“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৮

ভুতুড়ে বাড়ি

।। অভীক কুমার দে ।।
(C)Image:ছবি









চোখের সামনে এখন যে দালান বাড়িটায় ভুতুড়ে পরিবেশ, যৌবনে রূপসী ছিল। প্রাণের ছটফটানি ছিল। পরিবেশ পরিস্থিতি রূপ কেড়ে নিয়েছে তার, যৌবনও গেছে চলে। দিয়েছে এক ভয়াল আবছায়া।

কারণ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, কোনও এক অপরিচিত পাখি বা পাখিদল বট না হয় অন্য কোনও বীজ রেখে গেছে বিষ্ঠায়। ওখানেই দালানের ক্ষত ছিল কে জানে ? তারপর বীজের কাজ বীজ করেছে।

মাথার উপর ফাঁকা ছাদটার আবেগ বেশি। সময়ে অসময়ে খুশি মতো চিন্তায় ডুবে যায়। মেঘ জমা হলে অঝোরে ভাসিয়ে দেয় বুক। খুব বেশি বৃষ্টি না হলেও কুয়াশার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া মুশকিল দালানের। বীজের তাতে ক্ষতি নেই, বরং খুশিতেই অঙ্কুরিত হয়েছে বেশ। চোখ মেলে, পাতা ছাড়িয়ে আকাশ দেখেছে। পাতার খাঁজে পাতা গজালো। একদিন দালানটাকেই জাপটে ধরেছে শিকড়। শ্যাওলায় ঢেকেছে বাড়ি, তার উপর নানান জাতের হেমলক।

যে পাখি বা পাখিদল বীজ রেখে গেছে হয়তো এ পথেই ডানা ভাসায়নি আর। গাছেদের ছায়া এসে ভর করেছে বাড়ির গায়ে এবং হেমলকীয় অন্ধকার। এমন সময় দিন আর রাতের মুখ মনে হয় একইরকম। যে প্রাণের ছটফটানি ছিল, অন্ধকার মেখে মেখেই নিঃশেষ হয়ে গেছে কোনও একদিন। বাড়ির অস্বস্তিই বা কার মনে দাগ কাটে ! দালান গেলে দালান হবে, প্রাণ গেলে প্রাণ। যদিও একদিন এই বাড়ির পন্থাই ঠিক ছিল, ভুল যা কিছু পন্থীর পন্থার।


কোন মন্তব্য নেই: