“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০১৭

অসময়



(C)Image:ছবি






















।। অর্পিতা আচার্য।।

রজা খুলতেই একরাশ বাতাসের মত আছড়ে পড়ল সম্ভাবনা গুলো
এক এক করে হাতে নিয়ে পরখ করতেই
কিছু আবর্জনা, তার সাথে বিষাক্ত কীটের দল
অসম্ভব কিছু ছিঁচকে চোর
মুখ দেখলে যাদের বোঝা যায় না
পোশাকে আসাকে এতটাই সাধু বেশ,
রঙ্গমঞ্চে হাততালি কুড়োতে আধ খাওয়া কথা ছুঁড়তেও
দ্বিধা নেই তাদের
সরল নদীর মত স্পষ্টভাষী রাত
শীতের উষ্ণতায় বনভোজনের শিকার হয়
শব্দেরা ধর্ষিত হয় বার বার,
হোমের আগুনে পুড়ে যায় মানচিত্র, ভালবাসা, বিশ্বাস
এক বকচ্ছপ মূর্তির পূজায় মেতে ওঠে সারাদেশ
গহন এক নাগরদোলায় উঠছি,.নামছি
বোরখার পাশে শুকোচ্ছিল একটা লালপাড় শাড়ি..
পীর বাবার দরগায় বাউল বসে শোনাচ্ছিল তার নতুন বাঁধা গান….
একটা ছোট্ট শিশু দৌড়ে এল নতুন ইতিহাস বই হাতে !
তফাত যাও!” — মেহের আলির সাইকোপ্যlথিক চিৎকারে ছুটছে মানুষ
যে যেখানে পারছে লুকাচ্ছে গুহায়-
কেউ গেরুয়া চাদর টাঙাচ্ছে দরজায়
কেউ অনেকদিন বাদে ঝুরি নামা বটগাছটার ছায়ায়
ক্লান্ত বিকেলে বসে ভাবছে.
তাহলে কোন দেশটা আমার ?”
গোপন এই ষড়যন্ত্রে সামিল হয়ো না ব্ন্ধু, দরজা সামলাও !
বারবার এক মিথ্যেকে আওড়ালে কখনো কখনো তা সত্যি বলে মনে হয় l
অরণ্যের এই নিঝুমে সাঁঝ বাতি জ্বালিয়ে রাখ
এস আমরা এক এক করে ছিঁড়তে থাকি সমালোচনার ভূর্জপত্র গুলি
আর মনে রেখ সেই লড়াকু মানুষটির কুণ্ঠাহীন সতর্ক অভিজ্ঞান,
 সুখের দিনে দরজায় প্রহরী বসাও, বেছে বেছে ঢোকাবে মানুষ..
আর দুঃখের দিনে উন্মুক্ত করে দিও দ্বার,
তারাই ঢুকবে যারা তোমার প্রকৃত বন্ধু!

কোন মন্তব্য নেই: