“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১৮

পরিচিতি

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি









তোমাদের পরিচয় ?
--- অর্ধ- পরিচিত তোমাদের নিঃসম্বল নাগরিক।
তোমরা কি স্বদেশী নও ?
--- মনে হয় ছিলাম কোন একদিন, এখন অপূর্ণতা...
কেন ?
--- সেই রাতটা যেই পেরিয়ে হিমতলার দখল পেলে
অমনি কখনও বঙ্গজলে ডুবন্ত আমরা,
কখনও ঘুর- পথে পাকে- চক্রে পাকের বিপাকে।
কোথায় ছিলে এতদিন ?
--- তোমরা ভুলে গেছো, তারপর কত কী ধর্ম- কলা
কৌশলে খাওয়া...
অনুমানের বন্ধনী টপকে খুঁজেছি আত্ম- ধর্মতলা।
এখন তো একই আমরা, কি বলো ?
--- না।
আমরা তোমাদের যৌবনই দেখি,
হিমালয় থেকে কন্যাকুমারী
সবাই সেজে থাকো,
অথচ গায়ে জল ছোঁয়াতে কত কি চিন্তা !
আমরা এখনও সেই...
চীন- জাপানের প্রলয় আসে প্রেমিকের মতই,
সুখসাগর খুঁজে কত ইন্দিরা পয়েন্ট পালিয়ে যায় গোপনে...
সেই রাতের পর থেকে---
কোথাও বেওয়ারিস দখল- বন্দী নাগরিক নামের শ্রমিক;
এখনও তুষারগিরি পথে ধেয়ে আসছে আগ্নেয়াস্ত্র আর সন্ত্রাসী
যেখানে বিদূষকের চুক্তি- যুক্তি কালক্রমে সর্বনাশী।
আজকাল কোথায় থাকো ?
--- শুনেছি কোন এক নির্ভীকের মুখে
"প্রাণ বাঁচিয়ে, রাত কাটিয়ে প্রভাত আলোয় দেখি---
সব সীমানায় ফণা তুলে শুয়ে আছে ফণী,
কখনও লা- ওয়ারিশ, কখনও আমদানি---
এপারের এক অস্বীকৃত পাহাড়ীওয়ালা আমি;
ওরা সর্বনাশী, তোরা স্বয়ং- নাশী..."।


কোন মন্তব্য নেই: