“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৯

বিচিত্র গ্রাম

                 ।। রফিক উদ্দিন লস্কর ।।

(C)Image:ছবি










মার গাঁয়ের মেঠো পথে সবুজ গাছের সারি,
শীতল ছায়ায় মাটির তৈরি ছোট ছোট বাড়ি।
বাড়ির পথের শোভা বাড়ায় হরেক রকম ফুল,
রোজ প্রভাতে প্রজাপতি ফোটায় তাতে হুল।
কিচিরমিচির পাখির গানে সকাল কাটে ভালো
বদলে যায় দিঘির জল পড়লে রবির আলো।
দল বাঁধিয়া সুবোধ সকল পাঠশালাতে যায়,
পথের বাঁকে দুষ্টুরা প্রায় ব্যস্ত থাকে খেলায়।
দিনের শুরু হয় যখন ছুটেন নিজের কাজে,
সবার কর্মময় দিনটা কাটে সম্প্রীতির মাঝে।
কৃষক মজুর পেটের দায়ে মাথায় ঝরায় ঘাম,
যথাসময়ে বেরিয়ে পড়েন লয়ে প্রভুর নাম।
অফিস বাবু, চাকরিজীবী উদার তাদের মন,
কুঁড়েঘরে রাজা রানি চোখে হাজার স্বপন।
নারী পুরুষ আর বৃদ্ধ যুবা সবাই একই বৃত্তে
এমনি করে দিন কেটে যায় হাসিখুশি চিত্তে।
ধনী গরীব নেই ভেদাভেদ এখানে সব সমান,
পরব এলে করিয়ে দেয় বাস্তবে তার প্রমান।
ধর্মকর্ম সবই আছে নানা জাতি আর ভাষা,
গড়তে এক বিচিত্র গ্রাম এটাই শুধু আশা।

কোন মন্তব্য নেই: