দাঁড়ায়। ভোটের শতকরা হার অনুযায়ী প্রত্যেক পার্টি প্রতিনিধি পাঠায়। তাতে সব
পার্টিরই অংশগ্রহণ ঘটে। জনতার কথা বলার লোক থাকে, ভোটারের সংখ্যা অনুযায়ী।
অন্য অনেক দেশে আরো ভালো ব্যবস্থা আছে। যেমন আফগানিস্থানে কেউ ৫০% ভোট না পেলে
পুনর্নির্বাচন বাধ্যতামুলক। তখন শুধুমাত্র ১ম ও ২য় পজিশনের মধ্যে ভোট হয়। নেপালের
সংবিধান অনেক অনেক বেশি উন্নত। নেপালে প্রায় ৬০০ জন প্রতিনিধির মধ্যে প্রায় ৩০০ জন
আসে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে। ২৪০ (প্রায়) আসে পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে ভোটের
শতাংশ অনুসারে। আর বাকি প্রায় ৬০ জন আসেন, ওই নির্বাচিতদের ভোটে, যারা সমাজ সেবি, বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ,
ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পী ও অন্যান্য শ্রেনি
থেকে, যার নির্দিষ্ট সংখ্যা সংবিধানে নির্ধারিত করা
আছে।
আমি বলছিনা ওইসব একটা কিছু নিয়ম আমাদের দেশে যান্ত্রিক ভাবে ঢুকে যাক। আমি আশা
করি যারা সমাজ নিয়ে ভাবেন,
তারা আমাদের দেশের পরিস্থিতি অনুসারে কিছু
খুঁজে বের করবেন, যাতে সমস্ত ধরণের ধ্যানধারণার সার্বিক প্রতিফলন
ঘটে নির্বাচনের মাধ্যমে। জনগণ কিন্তু নেতাদের উপর আস্থা ইতিমধ্যেই হারিয়েছে ফেলে
নোরাশ্যের শিকার হয়ে রয়েছে।
কিন্তু নেতাদেরকে দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই। দোষী তো আমরা নিজেরাই মানে ভোটাররা।
বর্তমান ভোট প্রক্রিয়ায় জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন কতটুকু ঘটছে ? আমরা নেতাদের দোষ দিয়েই খালাস হয়ে যাচ্ছি। আবারো বলছি, এখন কেন্দ্রভিত্তিক প্রতিনিধি একজন করে করে ক্ষমতায় যাচ্ছে, কখনো ২০% ভোটে কখনো ১০% ভোটে। কোন পার্টিই অধিকাংশের সমর্থন
নিয়ে যায়না, অর্থাৎ ৫০%এর কম জনতার প্রতিনিধি তারা। আর দেখা
যায় যারা প্রচুর ভোট পেয়েও ২য় কি ৩য় পজিশনে থাকে তাদের ভোটারের কোন কথাই সরকারে
বিকায় না। সমাজ সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে বর্তমান নির্বাচনী
নিয়মাবলীর পরিবর্তন। এই ব্যবস্থার
পরিবর্তন সবচেয়ে আগে দরকার। চাই একটা সত্যিকারের যুগোপযোগী গণতন্ত্র আমাদের দেশের
জন্যেও। তাই চাই নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার। এই জন্যে সবারই এগিয়ে আসতে
হবে। কিন্তু মূল দায়িত্ব নিতে হবে মিডিয়াকেই। কারণ মিডিয়াই হচ্ছে গনতন্ত্র
শক্তিশালি করার সবথেকে বড় হাতিয়ার। মিডিয়া না থাকলে জনগণ হতো সহায়-সম্বলহীন।
(লেখক একজন ফ্রি ল্যান্স কলামিষ্ট)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন