“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শহরের নাড়ি

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি














হুরে হলেই হৃদপিণ্ড নয়।
#
শহরের রক্তবাহিকা নাড়িকে নারীর মতোই জানি।
#
শহুরিয়া ছন্দে আবেগ নেই,
প্রয়োজন।
#
প্রয়োজন শব্দ বোঝে,
শব্দের আছে লয়,
এই লয় সুর খুঁজে মাচায় ওঠে, শোনায় ইতিহাস।
#
গাঁয়ের মাচায় গ
রিব শহর।
গেঁয়োরাও জালিক চেনে।
#
শহরের গায়ে উড়াল সভ্যতা,
তবুও বটতলার শ্রমিক বাটতলায়।
#
কংক্রিটের ধূর্ত ঠোঁট সব
বর্ষা এলেই ডুবে যায় নর্দমায়।
#
জানালার কার্নিশে ঠোঁট ঘষে কাক,
দমবন্ধ ভেতর ঘর।
#
একেকটি বর্ষার পর কাদামাখা মুখ
মিঠে সুরে গান গায় দৈনিক কাগজে।
#
শহরের প্রাবন্ধিকতা জানে না--
মিঠে সুরে ঋতু আসে না, ঋতুতেই মিঠে সুর।


কোন মন্তব্য নেই: