“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মধ্যরাতে উদ্বাস্তুর কান্না-৩

।।শৈলেন দাস।।

(C)Image:ছবি







র্মের দোহাই দিয়ে টুকরো করে দেশ
সীমানার বাইরে ফেলে রেখে আমাদের
ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব অর্জন করলে তোমরা
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর অভয়বাণী দিয়ে
আমাদের করলে সর্বনাশ।
তারপরের ইতিহাস সবার জানা
মেঘনা-পদ্মার জল ক্রমশ লাল হল
ভাসল তাতে আমাদের পূর্বজদের লাশ
আমরা মা-বোনের সম্ভ্রম ও ধর্ম বাঁচাতে
 
ছাড়লাম সোনার দেশ।
এপারের প্রেক্ষাপট অবাক করার মত
ধর্মের দোহাই দিয়ে উত্তাল করে দেশ
ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব অর্জন করল যারা
তারাই নিজেদের প্রতিশ্রুতি ও অভয়বাণীর
দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকরণ করে
আমাদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলে
স্বধর্মের উৎস ভূমিতে আমাদের সুধায়
কোথায় আমাদের দেশ!
নিজ ধর্ম ও সম্ভ্রম বাঁচাতে অক্ষম আমরা নাকি
এখানকার ভাষা- সংস্কৃতির জন্য হুমকীস্বরূপ
এমন অমানবিক অপপ্রচার করে যারা
তাদের একাংশ আবার প্রায়ই দেখি
বামে হেলে আওরায় বিশ্বমানবতার বাণী
পড়ে নেয় মেকী মুখোশ!
ধর্মের বর্ম আজ এখানেও অকেজো, অসার
মানবতা এখানে ক্ষমতা অর্জন পর্যন্ত সীমিত
ভাষা ও বাম শরে বিদ্ধ, আহত আমরা
'ভীষ্মের স্বেচ্ছামৃত্যু'ই কি তবে ভবিতব্য
 
আমাদের সুদিনের শেষ?


কোন মন্তব্য নেই: