“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯

মেনিমুখো

।। সুপ্রদীপ দত্তরায় ।।



(C)IMage:ছবি











কিছু দুর্বোধ্য শব্দ নিয়ে 
কবিতা লিখেছিলাম ।
শব্দকোষ ঘেঁটে ঘেঁটে 
বাছাই করা কঠিন শব্দ নিয়ে ।
তুমি পড়লে, 
বললে, অপূর্ব 
আমি থমকে গেলাম ।
নিজেকে নিজেই আমি প্রশ্ন দিলাম ।
রান্নাতে কোনকালেই বিশারদ নই, 
তবু মশলাতে পাঁচমিশাল কারিগরি এনে
প্রথম যে খাবার আমি খেতে দিয়েছি ।
অনায়াসে তাই খেয়ে বলেছিলে তুমি 
অপূর্ব--, আমি চমকে গেলাম ।
নিজেকে নিজেই আমি প্রশ্ন দিলাম ।
জন্মদিনে  যে শাড়িটা এনেছিলে তুমি 
তাই কেটে বানিয়েছি চুড়িদার দুটো 
আনকোরা হাতে গড়া অদ্ভুত কাট
মনে হবে সার্ট, তবে সার্ট তো নয়ই 
অনেকটা দেখতে সেই ইংরেজি আট
ভাবনাতে কিছু ছিল নতুনত্ব ছোঁয়া
খানিকটা স্পষ্ট, খানিক আবছায়া 
বন্ধুরা দেখে সব হেসে ছিল খুব 
তুমি শুধু বলেছিলে অবাক হয়ে 
আরো দুটো শাড়ি আজ এনে দিই তবে ?
আমি বর্তে গেলাম ।
আমি ধন্য আমি ।
মাঝে মাঝে কষ্ট হতো, মেনিমুখো ভেবে 
আমারই কপালেতে এইছিল লিখা !
বন্ধুরা গর্ব করে স্বামী সুখ নিয়ে 
আমিতো চাইনি কিছু বিশেষ ওভাবে
সত্যিকে  সত্যি যে বলতে পারে না
সেই লোক ভালবাসে ? মিথ্যা ছলনা ।
আজ আমি একান্তে বসে সায়াহ্নবেলায়
নিজের মধ্যে খুঁজি শুধুই তোমায়।







কোন মন্তব্য নেই: