“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মেঘের দেয়াল

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি









ড়ে যেতে যেতে বলেছিল পাখিদল-- 'বহুদূর',
এই সুর দূর থেকে ভেসে এসেছিল
বহুবার, এক অদ্ভুত শূন্যতা
আকাশের ফাঁকা ঘর
মেঘ ঢাকা ভারী সড়
পাখিদল মুছে যায়, সরে সরে দূরে যায়।
হতাশ চোখে কালো মেঘ ঘন হলে
তরলে সরল আঘাত,
সবশেষে টের পায়--
যত সব বাঁকা আঁকা, ভেতরটা বেশ ফাঁকা
মৃত্যুর রংচটা ক্যানভাস,
ছুটছে লাইন, সাব্বাস...
সতীর মতো ক্ষতি আর ক্ষতি,
বুকের মতোই মাটি ফাটে
 
মাটির মতো বুক,
রাম জানে নাম কত
যায় দিন বাড়ে ক্ষত,
মিছিলের গতি বলে-- চিতাতেই সুখ।
এই সুর দূর থেকে ভেসে এসেছিল
উড়ে যেতে যেতে বলেছিল পাখিদল-- 'বহুদূর'
এ সবই রাক্ষুসে জাদুঘরে ভুল যত
আরও ভুল হয়ে বিন্দুতে মিশে যায়
পাখি, চেলাদের পাহারায়
শব্দেরা ওঠে- নামে,
বাতাসে করুণ সুর,
কান পাতলেই শোনা যায়--
 
বলেছিল পাখিদল-- 'বহুদূর'


কোন মন্তব্য নেই: