“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৮

মৌনজাল

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি













নীল আঁচলে ঢাকা হাওয়াঘর। ছুটন্ত বৃত্ত। প্রতিরোধক শূন্যতায় জিজ্ঞাসার নদী বহুদূর।
জিজ্ঞাসার ভেতর চিন্তার ভ্রূণ। যদিও জল- বায়ুর প্রেমে অদৃশ্য নদী, তবু নদীপথ। বৃত্ত ছোঁয় ভ্রূণ।
প্রতিটি চিন্তার জটিলতায় প্রসব ব্যথা। জন্মায় অসংখ্য চিন্তাশিশু। জিজ্ঞাসার ভার বাড়ে।
খোলসের ভেতর বড় হয় অনুভূতির মৌনজাল। মৌনজালে জেগে থাকা শিশুর চিন্তা বুঝতে পারে--- 
চিন্তাকে লালন করে যে মা,
সে কোনো চিহ্নিত লিঙ্গের নয়।
হাওয়াঘর থেকে একটি আঁচল চেনা যায়। ছুঁতে গেলেই সরে যায়। হারিয়ে যায় জিজ্ঞাসার অতল গভীরে আর অনুভবে রেখে যায় মায়াভরা নীল।


কোন মন্তব্য নেই: