।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন।।
(C)Image:ছবি |
তোমাদের ভেতর যখন শ্বাপদের ঘুম ভাঙে
বুঝবে নির্বাচন এসেছে ৷ আর নির্বাসনে গেছে তোমাদের মানবতার মুখোশটিও ৷
অথচ এই উপকরণটিকে এতোদিন যত্ন করেছ ৷
বুঝবে নির্বাচন এসেছে ৷ আর নির্বাসনে গেছে তোমাদের মানবতার মুখোশটিও ৷
অথচ এই উপকরণটিকে এতোদিন যত্ন করেছ ৷
এখন
তোমাদের ভেতর থেকে প্রকট হয়ে ওঠে এক উন্মাদের আলখাল্লা ৷
নিজেকে ছাড়া প্রতিপক্ষকে পাগল মনে করো তোমরা ৷
তোমাদের সহযোগীদের উসকে দাও চিহ্নিত বিকৃতজনের বিরুদ্ধে ৷
অভিধানের সমস্ত স্বল্পব্যবহৃত শব্দের বহুল প্রয়োগ
শুরু করে দাও তোমরা একে অন্যের বিরুদ্ধে ৷ তোমাদের উচ্চারণে কেউ অবতার ইতর তো কেউ মহাপ্রস্থানের মিথপ্রাণী ৷
নিজেকে ছাড়া প্রতিপক্ষকে পাগল মনে করো তোমরা ৷
তোমাদের সহযোগীদের উসকে দাও চিহ্নিত বিকৃতজনের বিরুদ্ধে ৷
অভিধানের সমস্ত স্বল্পব্যবহৃত শব্দের বহুল প্রয়োগ
শুরু করে দাও তোমরা একে অন্যের বিরুদ্ধে ৷ তোমাদের উচ্চারণে কেউ অবতার ইতর তো কেউ মহাপ্রস্থানের মিথপ্রাণী ৷
তোমরা
এতোবেশি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকো যে
পরাজয়ের কোন আভাস থাকে না তোমাদের সামনে ৷
জয়ের বহু আগেই তোমরা বিজয়োল্লাস করো ৷
পরাজয়ের কোন আভাস থাকে না তোমাদের সামনে ৷
জয়ের বহু আগেই তোমরা বিজয়োল্লাস করো ৷
কটা
দিন মানুষের জন্যে স্বপ্নের তালগাছ পুঁতে দাও ৷
তালগাছের রঙ সোনালি ৷ গাছটাও সোনার ৷ দুখিজন অভাগামানুষ স্বপ্নে তালগাছ দেখে ৷ তালগাছের সোনালি ঝিলিক দেখে ৷ তোমাদের মতো মানুষ দেখে না ৷
তালগাছের রঙ সোনালি ৷ গাছটাও সোনার ৷ দুখিজন অভাগামানুষ স্বপ্নে তালগাছ দেখে ৷ তালগাছের সোনালি ঝিলিক দেখে ৷ তোমাদের মতো মানুষ দেখে না ৷
কারণ
সে কদিন তোমাদের তো আর চেনা যায় না ৷
তোমাদের দাঁত বেরোয়, তোমাদের নখ বেরোয় ৷
তোমরা গর্জনে পটু হয়ে ওঠো পরস্পরের বিরুদ্ধে ৷
এভাবেই তোমরা মার্চ করো গণআদালত অব্দি ৷
তোমাদের দাঁত বেরোয়, তোমাদের নখ বেরোয় ৷
তোমরা গর্জনে পটু হয়ে ওঠো পরস্পরের বিরুদ্ধে ৷
এভাবেই তোমরা মার্চ করো গণআদালত অব্দি ৷
পশমবাহী
প্রাণীর মতো মিছিলে মিছিলে
তোমরা যে মানুষ থাকো না তখন আর ৷
তোমরা যে মানুষ হও না আর ৷
তোমরা যে মানুষ থাকো না তখন আর ৷
তোমরা যে মানুষ হও না আর ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন