“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯

কোন্দলে রঙের চাষি

।। অভীককুমার দে।।

(C)Image:ছবি






রা পাতার কাছে শুনেছি--
ঝরে গেলেই শেষ কথা নয়।
কিছু নতুন আশায় বুক বেঁধে গাছ
বাকলের ভেতর জমতে দেয় স্বপ্ন;
প্রকাশিত হলেই তাজা শরীর সবুজ হবে
ডানা ঝেড়ে রোদ মাখবে ফুল।
পাগলা বাতাসের কাছে শুনেছি--
দেনা পাওনাই শেষ কথা নয়।
যদিও বছর শেষের অদৃশ্য জাহাজ
অস্থির মাস্তুল ডুবে ভেসে...
রাক্ষুসে মাছের ঝাঁক গা ঘেঁষে লাফিয়ে চলে
রক্ত নেশা।
বাসি ফুলের কাছে শুনেছি--
তখন থেকেই শিমুল পলাশেরা দেখছে
কৃষ্ণচূড়ার ডালে কত ঝুলন্ত দেহ
কত ডালিয়া পারুল বকুল কনকচাঁপা চাপা কান্নায়...
এই ঋণের দায় বসন্ত কি নেবে?
নীল জমির রঙ দেখেও রক্তভূমি চষে
কোন্দলে রঙের চাষি।
ভোরের শীতল সুখ চলে যেতে যেতে বলেছে--
মাখো, যদি রঙ মনই মাখে
রঙে জাতে বিষ ঢুকিও না,
বসন্ত কারো একার সখা নয়, দেখো--
মাটির কাছে নয়নতারাও মেলেছে চোখ,
অংকের হিসেব চৈত্র ঠিক জানে।

কোন মন্তব্য নেই: