“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

মানুষ পোড়া ছাই


।। শিবানী দে।।









মানুষ পোড়া আমিষ গন্ধে পাগল কিছু লোক---
শোর শোনা যায়এপ্রান্তেও আগুন লাগা ঝোঁক
এদিক থেকে তুমি পোড়াবেআগুন হবে ধার,
ওধার থেকে সে পোড়াবেদুইয়ে দুইয়ে চার 
ছড়াবে তুরন্তসুতীব্র বেসামাল দাবানল,    
ছড়িয়ে গিয়ে দুধারি আগুন হয়ে যাবে একদল   
তখন তার আর নেই ভেদাভেদহিন্দু মুসলমান---  
দখিনপশ্চিম উত্তর পুবে মানুষ পোড়া ঘ্রাণ
ঘরপোড়া ছাইশস্যের খেত আগুনপোড়া মাঠ,
ফলন্ত গাছপশু পাখি গরুমহিষের বাট,      
আগুন-শুকনো জলাশয়ে ভস্ম ঝরায় বিষ--  
ধর্ম পোড়াগ্রন্থ পোড়াপোড়া অহর্নিশ,  
নীতি রাজনীতি পোড়া, পোড়া প্রেম পিরীত,
জীবনজনম সকল পোড়াপোড়া প্রজন্মের ভিত
পুড়তে পুড়তে যখন ভস্মে সকল একাকার
তখন তুমি দেখবে কোথায় থাকে অহংকার
তোমার বলদর্পতোমার ধর্মতোমার ধ্বজা,
তোমার সংজ্ঞাপরিচয় আর কিছু আছে যা যা---
তোমার চোখতোমার মনতোমার এই শরীর
ভস্মীভূত না হয় যদিথাকবে কি সুস্থির
কুরুক্ষেত্রের কারবালার শ্মশান প্রান্তে ঠাঁই,
ফ্যালফেলিয়ে দেখবে যখন আত্মজনের ছাই?


কোন মন্তব্য নেই: