“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮

নষ্টালজিক

।। আ.জাহিদ রুদ্র ।।



(C)Image:ছবি













শূন্যতার দ্রাক্ষারসে জারিত জীবন
আহত পালকের মত
 
গলিত আঁধারে ঢাকে অকস্মাৎ,
ধূসর মুখের এলেবেলে প্রতিশ্রুতি
শুকনো জলে সাঁতার কাটে নিনাদ ভরা ভোরের পাখি।
দেখি,কেমন যেন প্রতিশ্রুতি মিলে 
এ বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে
পিপাসায় স্তন চুষা বেয়াদব
 
মানচিত্র বেচে খণ্ড-খণ্ড পঙক্তির গোলমালে,
চোখের দৃষ্টি কোলাহলের স্রোতে আত্মমগ্ন
আয়না ঋতুশেষে আলোহীন অশ্লীলতায়
 
জড়িয়ে বুনিছে প্রেম।
শব্দের ফাটলে মসৃণ পাতার ঘুমন্ত অলঙ্কার
চরকির মতো ঘুরপাক খায়,
বিকৃত খবরের প্রতিটা শিরোনাম
হোল-সেল রেট দরে বিক্রি,হাটে....
কিছু পুঁজ পড়া হাতে।
হতভাগা পৃথিবীটা ক্ষয়িত ক্যান্সারে
ধ্বস্ত অনুরাগে তিলে তিলে
 
ডুবন্ত রবি শেষ প্রান্তে।


কোন মন্তব্য নেই: