“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আমার তুমি

।।  সুপ্রদীপ দত্তরায়।।

(C)Image:ছবি









পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা পড়ছিলাম 
তোমার ফোনের অপেক্ষাতে আছি । 
মনে মনে তোমাকেই ভাবছিলাম 
সেই কবে আইনক্সে গেছি 
তারপর আর যোগাযোগ নেই, 
অনেক চেষ্টা নিয়েছি ফোনে 
চক্কর কেটেছি তোমার স্কুল 
বাসস্ট্যাণ্ড, গোটা পাড়াটাতেই
কটা দিন কেটেছে শুধু তোমার চিন্তাতেই ।
বাড়িতে নিশ্চয়ই  কোন গণ্ডগোল নেই ? 
আমার ভীষণ ভয়, 
শেষে কিনা সবটাই জানাজানি হয়।
ফোন কলগুলো ডিলিট করছো তো ?
নজরে যদি পড়ে, রক্ষে নেই।
যা একখানা বৌ তোমার  ---
বৌ তো নয়, একেবারে দীপক কুমার ।
কী করে যে বুঝে যায়, বুঝতে পারি নে।
সেবার দীঘাতে ছিলাম, মনে আছে, আউটিঙে 
তোমরাও গিয়েছিলে সেদিনই সেখানে 
তোমাদের হোটেল ছিল কামালপাশা
আমরা ঠিক পাশেরটাতেই --  'ভালবাসা '
সবটাই প্ল্যান ছিল , রুমটাও তাই
ঠিক যেন স্ক্রিপ্ট লেখা, আচমকাই ।
দেখা হবে, চোখে চোখে কথা হবে , 
ভাব হবে, ভাবখানা এই
যেন সবকিছু ঘটে যাবে হঠাৎই ।
তোমার বৌ কিন্তু খুব  সাংঘাতিক 
কী করে যে বুঝে গেছে ব্যাপারটা ঠিক 
বললে, "এই যে মিসেস মল্লিক , 
কী সৌভাগ্য আমার , 
এখানেও আবার দেখা, তোমার আমার 
একবার দেখতে পারি আপনার টিকিট ।
আমি কিছু বোঝার আগেই বললে, 
একটা ব্যাপার আছে, খুব ইন্টারেস্টিং
দেখলে আপনিও অবাক হবেন ।
যন্ত্রের মত দিলেম, বাড়িয়ে টিকিট 
বললে, কী অবাক কাণ্ডটা দেখুন 
আমাদের মধ্যে কী অদ্ভুত মিল 
দুজনেই এলাম সেই কলকাতা থেকে 
দীঘাতে এলাম তাও একই দিনে
বিশাল সমুদ্র পাড়ে পাশাপাশি হোটেল
রুমটা এলোট হল সেও পাশাপাশি ভাবে 
টিকিট কাটা দুটোই পনেরো তারিখ 
ট্র্যাভেলর আমাদের সেই আলাউদ্দিন , 
আরো কিছু  আছে নাকি অবাক হবার ?
অদ্ভুত শীতল কণ্ঠে বললে আমায় --
প্ল্যানটা ছিল কার ? ওর নাকি আপনার ? 







কোন মন্তব্য নেই: