“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭

প্রেম – অধ্যাত্ম্যে, জীবনে



।। নীলদীপ চক্রবর্তী।।















পাতাল গহনে চাপা পড়ে থাক বিস্ময়ে
ভুঁইফোড় হয়ে উঠুক নীরবে নির্ভয়ে
তৃণদল বুকে হোক সে সবুজ প্রাণ
বিকশিত হোক মাটির অলিন্দ নিলয়ে ।
মেঠো গন্ধ গায়ে পথ চলা হোক শুরু
ঘুরে বিজন প্রান্তর ধু ধু মরু
আসুক শহরে বিস্তীর্ণ লোকালয়ে
পূর্ণ হোক জন মানসে বাঞ্ছা কল্পতরু ।
ইচ্ছে ডানা মেলে ঢোকে বিজন মনের গহনে
বাঁধুক বাস অন্তঃপুরে সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণে
যে জন মানসে থাকবে সে ঘর ঈশ্বরমুখী তারা
বিকশিত হোক ছড়াক সুষমা অশান্ত জনের মনে ।
এরপর যাক দেহ ছেড়ে সে অনন্ত লোকের পানে
সাকার থেকে নিরাকার হোক অদ্বৈত ধারা মেনে
দিয়ে যায় যদি পরিচয় তার জন বিচরণভূমে
স্বাগত জানাও শাশ্বত তাকে প্রেমনামখানি জেনে !

কোন মন্তব্য নেই: