“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৯

এক জীবন ঘুরে

।। অভীককুমার দে।।

(C)Image:ছবি











সেজেগুজে আয়নার কাছে গুছিয়ে রাখি না নিজেকে,
মসৃণ প্রতিফলকের ঘর ছেড়েছি অনেক আগেই।
ভেবেছিলাম-- আয়নার ঘরেই নিরাপদ আমি
মধ্যরেখা বেঁকে গেলে ঘুরপথে মুখোমুখি হবো,
একটি ঘর আমাকেও খুঁজে নেবে, অথচ
রঙের চতুর প্রলেপ পিছু ছাড়ে না!
মাঝে মনের আদল, অনেক অনেক স্তর,
হুবহু লুফে নিতেই জানে শুধু।
আয়না কি চেনে-- সভ্যতার নাটকীয় চোখ?
নতুনে পুরাতন মিশে গেলে কত কি সংঘাত!
সম্পর্কগুলো বদলে যায়
প্রতিবাদ হলে প্রতিরোধ...
প্রতিবেদন হয়ে ভাঙা গড়া
কিছু শূন্যতাই থাকে বেঁচে।
এক জীবন ঘুরে আবার কোনও নতুন মুখ
শূন্য চোখ, আয়নার দিকেই চেয়ে।

কোন মন্তব্য নেই: