“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১৮

মানুষাংশ

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি

কদিন চিন্তাশীল তুমি জীব, নিজের ভেতর পশুর ভাগ কমিয়ে জন্ম দিয়েছিলে মানুষ। সেই মানুষ নামক অংশে অদৃশ্য কোমল নদীর প্রবাহ ছিল। কষ্ট আর ভালোবাসার ঋতুতে আঘাত পেলে আহত হতো। ঢেউয়ের পর ঢেউ উঠতো। দুচোখ পথে লাফিয়ে বেরিয়ে এলে ধরা দিতো অন্য মানুষের কাছে। সেই মানুষের ভেতরেও উঠতো ঢেউ। এখন বদলে গেছে মনোজগৎ।
তুমি মানুষের সেই নদী, বয়ে বেয়ে শুকিয়ে নিজ পথেই আত্মঘাতী হলে। বহুদূর এখানে জন্ম নিয়েছে পাথর। অসময়ের বাতাস উষ্ণতা পাথর ভাঙে, ধুলো ওড়ায় জীবনের। মনোঘরে আঁচড় কেটে রেখে যাও পথের চিহ্ন। মনোভূমি বলে-- বদলে গেছে মানুষের ভেতর মানুষাংশ।


কোন মন্তব্য নেই: