“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শিক্ষাচাল

(C)Image:ছবি












।। অভীক কুমার দে ।।
রিবেশের প্রতিষ্ঠান, প্রাণীরা শিক্ষার্থী, বস্তুজগৎ শিক্ষার সামগ্রী ও প্রকৃতি এক শিক্ষক। ইচ্ছায়- অনিচ্ছায় প্রাণীরা সেই জ্ঞানের পাত্র বাজিয়ে শব্দ শেখে, জীবনশব্দ। জীবনশব্দের বহু শাখা- প্রশাখা, পাখিরব থেকে ঝরা পাতার যন্ত্রণা অথবা বিরাটের ভেতর বিরাট- মৃত্যু।
শিশুতে রান্নাবাটি ও সেই সত্য যেমন, ঠিক তেমন বিস্তারে বিস্তৃত শিক্ষাচাল। অনুশীলনের জাল টানে অঙ্ক, কিছু সংখ্যা ওঠে ভেসে এবং গড়ে তোলে প্রতিষ্ঠিত টাকাধরা।
মানুষ ছিল, মানুষ আছে, একদিন মানুষ মানেই একেকটি প্রশ্নচিহ্ন হয়ে বঁড়শির মতোই খুঁজবে শরীরের পর শরীর। মহড়াময় শিক্ষাপাটি আর ইশকুল- ইশকুল খেলায় ভাতের চালে ছত্রাক পড়া জ্বর।
খালি পেট জালি হয় লাশকাটা শিক্ষায়,
বস্তায় টাকা পেলে শিক্ষাও পস্তায় !

টাকাধরা জাল ছুঁড়ে মানুষের রাস্তায়,
খালি পেট খালি হলে চাল মেলে সস্তায় !

এই চাল সেই চাল মানুষের সত্তায়,
জঞ্জাল ঘেঁটে কারা সুখ খোঁজে পান্তায় ?



কোন মন্তব্য নেই: