“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

বন্ধন

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি








কেউ সুতো মনে করতে পারো, আসলে রাখি একটা সূত্রের নাম। এক ঠাকুর জানতেন, রাখির সুতোয় আত্মার জোড়া দিলেই মানুষের আত্মীয় হবে দেশ, দেশের মানুষ এবং মানুষের দেশ হবে। এই সূত্র ধরেই তুমি আমি আর নিরপেক্ষতা।
কেউ হয়তো সূত্র বুঝতে পারেনি বলেই
ভুল অঙ্ক কষে গণিত- অজ্ঞ। ভুল সূত্রে রাখি অতি সাধারণ মেয়ে হয়ে কারো অকেজো হাতে অথবা কোনো অন্য ধারায় হাতের কবজি খোঁজে। ওখানে শক্তির প্রতিযোগিতা। নিজেই নিজের দ্বন্দ্বময়।
বস্তুজগৎ বলে ক্ষমতার কথা। ক্ষয়িষ্ণু সব। সুতোর যেমন পচন আছে, আত্মাও মুক্তি চায়। বস্তুবাদের নিয়মেই ঢিলেঢালা বাঁধন এবং বিপরীতধর্মীতায় পূবের পথেই হাঁটে।
মনের মানুষ চোখের জলে,
ফেঁসে আছি কে কার কলে !
আবার কোনো ঠাকুর এলে রাখির সুতো বদল হবে, এমন ত' আত্মা বলে না ! বরং নতুন করে সুতো পাকাই, মনসুতো এবং জড়িয়ে যাই বন্ধনে।

কোন মন্তব্য নেই: