“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

নাড়ির সাথে আড়ি

।। আ.জাহিদ রুদ্র ।।

(C)Image:ছবি











র ক'দিন বাকি!
আর নয় বাকি, সময় দোরগোড়ায়
প্রবীণ ঠকছে তারে প্রজন্ম রসাতলে
শনি ঘাড়ে, নিশুতি বর্বর অভিযুক্ত আস্ফালনে।
মরুক তবু মুখে কুলুপ ঐ বজ্জাত মগজে
কাজল সানগ্লাসে প্রগাঢ় লাল সিগনাল
হটসিটে শূন্য হৃদ
ভাবছো
শব্দ জোড়া দেবে, ব্যস্ত অভিসম্পাতে।
হাঁটু জলে ভয় তবু উড়াও বিজয় কেতন
শক্ত শেকড়ে গৌরব-ঐশ্বর্য!
ফিরনি-পায়েসে সাধুবাদী যুক্তি
আমি না ই দেখবো, তোরা দেখবি
বদলাবে ওরা ন্যায় সঙ্গত যুক্তি, ফুরাবে কালি!
ঠ্যাং ভাঙছে ইচ্ছাধারি নাগ-নাগী
বাটখারায় ওজন বাড়ছে
 
খেজুর স্বাদিষ্ঠ বেশধারী
বেলাল্লাপনায় সহচরী স্বঘোষিত নির্বাচক
ফেরার নির্দ্বিধায় বনেদি ঘ্রাণে সহযাত্রী
তাই, নাড়ির সাথে আড়ি।


মেঘের দেয়াল

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি









ড়ে যেতে যেতে বলেছিল পাখিদল-- 'বহুদূর',
এই সুর দূর থেকে ভেসে এসেছিল
বহুবার, এক অদ্ভুত শূন্যতা
আকাশের ফাঁকা ঘর
মেঘ ঢাকা ভারী সড়
পাখিদল মুছে যায়, সরে সরে দূরে যায়।
হতাশ চোখে কালো মেঘ ঘন হলে
তরলে সরল আঘাত,
সবশেষে টের পায়--
যত সব বাঁকা আঁকা, ভেতরটা বেশ ফাঁকা
মৃত্যুর রংচটা ক্যানভাস,
ছুটছে লাইন, সাব্বাস...
সতীর মতো ক্ষতি আর ক্ষতি,
বুকের মতোই মাটি ফাটে
 
মাটির মতো বুক,
রাম জানে নাম কত
যায় দিন বাড়ে ক্ষত,
মিছিলের গতি বলে-- চিতাতেই সুখ।
এই সুর দূর থেকে ভেসে এসেছিল
উড়ে যেতে যেতে বলেছিল পাখিদল-- 'বহুদূর'
এ সবই রাক্ষুসে জাদুঘরে ভুল যত
আরও ভুল হয়ে বিন্দুতে মিশে যায়
পাখি, চেলাদের পাহারায়
শব্দেরা ওঠে- নামে,
বাতাসে করুণ সুর,
কান পাতলেই শোনা যায়--
 
বলেছিল পাখিদল-- 'বহুদূর'


শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জীবনাঙ্ক


               















   ।। সিক্তা বিশ্বাস ।।

                        
কোন সময়ে পানসি সাজায় ----
জীবনরাগের এ কোন বেলায়
মাঝী মত্ত কোন সে খেলায়
মন্থর গতি নাওয়ের চলায় l
জীবন শেখায় বৈঠা বাওয়া 
বিপরীত ঠেকে স্রোতের হাওয়া !
তবুও আশা মনে বাসা
জীবন-বিস্ময় বড়ই খাসা l
বিধির বাঁধন কঠিন জীবন 
কি করে হয় আশার সেচন
 
ধাপে ধাপে ঝড়ের মাতন
 
ঘাত-প্ৰতিঘাতে ইচ্ছে দমন !
দিনে দিনে ইচ্ছে দান 
কিসের ইচ্ছে কিসের মান !
অন্তরজ্বালায় বিষবৎ জ্ঞান
'কি জীবনাঙ্কের ফলপ্রদান !
   
             ************
(ঝোড়োমেঘ)
                       ২৮ - ৯ - ১৮ ইং ,
                        শিলং l

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ঘুনপোকে স্বাধীনতা


।। আ.জাহিদ রুদ্র।।

(C)Image:ছবি








কান্নার আজ সোনায় সোহাগা
বিসর্জন ঘাটে ওপার হয়েছে যত্তসব দলিল-খসড়া
শক্ত ভীত সংশোধনে ওজনে বিক্রি অক্সিজেন
গোধিকা মুক্ত বিচরণ কম্পিত নভশ্চর হঠাৎ স্বার্থ বিঘ্নে,
উষ্ণ তুষারে প্রহেলি কিরণ, শিবিরে আত্মদহন
প্রহসন শুধু সংশোধন ঈক্ষণে।
লাল গোলাপ আঘ্রাণে ক্ষত কাঁটাঘাতে
সংশয়ে, সুন্দর-অমলিন বহিঃমননে,
নিরেট অনশন মেকি তৃষ্ণা মেটা
বোধোদয় ক্ষুধার্ত হিংস্র চিতা
প্রজন্ম পর প্রজন্ম আড়ালে সূর্য হাসে
জ্যোৎস্নার আচলে নেড়ে, যৌবন স্রোতে
ইয়াবোর ময়ূর পঙ্খি বলে অন্তিম লগ্নে,স্বপ্ন-চক্ষু।
নবোদ্গত অঙ্কুর পলিমাটি অভাবে অশ্লীল দাগে
পলিথিন ব্যাগে মুখ বাঁধা শহর ড্রেনে,
 র‍্যাবিশ জিভে কচি খুলি চাটে
ব্যাঙ্গ করে কার্নাসিয়াল বের করে
স্বতন্ত্র দেহটা 'বাবা ও বাবা' কিবা 'মা' বলে ডাকে
অজুহাতে ভালো আছি,তুমি থেকো সুখে।
ভালোই তো সমকামিতা নির্ভেজাল মনোবাসনা
এতোসব নেই চিন্তা, পুরো সাপোর্ট দুহাত তুলে
খারাপ লাগবে কিছু শ্বাপদের প্রতি,রবে ক্ষুধার্ত যথারীতি
তবু বাঁচবে, আমি জানি
জহুরি জহর চেনে খাঁটি অঙ্ক কষে।


সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ভবিষ্যৎ ইতিহাসে.......

।। আ.জাহিদ রুদ্র ।।









মস্ত পর্ব অনিকেত,মানচিত্রটাও বিকৃত
চিলেকোঠায় বন্দি এককোষী
অপেক্ষা, তৈরিতে ব্যস্ত সোপান
...........রাজমিস্ত্রি।
হর্ষে খেদ বিস্ময়ে দ্যুলোক অস্থির,মজ্জা দোষের ফল
উপত্যকা নিঃস্ব অজ্ঞাত অধিবেশনে
অকেজো লৌহমানব 'ডি এন এ' টেস্টে
ব্লাড গ্রুপে ক্ষয় রোগ, চৌরাস্তায় সাদা মাখন ভক্ষণে
শতাব্দীর গুজব সেলে প্রাক্তন প্রেমিক
 
আর্দ্রাজালে
  বইছে নিরবধি।
আকণ্ঠ বিষপানে অন্তঃসত্ত্বা অনির্ধারিত সংগোপনে
মেটে না লোভী হায়নার তেষ্টা,
দ্যাখ, খেলছে ওরা অযৌক্তিক নীতিজ্ঞ স্তবক-চিহ্নে
বর্ণাঢ্য নর্তকীনূপুরের ঝন-ঝনে শিহরিত
উত্তেজিত,একনায়কের মর্টার
সর্বস্বে দেখি,লহরে বিজয় কেতন
তবে রুটিন মাফিক লাগবে স্যান্ডউইচ-বাটার-কোলা
আর অখাদ্যটা রেখে দিস ঐ কৃশ কুকুরটার জন্য,
বেচারা দোয়া দেবে!
ভবিষ্যৎ ইতিহাসের পাতায় আবার বর্তমান হবে।


শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জলশিল্প

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি









প্রতিদিন আলোয় সমাপ্তির খোঁজ
এক নিয়মিত মহড়া।
সমাপ্তি এক শূন্যতার নাম।
শূন্যতা মানেই অদৃশ্য,
অদৃশ্য থেকে ভেসে ওঠে জীবন এবং দর্শন।
অদৃশ্যে অনন্ত ঘুম আকাশের,
স্বপ্ন কিছু উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ায়।
রশ্মিও নিজের রূপ দেখাতে চায়,
দেখতে চায় সৈকতের কত প্রেম রূপে।
যদিও সূর্য কোনো ডুবুরি নয়,
দিনের শেষে আলোটাই ডুবে।
দিনের শেষ আলো ওড়না বিছিয়ে ঘুমোলেই
সাগরজলে জোয়ার আসে।
যত সব দেনা- পাওনার হিসেব করে দেখি--
মনের জলবিছানায় জীবিকার ঘুম নেই।
বুকে জমা ইচ্ছেমায়ায় নীল চোখ,
চেয়ে থাকে জলশিল্প।


বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

অবিশ্বাস


























।।    রফিক উদ্দিন লস্কর   ।।



বটুকু দিয়েছি উজাড় করে
আমারই আছে যতো, 
নিজেই আজ পালিয়ে বেড়ায়
ফেরারি পাখির মতো।
আমি নই ওস্তাদ নই অভিনেতা 

নহি কোন জাদুকর, 

হাসিমুখ দেখে বুঝে নাই কেহ
ভাঙা যে মনের ঘর। 

এ দুর্দিনে শুনিবে কি কেহ আর
আমারি কষ্টের কথা,
হারিয়ে গিয়েছে যে ছিল শোনার 

সবচেয়ে মনযোগী শ্রোতা।
___________
নিতাইনগর,হাইলাকান্দি(আসাম)

বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

তবুও বলছি

।।        রফিক উদ্দিন লস্কর      ।।






মি জানি; তাই আকাশের সাথে কথা বলি
তোমার উষ্ণ দীর্ঘশ্বাসগুলো আজকাল...
কেবল মুক্তি খোঁজে অপরিণাম আক্রোশে!
 
আগাম জানিয়ে দেয় ঐ রক্তচক্ষু।
চুরমার করে শ্যাওলার পাহাড়
 
বুকের জমিনে বিছিয়ে রাখব সবুজ ঘাস।
রোজ সকালে খুঁজে নিতে পারো
দেখবে শিশিরবিন্দুর মত মুক্তো মুক্তো ঘাম,
ইচ্ছে হলে নগ্নপদে হাঁটতে পারো।
যদি পথ ভুল হয় তোমার,
 
আমার ভাবনার শেষ সীমানায় এসে
হৃদয়ের স্পন্দন শুনে খুঁজে নিও গতিপথ।



মধ্যরাতে উদ্বাস্তুর কান্না-৩

।।শৈলেন দাস।।

(C)Image:ছবি







র্মের দোহাই দিয়ে টুকরো করে দেশ
সীমানার বাইরে ফেলে রেখে আমাদের
ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব অর্জন করলে তোমরা
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর অভয়বাণী দিয়ে
আমাদের করলে সর্বনাশ।
তারপরের ইতিহাস সবার জানা
মেঘনা-পদ্মার জল ক্রমশ লাল হল
ভাসল তাতে আমাদের পূর্বজদের লাশ
আমরা মা-বোনের সম্ভ্রম ও ধর্ম বাঁচাতে
 
ছাড়লাম সোনার দেশ।
এপারের প্রেক্ষাপট অবাক করার মত
ধর্মের দোহাই দিয়ে উত্তাল করে দেশ
ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব অর্জন করল যারা
তারাই নিজেদের প্রতিশ্রুতি ও অভয়বাণীর
দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকরণ করে
আমাদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলে
স্বধর্মের উৎস ভূমিতে আমাদের সুধায়
কোথায় আমাদের দেশ!
নিজ ধর্ম ও সম্ভ্রম বাঁচাতে অক্ষম আমরা নাকি
এখানকার ভাষা- সংস্কৃতির জন্য হুমকীস্বরূপ
এমন অমানবিক অপপ্রচার করে যারা
তাদের একাংশ আবার প্রায়ই দেখি
বামে হেলে আওরায় বিশ্বমানবতার বাণী
পড়ে নেয় মেকী মুখোশ!
ধর্মের বর্ম আজ এখানেও অকেজো, অসার
মানবতা এখানে ক্ষমতা অর্জন পর্যন্ত সীমিত
ভাষা ও বাম শরে বিদ্ধ, আহত আমরা
'ভীষ্মের স্বেচ্ছামৃত্যু'ই কি তবে ভবিতব্য
 
আমাদের সুদিনের শেষ?


মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শব্দ জোনাকি

।।শৈলেন দাস।।
(C)Image:ছবি







তোমার ফ্ল্যাটবাড়ির পর্দার ফাঁক গলিয়ে
যেটুকু আলো এসে পড়ে ফুটপাতে
তারচেয়েও অনেকটা কম আলোকিত আমার জীবন।
এরপরও যখন দিনের শেষে ক্লান্ত, হতাশ
আমাকে মুখোমুখি হতে হয় তোমার
তখন যাবতীয় ব্যর্থতা, গ্লানি ঢেকে দিতে আমি
একঝাঁক শব্দ জোনাকি করি আবাহন

অনামিকার বয়ান

।।           রফিক উদ্দিন লস্কর          ।।

(C)Image:ছবি















 
কোন রাতের অন্ধকারে লুকিয়েছিলাম তোমারই গর্ভে
সামাজিক ধরাবাঁধা আছে তাইতো!
আমার স্থান নর্দমায়, নাহয় পলিথিনে মোড়া কোন ব্যাগে,
নাড়ি কাটা হয়েছে খুব তাড়াহুড়ো করে
কোন নামই রাখা হয়নি।
পাবো কি বাবার আদর আর মাতৃসুধা!
সেই অধিকারটুকুও আমার নেই, কারণ...
লোকলজ্জার ভয়ে তোরা ছুটে গেছো অনেকদূর।
আমি চিৎকার করে কেঁদেছি পৃথিবীকে দেখে
তুমি কি শুনতে পেয়েছে? না...
শুনলে তো চলে আসতে এই পৃথিবীকে পাল্টিয়ে।
শুধু শুনেছে ঐ রাস্তার কুকুরের দল
ওরা অজানা থেকেও আবিষ্কার করে নিল, কিন্তু...
ওরাও আমায় রেহাই দেয়নি। 

ধারালো নখে আমার পাঁজরগুলো ছিঁড়ে ফেললো
খুব যন্ত্রণা হয়েছিল যেমনটি তোমার।
তোমায় ভালোবাসি বলে যে আমার জন্ম দিলো 

সে কি মানুষ?  না কখনো তা হয়না,
ভালোবাসার মানুষ হলে সে কি কখনো 

লোকের অগোচরে কুকুর দিয়ে আমায় খাওয়াতো??


_______________

১৮/০৯/২০১৮ইং
নিতাইনগর, হাইলাকান্দি (আসাম-ভারত)

সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আসল কতা অইলো গিয়া

(C)Image:ছবি
  ।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন ।।


ই বছরের আগিলা পুজাডা গনেইস্সাই ধইরা লাইছে পরিসংখ্যান দপ্তরের খাতাপত্রে অহন পইরযন্ত দুই হাজার সারে আঢারডা গণেশপুজার পাত্তা পাওয়া গেছে এইডা খালি আগরতলা শহরের হিসাব   মমস্সলেরটি অহনঅ আইয়া সারছে না নেট খারাপ বিশ্বকর্মা ঠাউর রওনা দিবার লগে লগেঅই  তার স্যাটেলাইট ইনডাসটিকের কর্মীরা যে যার বাইৎ গেছেগা গিরস্ত বাইৎ গেলেগা খেতের কামলারা যেমুন করে আরকী না আসল কতা অইলো গিয়া হিসাবটা ভেজাইল্লা লাগতাছে আবার সারে কেরে?  এইডা কুন হিসাব ?  দ্যাবতার আবার আধা কী?  না আসল কতা অইলো গিয়া মিনিসিপালির থিক্কা যহন গনাত বাইর অইলো তহন দেহা গেল কুনু কুন চুমুনির ধারে গণেশ ঠাকুররে একলা ফালাইয়া ভক্তরা নেশামুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করনের লাইগ্গা হিয়ানতে সইরা গেছে কী করন যায়, বছরের পর বছর ইট্টু ঠাণ্ডা গরমের ব্যাপার চইল্লা আইছে পট কইরা তো আর বাদ দেঅন যায়না মানসম্মানের একটা পেসটিজ আছেনা এর লাইগ্গা গনইন্নারা গিয়া তথ্য লেহনের লাইগ্গা কেউরে পাইছেনা ঠাউর বুইল্লা কতা বাদ দেয় ক্যামনে মিনিসিপালির প্রণববাবু সাব্যস্তের মানুষ নাটক পরিচালনা করেন গুণী মানুষ চিকন বুদ্ধিও আছে তাইনের বুদ্ধি একখান বাইর করলেন মানুষ নাই দেবতা আছে এমুন যে কয়ডা পাইবেন অদ্দেক হিসাব ধইরা লান বার বার কী আর আঅন যাইব'? সাপঅ মরল', লাডিঅ বাংলনা হেমনে যাইয়া এই হিসাডা খারাইছে
আসল কতা অইলো গিয়া গণেইশ্শা পূজার বাজারটা কেমনে ধরছে দ্যাহেন আগরতলা শহরের চুমুনিডির কুনকুনুডার মইদ্দে শনিবার শনিবারে শনিপূজা অয় ইডারঅ বাচ্ছরিক পূজা আছে কুনুকুনু জাগাৎ আগরতলার শনিঠাকুর খুব জাগ্রত চুমুনির মইদ্দে একছিডেন অইলেঅই শনিপূজা শুরু অইআ যায় এই শহরে শনিতলা বুইল্লা একটা জাগাঅ আছে কিন্তু মহাদেবতলা নাই, দুগ্গাতলা নাই, লক্খীতলা নাই, কাত্তিকতলা নাই আর কত কমু শনির ইহানঅ খুব নাম ডাক তাইনেই ছেলিব্রিটি আগরতলার ওপেন ফিল্ডে গণপতি ঠাকুরের আগমনে এইবার পরের দিনের শনিপূজাডিও মাইর খাইছে শনিপূজার কয়দিন আগের থিক্কা লাইটিং মাইক মিল্লা রাস্তার মইদ্দে একটা অরন্ডি লাইগ্গা যাইত এইবার গণপতি বাপ্পা মোরিয়া শনিরে মুড়াইয়া লাইছে মাথা বদলাইয়া দেওননি ছুডুবেলা? মামা গো! বুজছিলা হাতির মাথাৎ কুনুতা ধরতোনা তুমি রাজত্ব করবা? আর অইতোনা পঁচিশ বছর বহুত করছ' আর জ্বালাইওনা ( ছরি,  কেউ রাজনীতিৎ নিয়েননা)  আসল কতা অইলো গিয়া শনিঠাউর গত শনিবার জমাইতেই পারলেননা মাইক, লাইটিং,  থার্মোকলের বাটিৎ খিচুড়ি, ফাইড রাইস কুনুতানেই কুনু কাম অইলনা হগ্গলতে এইবার ডাইটিং না করইন্না দেবতাডার দিকে ফিরা দৌড় লাগাইছে কেমনে এই দেহডা লইআ সুগার টুগার ছাড়া বাঁইচ্চা থাহন যায় ইডাঅই জানত' চায় হক্কলে ডাক্তারের চরণে ট্যাহা ঢালতে ঢালতে ফতুর হ্যাকজন শনিঠাউর অ আর কিতা করতাইন বয়সঅ অইছে কোপের দৃষ্টিও নাই হাই পাওয়ার চশমা লাগে কি আর করন যায় কালের কাল বাইস্সা কাল,  ছাগলে চাডে বাঘের গাল আবছা দৃষ্টিতে  ভাইগনা গণেশের মন্ডবের দিকে চাইয়াই রইছেন সামনে দিয়া ঢাক বাজাইয়া, ট্রাকঅ উডাইয়া গণেশরে লইয়া যাইতাছে মাইনষে গণেশে নামে ধ্বনি দিতাছে গো!  মনে পডে হেই গানডা- ফাইট্টা যায়, বুকটা ফাইট্টা যায়! 

               এইত গেল শনি ঠাউরের দুর্দশার কথা আর আজগা দেহি বিশ্বকর্মারঅ মাথাৎ বারি পড়ছে তাইনে সক্কালবেলা মাডিৎ লাইম্মাঅই টের পাইয়া লাইছইন  এবছরের ভাইল বালানা আসল কতা অইলো গিয়া কয়দিন আগে গণেশ ঠাউরের পূজার মাইদ্দে মাইনষে যেমনে লামছে আর চান্দা টান্দা দিয়া হাত খালি কইরা লাইছে খরচাপাতি করছে বিশ্বকর্মার চাপটা যেমন নেওন যাইতাছেনা মাইনষের হাতঅ ট্যাহা পইসা কিচ্চু নাই অন্যান্য বছর বিশ্বকর্মা পূজার দিন কুনুক্কানঅ যাওন যাইতোনা গাড়ি রিসকার অভাবে পূজার আগে মানে দুফরের পরে ছাড়া রাস্তাৎ বাইর অইতনা গাড়ি টারি এইবার এমন কিচ্চু সমস্যা নাই হগ্গলে ট্যাহা কামানির ধান্দাৎ লাগছে সহাল থিক্কা কুনসময় পূজা দিল',  কুনসময় কিতা অইল চার দুহানের  কুনাৎ যাইয়া বিশ্বকর্মা পুরিতরকারির অর্ডার দিয়া নিরিবিলি খাইতাছ্ল দুই একটা কথার আওয়াজ কানঅ বারি দিল ছয়-সাতমাস দইরা রুজি নাই, রেগার কাম নাই, কন্টাক্টরি নাই , কর্মচারীরার পে- কমিশনডাও ঝুলতাছে মাইনষের হাতঅ ট্যাহা পইসা আছে আর কত, থাকবঅ কত আহ হায়রে কী ব্যারাছেরার মাইদ্দে আইলাম- বিশ্বকর্মা মনে মনে কয় মনে মনে আবার হাসেঅ কদিন পরে ত বড় বৌদিঅ বাপের বাড়িৎ আইব আইবার সময় দেইক্কা আইছে কোমারে আঁচল প্যাঁচাইয়া বড়দার লগে ঝগড়া করতাছে বড়বৌদি বাপের বারিৎ আইঅনের লাইগ্গা আর ইহানঅ যে ভাতিজা বাজারডার দহল লইয়া লাইছে তাইনে কইতারবনি
            দুহানদাররে টিফিনের ট্যাহাডা দিয়া বাইর অইয়া একটা বিড়ি ধরাইয়া সুখটান দিল বিশ্বকর্মা চুমুনির মাঝখানঅ বিড়ি জ্বালাইছে পুলিশে ধরবনি ব্যাডারে আরেনা বিশ্বকর্মা জানে, ইহানঅ আইন অয় মানন লাগেনা গাড়িৎ উডেন, অটুৎ উডেন য্যামনে মন্দের হ্যামনে ভাড়া লইতাছে যাত্রী লইতাছে রাজ্যরে নেশামুক্ত করতাছে আবার মদের বার খুইল্লা দিতাছে সাপের মুহঅ চুমা চলে আবার ব্যাঙের মুহেঅ আসল কতা অইলগিয়া বড় বৌদিরে একটা ফুন করন লাগে ভাতিজার কান্ডকীর্তিডা জানান দরকার কদিন আগে বৌদি একটা মুবাইল লইআ আইছিল একটা সিম লাগাইয়া দেওনের লাইগ্গা একটা নিজস্ব মুবাইলের খুব দরকার ভক্তরা ফুন করে লক্কু-সরুর মোবাইলে তারা বিরক্ত অয় তারার গেইম খেলায় ডিসটাপ অয় একজন ভক্ত গতমাসে দিল মুবাইলডা বিশ্বকর্মা তার সিমের টাল থিক্কা একটা স্পেশাল নম্বরের সিম লাগাইয়া দিল মুবাইলডাৎ নম্বরটা মনে থাকার মতো আবার নিরাপদও পাঁচটা পাঁচ আর তিনটা তিন দিয়া নম্বরটা বৌদিরে বুঝাইয়া কইল নম্বরের ব্যাখ্যা পাঁচটা পাঁচ মানে বড়দার পঞ্চানন আর তিনটা তিন অইলো আপনার ত্রিনয়ন সব মিলাইয়া দশ ডিজিটের নম্বর বৌদি খুব খুশি পহেটতে নিজের মুবাইলডা বাইর করল বিশ্বকর্মা নম্বরটা মনে আছে ফাইভ ফাইভ ফাইভ ফাইভ ফাইভ থ্রি থ্রি থ্রি...... হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো বৌদি আমি বিশু কইতাছি আরে!  রিং অয় কাইট্টা আবার করে এবার কয় নট রিচেবল আবার নেটওয়ার্ক ষেত্র সে বাহার হ্যায় আবার ট্রাই করে হুরুজা সুইচ্ড অফ মোবাইল কুম্পানিডিও যে ... আরে স্বর্গে তো বিশ্বকর্মারই নেটওয়ার্ক চলে কারে দুষতাছে তাইলে কী তার কর্মচারীরা? আসল কতা অইলো গিয়া..........