“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৮

কষ্টনদী

অভীক কুমার দে ।।









কটি ঘর, বুকের উঠোন, সাজানো বাগান,
নানা রঙের ফুল, মিষ্টি সকাল
 
এই তো শুধু চাওয়ার ছিল,
অথচ একেকটি বেলার রোদ এসে জমা হলে
বিয়াল্লিশ চৌদ্দ পনেরো হিসেব করে
 
রাতের হাতেই মান ও চিত্র।
বুকের উঠোন ভাসিয়ে এক কষ্টনদী
আজও রাতের স্বাভাবিক পথে স্বাধীনতা বিলি করে।
রাতের কাছে তো স্বাধীনতা থাকে না !
রাতের আছে কালো দেয়াল
ঘুমভাঙা শব্দ আর ক্ষুধা, তাই...
রাতের কাছে বেয়াল্লিশের শরীর চাপিয়ে
 
পরদিন পতাকার সকাল এবং অচেনাই সব।
প্রতি বেলায় টের পাই-- কত ভিড় !
 
তবু কেউ আমার আত্মীয় নয়।
অনেক খারাপ রাস্তা পেরিয়ে ভালো রাস্তায় 
স্বাধীন নড়বড়ে গাড়ি, স্বতন্ত্র-
 
তার ভরে একেকটি যন্ত্রাংশ তুমি আমি ও সে,
ভিন্ন জাতের পাটকাঠি, ধর্মের ঘি আর রাজনীতির দেশলাই
স্বতন্ত্র তাপ মাত্রা পেরিয়ে
অঙ্গে অঙ্গ জ্বালায়,
অঙ্গ ভঙ্গ হয়,
ধোঁয়া ওঠে স্বাধীন নামের মায়ের চোখের জলে;
তবুও মান আর চিত্রে চরিত্র চেনা যায় না
প্রতিযোগিতার ছায়া ছড়াতে আসে মেঘ
সব রোদ মুছে যায় শূন্যতায়।
তুমিও স্বাধীন
আমিও স্বাধীন
সে স্বাধীন হতে চায়
মান অভিমান হয়ে চিত্র বদলায় মানচিত্রে, তবুও--
কোনো নতুন ভোর বিবর্তন এনে দেবে ঠিক।


কোন মন্তব্য নেই: