“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

প্রহেলিকা প্রশ্নবোধক

।। আ.জাহিদ রুদ্র।।


(C)Image:ছবি













না না, আর আসবো না
উদ্দেশ্যবিহীন যাত্রায় কলমটা বার বার
অক্ষরগুলো তীর বানিয়ে রুখছে আমায়
প্রহেলিকার শব্দ-অভিধানে
পাঁজরের ফাঁকা অডিটোরিয়ামে হাড় ভাঙে
কষ্টের জমাট মেঘ বালিকার কান্না;
প্রতিদিনই বেদনা বাড়ছে
আর মনের হরিণটা ধরতে গিয়ে
ক্রমশ অন্ধ হয়ে যাচ্ছি, দেখছি
অসহিষ্ণু যত ২০-২১ এর দল
বুলেটের নকশা আঁকে নষ্ট পাতার ভ্রষ্ট মগজে
চাওয়াটুকু খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান, ওম শান্তি।
নতুন খদ্দেরের খোঁজে হলুদ আলোগুলো
টহল দিচ্ছে শহরের অলি-গলি,নেশা হলো মজা করা
পায়ের পেশীতে টান পড়লে বুঝে নিই
সময়টা বিশ্রাম নেওয়া
বিছানার নির্মম ধ্বনিও ঘুম ভাঙায় না আলস্যের
মূলত অন্ধ যে সেও বিছানা চেনে;
স্তূপীকৃত মৃত্তিকার বাজার দর
 
চায়ের কষ লেগে লেগে ফুসফুসে ফাঁক।
উঁচুনিচু তীরবিদ্ধ দৃশ্যপট ছায়ারূপী
বিভ্রাট রজনী তাস খেলে প্রতিটি অশ্রুনদীর পারে
হেলায় কাঁধে জোয়াল বেঁধে রাখালিয়া বালক
বেসুরো বাঁশির আওয়াজে কর্ণকুহরে বিষ ঢালে,
তবে কি আসে যায়---
অমাবস্যাটা দেখি শুক্লপক্ষের রশিটানে
আর ক্রসফায়ারে যত ফড়িং ছিলো,সব ছাই।
তাই নিষিদ্ধ পল্লির ভুল ডাটা কোডে
একবাক্যে শপথ আর আসবো না ফিরে।।


কোন মন্তব্য নেই: