“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮

ছন্দপতনের তিনটি ছন্দ

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি














এক

এলোমেলো মানুষই মানুষের খেলনা,
একে চাই ওকে চাই তারপর ফেলনা !
রাজা আসে রাজা যায়
 
বদলায় হাতিয়ার,
প্রজাগণ বোঝে কই
 
কার সাথে, সাথি কার !
কার তারে কাঁটা কার ? কেন এই চাল ?
হাসিমুখে ফাঁদে ফেলে তুলে নেবে খাল !

দুই

ঝিরঝিরে বৃষ্টি, কত তার সৃষ্টি,
ধীর পায়ে বাড়ে যেই
ভিটেমাটি কাদা সেই।
চোখেমুখে লেগে আছে ধর্মের পলিছাপ
পিছলায় পড়ে যাওয়া অধিকার কার বাপ ?
মিনমিনে দৃষ্টি, বাঁকা পথে কৃষ্টি,
তীর খোঁজে হাঁটে যেই
চুষে খায় জোঁক সেই।
নদীনালা ডুবে গেছে, ঘরবাড়ি ডুবুডুবু
অজাতের বুকে তবু মেঘজল টুবুটুবু !

তিন
সুখের আকাশ দুখের ভেতর
দুখের আকাশ নীল,
নীলের ভেতর ডানা ছড়ায়
উঁচু দরের চিল।
নীল তখন থাকে না নীল
স্বপ্নভাঙা মুখে,
জমাট মেঘের কালো ব্যথায়
আগুন জ্বলে বুকে।


কোন মন্তব্য নেই: