“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ঘুনপোকে স্বাধীনতা


।। আ.জাহিদ রুদ্র।।

(C)Image:ছবি








কান্নার আজ সোনায় সোহাগা
বিসর্জন ঘাটে ওপার হয়েছে যত্তসব দলিল-খসড়া
শক্ত ভীত সংশোধনে ওজনে বিক্রি অক্সিজেন
গোধিকা মুক্ত বিচরণ কম্পিত নভশ্চর হঠাৎ স্বার্থ বিঘ্নে,
উষ্ণ তুষারে প্রহেলি কিরণ, শিবিরে আত্মদহন
প্রহসন শুধু সংশোধন ঈক্ষণে।
লাল গোলাপ আঘ্রাণে ক্ষত কাঁটাঘাতে
সংশয়ে, সুন্দর-অমলিন বহিঃমননে,
নিরেট অনশন মেকি তৃষ্ণা মেটা
বোধোদয় ক্ষুধার্ত হিংস্র চিতা
প্রজন্ম পর প্রজন্ম আড়ালে সূর্য হাসে
জ্যোৎস্নার আচলে নেড়ে, যৌবন স্রোতে
ইয়াবোর ময়ূর পঙ্খি বলে অন্তিম লগ্নে,স্বপ্ন-চক্ষু।
নবোদ্গত অঙ্কুর পলিমাটি অভাবে অশ্লীল দাগে
পলিথিন ব্যাগে মুখ বাঁধা শহর ড্রেনে,
 র‍্যাবিশ জিভে কচি খুলি চাটে
ব্যাঙ্গ করে কার্নাসিয়াল বের করে
স্বতন্ত্র দেহটা 'বাবা ও বাবা' কিবা 'মা' বলে ডাকে
অজুহাতে ভালো আছি,তুমি থেকো সুখে।
ভালোই তো সমকামিতা নির্ভেজাল মনোবাসনা
এতোসব নেই চিন্তা, পুরো সাপোর্ট দুহাত তুলে
খারাপ লাগবে কিছু শ্বাপদের প্রতি,রবে ক্ষুধার্ত যথারীতি
তবু বাঁচবে, আমি জানি
জহুরি জহর চেনে খাঁটি অঙ্ক কষে।


কোন মন্তব্য নেই: