“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৮

মা নু ষ

।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন।।
(C)Image:ছবি











তোমাদের ভেতর যখন শ্বাপদের ঘুম ভাঙে
বুঝবে নির্বাচন এসেছে ৷ আর নির্বাসনে গেছে তোমাদের মানবতার মুখোশটিও ৷
অথচ এই উপকরণটিকে এতোদিন যত্ন করেছ ৷
এখন তোমাদের ভেতর থেকে প্রকট হয়ে ওঠে এক উন্মাদের আলখাল্লা ৷
নিজেকে ছাড়া প্রতিপক্ষকে পাগল মনে করো তোমরা ৷
তোমাদের সহযোগীদের উসকে দাও
  চিহ্নিত বিকৃতজনের বিরুদ্ধে ৷
অভিধানের সমস্ত স্বল্পব্যবহৃত শব্দের বহুল প্রয়োগ
শুরু করে দাও তোমরা একে অন্যের বিরুদ্ধে ৷ তোমাদের উচ্চারণে কেউ অবতার ইতর তো কেউ মহাপ্রস্থানের মিথপ্রাণী ৷
তোমরা এতোবেশি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকো যে
পরাজয়ের কোন আভাস থাকে না তোমাদের সামনে ৷
জয়ের বহু আগেই তোমরা বিজয়োল্লাস করো ৷
কটা দিন মানুষের জন্যে স্বপ্নের তালগাছ পুঁতে দাও ৷
তালগাছের রঙ সোনালি ৷ গাছটাও সোনার ৷ দুখিজন অভাগামানুষ স্বপ্নে তালগাছ দেখে ৷ তালগাছের সোনালি ঝিলিক দেখে ৷ তোমাদের মতো মানুষ দেখে না ৷
কারণ সে কদিন তোমাদের তো আর চেনা যায় না ৷ 
তোমাদের দাঁত বেরোয়, তোমাদের নখ বেরোয় ৷
তোমরা গর্জনে পটু হয়ে ওঠো পরস্পরের বিরুদ্ধে ৷
এভাবেই তোমরা মার্চ করো গণআদালত অব্দি ৷
পশমবাহী প্রাণীর মতো মিছিলে মিছিলে
তোমরা যে মানুষ থাকো না তখন আর ৷
তোমরা যে মানুষ হও না আর ৷


কোন মন্তব্য নেই: