“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৯

বুকের জমি

।। অভীককুমার দে।।

(C)Image:ছবি











জীবন, বাঁচতে বাঁচাতেই কখনও ফেঁসে যায়,
মরণের কাছে।
মরণ, সেও দূরের কেউ নয়,
খুব কাছ থেকে দেখেছি, জানি,
বেশ জানা আছে, 
তবে কখনও ভালোবাসিনি ওকে।
মরণও জানে--
এমন ফাঁসে অভীকের মৃত্যু নেই,
বরং বলা যেতে পারে--
দূরের কোনও শকুন
মাঝেমাঝে এই আকাশ ছোঁয়
নিয়ে যেতে চায় নরকের দিকে, তখন
এক টুকরো ছায়া
নেমে আসে
জড়িয়ে থাকে বুক, যদিও
ভেদ করতে পারে না ছাদ;
কেননা--
এ বুক কংক্রিটের নয়।
দিনের রৌদ্রতাপ খানিক কমে এলে
খারাপ সময়
সামান্য শরীর, খারাপ,
এতে মরণ আসে না।
এ জীবন জানে--
মাটি, জীবনের মাটি
এই বুক ফসলের মাঠ
চেতনার নদী বড় হয়
পথ চেনে জল,
নদীসুখ
বাউলের গান
মেঘের ঘুড়ি
বৃষ্টি সুর
আলোর দৃষ্টি
বাতাসের চলাচল।
মাটির ঘর
মাটির খাবার
ভালো ঘুমে মাটির বিছানা।
এই ফসলের জমি উর্বর সমভূমি,
জেগে থাকে ধ্যান,
স্থির লক্ষ্য- বিন্দু।

কোন মন্তব্য নেই: