“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৮

ছায়ামুখ

।। অভীক কুমার দে ।।









তগুলো বছর পরও নিজেই নিজের বন্ধু হতে পারিনি এখনও। ভোরের আমি সকাল পেরোতেই অসহিষ্ণু হয়ে উঠি। অথচ তুমি যখন বন্ধু বলো, তোমাকেই পরিচিত মনে হয় বেশি। এই আমি কেমন আমি, নিজেই নিজের ছদ্মবেশী !
তোমার ভেতর আমি কেবল আমার আমি'র নিষ্প্রাণ প্রতিফলন। যখন তোমার খুব প্রয়োজন আমার,‘তুমি তোমার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং আমির পতন দেখি।
বহিষ্কৃত আমি বারংবার কড়া নাড়ি তোমার বুকে। একটি ক্ষীণ আলোয় গাঢ় অন্ধকার জড়িয়ে স্থির তুমি, মৌনব্রতী। হতাশ আমি মুখ ফিরিয়ে দেখি--
পেছনে অসংখ্য ছায়ামুখ আমার, মিলিয়ে নিচ্ছে ছবি।

কোন মন্তব্য নেই: