“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

ফেসবুকীয়



........©চিরশ্রী দেবনাথ













ভারতের বুকে আজ জ্বলছে আলো, রঙিন প্রতিবাদ
এ আর নতুন কী, কী এমন অঙ্গক্ষত, কি এমন রক্তচাপ।
দেশ এই, ভরে ওঠা ধানের ক্ষেত, ইক্ষু সমারোহ
তার পাশে একটি রোগ, ক্রমাগত
স্বাধীনতার আগেও ছিলএখনো সে  অক্ষত।
পুড়ছে কৃষক, কন্নড় কিংবা বাঙালি,
নামছে রাত, আত্মঘাতী, এই তো হরিয়ালী।
ধর্ম হলো,
বাঁশির সুরপোয়াতি গাভি, শিশির ভেজা ঘাসের জমি
সাত সকালে পান্তাবাসি কিংবা রুটি,
কারখানাতে যাব বলে বউয়ের গালে ভোরের  আদর
একপ্রহরের একটু বিশ্বাস, নীরব মন্ত্র, খোলা আজান, নির্বিকার।
তোমার হাতে আছে  কলম কিংবা দামি অস্ত্র
তাই দিয়ে নজর ঘোরাও... থাক সবাই ব্যস্ত
একটুখানি লেলিয়ে দাও, লাগুক দাঙ্গা, পুড়ুক ঘরবাড়ি
নাহয় মুখ ঢাকলে নারী, হাতের শঙ্খে এ কোন সুনামি?
মুছলো খানিক মেহেন্দি রঙ, হাত ছাড়লো হাতের ছোঁয়া,
খানিক আগেই ছিল বসন্ত, দেশ আমার এমনি বোকা।
আস্তে আস্তেদেশটি আমার, যাচ্ছে নাকি সেইদিকে,
নাম তার কর্পোরেট, বিলের পর বিল সংসদে।
একটি ব্যবসা নিজের আমার,
হয়তো তোমার একটু ক্ষেত সোনার মতো,
বিশ্বায়ন নিচ্ছে তুলে ছোঁ মেরে,
এই সেই বাজপাখি, চোখ পেতেছে থার্ড ওয়ার্ল্ডে।
আমরা জানি তুচ্ছ বিষয়,
হর হর মহাদেও, আল্লাহ আকবর
উৎস পেলেই চলকে উঠিমার মার, কাট কাট,
সে ছিল বন্ধু আমার।
নিভে আসে সন্ধ্যা, ছেলেমেয়ের পড়া, গানের রেওয়াজ
আসছে ধেয়ে কালো মশাল, রাস্তা গলি শুনশান।
কাপের লাল চা, খেলছে এখন  রক্তহোলি,
মৃত শাবকের পাখায় ঢাকা , এ কোন অচেনা  গোধূলি।
এখন একটিই রাজনীতি...প্রতিরক্ষা এবং উদারনীতি,
আমিও তাই বিশ্বাস করি, শ্লোগানের গলায় ঢালছি জল।
 
জোনাক ভেজা মাঠগুলোতে নামছে পণ্য হাজার হাজার,
মেধার স্রোতনীল আটলাণ্টিক , আসছি মামাত্র  কয়েকদিন।
দেয়াল জোড়া চোরা  ঘুলঘুলিসাজানো সংঘাত, দেশনেতা একটু কান্না শেখো, প্রতিবাদে দিও না হাত।

কোন মন্তব্য নেই: