।। সুপ্রদীপ দত্তরায়।।
(C)Image:ছবি |
একদিন
আনমনা পথ চলতে চলতে
হঠাৎই তোমার সাথে দেখা ভারতবর্ষ।
রাজপথ --, ওকে পথ না বলাই ভালো
দুপাশে ছড়ানো যার অসংখ্য অন্ধ গলি
তারই কোন এক জায়গাতে , চায়ের দোকানে
তোমার সাথে আমার হয়েছিল দেখা।
ঠোটের'পরে আমার সেদিন সবে কালো রেখা ।
দুচোখ জুড়ে স্বপ্ন, পাল্টে দেব পৃথিবীটা
নিদেনপক্ষে দেশটা কিংবা পরিবেশটা ।
অনেকটা নবজাতক যেমন ছুঁড়ে হাত পা
প্রবল বিক্রমে, শুয়ে বিছানায় রেখে মাথা ,
আমারও তেমনি ছিল নিষ্ফল আস্ফালন ,
কলেজের পাঠ বন্ধ রেখে অন্ধ আন্দোলন,
সমাজটাকে উল্টে দেব; স্বপ্ন ছিল, গল্প না
ছিল উদ্যম, ছিল আবেগ, দৃঢ় পরিকল্পনা।
"বাদের" প্রকার ভেদে ছিল অলীক জল্পনা ।
তোমার সাথে দেখা সেই চায়ের দোকানে ।
কথা হয়েছিল, হয়েছিল তর্ক দীর্ঘক্ষণ ,
কাপেতে তুফান তুলে চায়ের ফাঁকে
জড়িয়েছিলাম আমরা তুমুল বিতর্কে
অর্থনীতি রাজনীতির শুভঙ্করী অঙ্কে ।
মনে পড়ে ভারতবর্ষ, সেদিনকার কথা ।
তুমি বলেছিলে এমনটি তো ছিল নাকো আগে ।
বোকা কথা । কি ছিল তাতে কি যায় আসে ?
এখন যা সেটাই সত্যি, তাতেই দুঃখ জাগে ।
বলেছিলে, সবুর করো, আবার আসছে ।
সেই দিন, যাকে নিয়ে গর্ব করা যায়,
বিশ্বের দরবারে , মাথা তুলে বলা যায়, নির্ভয়ে ;
আমরা ছিলাম, আমরা আছি আমরা থাকবো
সাম্যের বুনিয়াদে, শ্রেষ্ঠ সৌখিনতায়।
ভারতবর্ষ, আমি সেই থেকে শবরী,
অপেক্ষাতে আছি। প্রতি রাত জেগে থাকি,
শব্দভেদে পদধ্বনির প্রতিধ্বনি ভ্রমি
পদে পদে প্রতি পথে হিসেব ধরে রাখি ।
ইটের হিস্টোগ্রামে নয় কাগুজে সমৃদ্ধি ,
অনুভূতির পারদে খুঁজি তৃপ্তির হাসি ।
আমি দানে বিশ্বাসী নই, কর্মে বিশ্বাস,
হিংসাকে দুরে রাখি, চাই মৈত্রীর আশ্বাস;
আমি বৈভবে বিশ্বাসী নই, চাই পরিতৃপ্তি
শোষণের যাঁতাকলে আমার তীব্র আপত্তি ।
আমি মন্দির মসজিদে খুঁজি মৈত্রীর সুর
দাঙ্গাতে খুঁজি প্রতিবাদ । খুঁজি সুপ্ত বিবেকে
মানুষের ভিতরে সেই সৎ মানুষটা ।
আর যতদিন খুঁজে না পাই মনের পৃথিবী
ততদিন হে ভারতবর্ষ, জন্ম জন্মান্তর ধরে
আমি বারবার ফিরে আসবো জেনো।
তোমার বুকে আমায় তুমি, জন্ম আবার দিও ।
হঠাৎই তোমার সাথে দেখা ভারতবর্ষ।
রাজপথ --, ওকে পথ না বলাই ভালো
দুপাশে ছড়ানো যার অসংখ্য অন্ধ গলি
তারই কোন এক জায়গাতে , চায়ের দোকানে
তোমার সাথে আমার হয়েছিল দেখা।
ঠোটের'পরে আমার সেদিন সবে কালো রেখা ।
দুচোখ জুড়ে স্বপ্ন, পাল্টে দেব পৃথিবীটা
নিদেনপক্ষে দেশটা কিংবা পরিবেশটা ।
অনেকটা নবজাতক যেমন ছুঁড়ে হাত পা
প্রবল বিক্রমে, শুয়ে বিছানায় রেখে মাথা ,
আমারও তেমনি ছিল নিষ্ফল আস্ফালন ,
কলেজের পাঠ বন্ধ রেখে অন্ধ আন্দোলন,
সমাজটাকে উল্টে দেব; স্বপ্ন ছিল, গল্প না
ছিল উদ্যম, ছিল আবেগ, দৃঢ় পরিকল্পনা।
"বাদের" প্রকার ভেদে ছিল অলীক জল্পনা ।
তোমার সাথে দেখা সেই চায়ের দোকানে ।
কথা হয়েছিল, হয়েছিল তর্ক দীর্ঘক্ষণ ,
কাপেতে তুফান তুলে চায়ের ফাঁকে
জড়িয়েছিলাম আমরা তুমুল বিতর্কে
অর্থনীতি রাজনীতির শুভঙ্করী অঙ্কে ।
মনে পড়ে ভারতবর্ষ, সেদিনকার কথা ।
তুমি বলেছিলে এমনটি তো ছিল নাকো আগে ।
বোকা কথা । কি ছিল তাতে কি যায় আসে ?
এখন যা সেটাই সত্যি, তাতেই দুঃখ জাগে ।
বলেছিলে, সবুর করো, আবার আসছে ।
সেই দিন, যাকে নিয়ে গর্ব করা যায়,
বিশ্বের দরবারে , মাথা তুলে বলা যায়, নির্ভয়ে ;
আমরা ছিলাম, আমরা আছি আমরা থাকবো
সাম্যের বুনিয়াদে, শ্রেষ্ঠ সৌখিনতায়।
ভারতবর্ষ, আমি সেই থেকে শবরী,
অপেক্ষাতে আছি। প্রতি রাত জেগে থাকি,
শব্দভেদে পদধ্বনির প্রতিধ্বনি ভ্রমি
পদে পদে প্রতি পথে হিসেব ধরে রাখি ।
ইটের হিস্টোগ্রামে নয় কাগুজে সমৃদ্ধি ,
অনুভূতির পারদে খুঁজি তৃপ্তির হাসি ।
আমি দানে বিশ্বাসী নই, কর্মে বিশ্বাস,
হিংসাকে দুরে রাখি, চাই মৈত্রীর আশ্বাস;
আমি বৈভবে বিশ্বাসী নই, চাই পরিতৃপ্তি
শোষণের যাঁতাকলে আমার তীব্র আপত্তি ।
আমি মন্দির মসজিদে খুঁজি মৈত্রীর সুর
দাঙ্গাতে খুঁজি প্রতিবাদ । খুঁজি সুপ্ত বিবেকে
মানুষের ভিতরে সেই সৎ মানুষটা ।
আর যতদিন খুঁজে না পাই মনের পৃথিবী
ততদিন হে ভারতবর্ষ, জন্ম জন্মান্তর ধরে
আমি বারবার ফিরে আসবো জেনো।
তোমার বুকে আমায় তুমি, জন্ম আবার দিও ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন