“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

ব্যঙ্গচিত্র

।। অভীক কুমার দে।।
(C)Image:ছবি

.
ত কিছুই দেখছি ! পাবলিসিটির পর্দা থেকে এ'পর্যন্ত। হাঁটতে হাঁটতে হাঁটা-রাস্তা বদলে গেলেও উদ্দেশ্য আর পথ আজও একই। ফোসকা পড়ে জল গলছে, ধুলোবালি মিশে পা পচে গেলেও হাঁটে, খালি পায়ে হাঁটে, খালি পেটে হাঁটে, কাজ বন্ধ করে হাঁটে, বাড়ির যা কিছু 
সম্পদ সব বিক্রি করেও হাঁটে, হাঁটায় সাধারণ অসাধারণ।

সবাই লড়াকু, সংগ্রামী, দেশপ্রেমিক। সাংবিধানিক কায়দা মেনে পথ খোঁজে। জনগণের প্রেমনদীতে সাঁতার কাটে ওরা, তাতে প্রেমের নামে প্রেমীর কাপড় খোলে; পতাকার পেটে পতাকা জন্মায়, বদরঙা।

জনগণের টাকা। হাজার হাজার কোটি টাকা। রাজনৈতিক বস্ত্র ক্রয় করছে রাজনৈতিক দল। শুটিং। জনে জনে প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে-- 'বুক চিরে ভালোবাসি'। সাধারণ ঠিক জানে-- এ সময় 'ভালো' বাসাবাসিতে সময় শ্রম অর্থ সবই শেষ, বিনিময়ে কিছু সুবিধাভোগীর জন্য ভোট বেরোবে নাহয় রক্ত... ।

কোন মন্তব্য নেই: