“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

অনামিকার বয়ান

।।           রফিক উদ্দিন লস্কর          ।।

(C)Image:ছবি















 
কোন রাতের অন্ধকারে লুকিয়েছিলাম তোমারই গর্ভে
সামাজিক ধরাবাঁধা আছে তাইতো!
আমার স্থান নর্দমায়, নাহয় পলিথিনে মোড়া কোন ব্যাগে,
নাড়ি কাটা হয়েছে খুব তাড়াহুড়ো করে
কোন নামই রাখা হয়নি।
পাবো কি বাবার আদর আর মাতৃসুধা!
সেই অধিকারটুকুও আমার নেই, কারণ...
লোকলজ্জার ভয়ে তোরা ছুটে গেছো অনেকদূর।
আমি চিৎকার করে কেঁদেছি পৃথিবীকে দেখে
তুমি কি শুনতে পেয়েছে? না...
শুনলে তো চলে আসতে এই পৃথিবীকে পাল্টিয়ে।
শুধু শুনেছে ঐ রাস্তার কুকুরের দল
ওরা অজানা থেকেও আবিষ্কার করে নিল, কিন্তু...
ওরাও আমায় রেহাই দেয়নি। 

ধারালো নখে আমার পাঁজরগুলো ছিঁড়ে ফেললো
খুব যন্ত্রণা হয়েছিল যেমনটি তোমার।
তোমায় ভালোবাসি বলে যে আমার জন্ম দিলো 

সে কি মানুষ?  না কখনো তা হয়না,
ভালোবাসার মানুষ হলে সে কি কখনো 

লোকের অগোচরে কুকুর দিয়ে আমায় খাওয়াতো??


_______________

১৮/০৯/২০১৮ইং
নিতাইনগর, হাইলাকান্দি (আসাম-ভারত)

কোন মন্তব্য নেই: