“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৮

শুনুন

।। অভীক কুমার দে ।।









তটা বুঝি,প্রতিটি একক ঠিক না হলে ঐক্য ঠিক নয়। আমি আমার নিজের একক নিয়েই চিন্তিত। প্রতিদিন জীবনের যন্ত্রাংশ মেরামত করতে করতে নিজের কারখানাই তছনছ করি। কেরামতিও জানা নেই।
যতই দিন যায় বয়সের চূড়ান্ত সময়ের মুখোমুখি শরীর,আমার মধ্যরেখা টানটান হয়ে আছে। সূর্যটাও খুব জ্বালায় এখন। আলোর হেরফের হতেই চশমার এপারে স্লুইস গেট খুলে যায়,ওপারের কেউ কাঁচ ভেদ করে দেখতে চায় না।
আজকাল আমি আমার ভেতর বেঁচে মরে আছি। সেই বেঁচে থাকা আমিকে একক ধরেই আগলে আছে আমার গর্ভাশয়। সময় সময় শব্দ ধারণ করে। কলমের গোপন পথে বেরিয়ে আসে মরে থাকা আমির গায়ে ছড়িয়ে থাকা সাদা থানে।
আমার বন্ধু যারা একক খুঁজে দেখে-- পূর্ণতার অপেক্ষা। আপনি যদি রাজার নীতির দীক্ষা নিয়ে সমর্পিত এবং সতীর্থ খুঁজছেন,আমি আপনার গোত্রজ নই তবে। একটু সরে দাঁড়ান,গর্ভাশয় থেকে শব্দেরা কিছু বলতে চায়,শুনুন...


কোন মন্তব্য নেই: