“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৩০ মে, ২০১৮

জন্মদিন







।। সুপ্রদীপ দত্তরায় ।।

জ তোর জন্মদিন 
লক্ষ্মী ছাড়া বৃষ্টি আর স্যাঁতস্যাঁতে মনের
ঘ্যাঁস ঘ্যাঁস শব্দে একটানা জীবনের
আরো একটা মাইলফলক ।
তোর জন্মদিন ।
তোর জন্মদিন মানেই 
তোর অসুস্থ মায়ের সকাল থেকে ব্যস্ততা
রান্নাঘরে ক্রমাগত টুংটাং শব্দ 
এক বাটি পায়েস, মাংস আর ফ্রাইডরাইস 
অবশ্যই ঠাকুর ঘরে আধঘণ্টা বোনাস 
আর, আর দীর্ঘ প্রতীক্ষা।
তোর জন্মদিন ।
তোর জন্মদিন মানেই 
আয়নাতে নিজেকে দাঁড় করানো, 
চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে যে বিশাল ফাটল 
ক্রমাগত দীর্ঘতর হচ্ছে 
বুকের পাঁজর দিয়ে তাকে আটকে রাখার চেষ্টা , 
চাবুকে চাবুকে স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণে আনার কৌশল
আর ---, আর নিজের প্রতি নিজের অবজ্ঞা ।
তোর জন্মদিন ।
তোর জন্মদিন মানেই 
নিজেকে নিজের চিনতে শেখা
স্বপ্নের একটা গণ্ডী থাকা উচিত, জানতে শেখা,
আকাঙ্ক্ষার তুলা দণ্ডে ভারসাম্য যে কতটা জরুরী 
তিলে তিলে উপলব্ধি করা আর --
আর প্রার্থনা করা , হে পরমপিতা , 
অনেক দিয়েছে প্রভু ;
অনাকাঙ্ক্ষিত খুশি আর অপ্রাপ্তিতে তৃপ্তিবোধ।
দিয়েছ উজাড় করে অসীম করুণায় 
অন্ধের যষ্টির শিরে সাফল্যের শ্রেষ্ঠ পালক।
আর উপলব্ধি করতে শিখিয়েছ
সাফল্যের আনন্দেও বিস্বাদ লুকিয়ে থাকে, 
শুধু সময়ের অপেক্ষায়।
আজ তোর জন্মদিন 
কতদিন তোকে দুচোখ ভরে দেখিনি মা
তোর চিবুক ছুঁয়ে আলতো আদর করিনি কতদিন ।
পেছন থেকে হঠাৎ করে  জড়িয়ে ধরার আনন্দে
আজ কতদিন হয় , চমকে উঠিনি।
তোকে যে খুব মিস করি মা ।
কবে বাড়ি আসছিস বল ---?
আমাদের অন্ধের যষ্টি তো তুইই !











মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১৮

দৈনিক ছড়া সংবাদ আসাম

( মধ্যপ্রদেশের শাহপুরে জলের জন্যে হাহাকার, কড়া রোদে ফাটছে মাটি  ) 

।। এম রিয়াজুল আজহার লস্কর ।।

(C)Image:ছবি











@
রৌদ্র কড়া ফাটছে জমিন, জমিন ভরা বালি।
শাহপুরেতে জলের সংকট কলসি লোকের খালি।।
পশু পাখির শুকাচ্ছে বুক ডাকছে হয়ে হন্যে।
প্রশাসনটা দায়ী সেথা জলকষ্টের জন্যে।।
জলকষ্টে মরছে মানুষ, মরছে পশু পাখি।
নেত্রী নেতায় নিচ্ছে না খোঁজ ! পাগল ওরা নাকি ?
শুকাচ্ছে জল কুয়োর ভেতর, কুয়োতে জল ভাসেনা।
গরম হাওয়া বইছে সেথা বৃষ্টি যে আর আসেনা।।
জলের জন্যে ঘুরছে মানুষ উঠলো ছবি ভেসে।
শাহপুরেতে প্রশাসনের ঘুমটা ভাঙল শেষে।।
গাঁয়ের মধ্যে আসছে পানি এসপি ডিসি জানান।
নেত্রী নেতা ঘুমে কেনো ?
  প্রশ্ন উঠলো নানান।।
@
( নির্ভেজাল সংবাদ পরিবেশন করে
  "দৈনিক ছড়া সংবাদ আসাম ")
DSPP- 9.27/05/2018


দৈনিক ছড়া সংবাদ আসাম

( ভয়াবহ বন্যার কবলে শ্রীলঙ্কা, ভেঙ্গে পড়ল শতাধিক বাড়ি, হত ২১ ) 

 ।। এম রিয়াজুল আজহার লস্কর ।।

(C)Image:ছবি












@
শ্রীলঙ্কাতে শঙ্কার হাওয়া বন্যা বড় এলো।
বাড়ি লোকের রয়নি খাড়া !
  ভেঙ্গে পড়ে গেলো।।
হাজার হাজার মানুষ সেথা হচ্ছে গৃহ হারা।
বৃষ্টির মধ্যে ত্রাণ শিবিরে কষ্টে আছে তারা।।
একুশ মানুষ মরল ডুবে উদ্ধার হলো লাশ।
নিখোঁজ আরো অনেক মানুষ খবর এলো খাস।।
ক্ষেতগুলো সব যাচ্ছে পচে দুঃখে চাষি কাঁদে।
বলদ গরু পশু পাখি পড়লো বড় ফাঁদে।।
বৃষ্টি ভারি হচ্ছে সেথা, বৃষ্টি যে আর থামে না।
আকাশ বেজায় হচ্ছে কালো ! সুয্যির আলো নামে না।।
উদ্ধারকার্য চলছে সেথা নামলো সেনা জলে।
ত্রাণগুলো সব হচ্ছে দেয়া মন্ত্রী বেটায় বলে।।
@
( নির্ভেজাল সংবাদ পরিবেশন করে
  "দৈনিক ছড়া সংবাদ আসাম ")
DSPP- 5.28/05/2018


সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮

অল্পে আছি বেশ

         ।।     রফিক উদ্দিন লস্কর    ।।
নাই যে এমন বেশি কিছু, তুষ্ট আছি বেশ!
ঘর্ম ঝরে কর্ম মাঝে নেই বিষাদের লেশ।
অল্পে যদি খুশি থাকে হবে না তার অভাব
দরিদ্র সে বুঝে নিবে খাই খাই যার স্বভাব।

বিশাল বাড়ি দামি গাড়ি আছে প্রচুর টাকা
তবুও করে টাকার জন্য ভিতরটা খা খা।
দেখতে যে পাই এমন মানুষ অল্পে যারা খুশি
তাদের সঠিক আদর্শ এই হৃদ মাঝারে পুষি।

খাঁটি মানুষ সাদামাটা জীবন ভালোবাসে,
লোভ নিয়ে রয় লোভিরা সুযোগ কবে আসে!
সরলমনা কোথাও থামেনা সহজ জীবন তার
হাসিমুখে চলাফেরা মিষ্ট আচার ব্যবহার।।
.                      ★★★★★
২৮/০৫/২০১৮ইং
নিতাইনগর,হাইলাকান্দি (আসাম)

শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১৮

পথভোলা পথিক

 ।।      রফিক উদ্দিন লস্কর    ।। 
©image:ছবি















দূর আকাশ পানে তাকিয়ে তাকিয়ে আমি
খুজে ফিরি নীল রঙের কারুকাজ,
ঢাকা পড়া কালো মেঘে নেই কিরন মালা
সূর্য রশ্মির কোনো দেখা নাই আজ।
খুজে ফিরি চলি তাই এপ্রান্ত হতে ওপ্রান্ত
কালো চাদরে মোড়া নীলাভ আকাশ,
পথভোলা পথিক আমি ঘুরি দেশে দেশে
কখন আকাশে হবে রবির প্রকাশ।
খুঁজে ফিরি তোমায় আমি বসন্তের দিনে
ভরদুপুরে উথলা বাতাসের মাঝে,
পাতায় পাতায় জড়ানো কতো স্মৃতিকথা
এ বুকের মাঝে মর্মর হয়ে বাজে।
ঘোলাটে স্বপ্ন মাঝে আজ বিভোর আমি
ঘুমের রাজ্যে কল্পনা কড়া নাড়ে,
শুনে সমুদ্রের স্রোতধ্বনি পুলকিত হই
তোমার কণ্ঠধ্বনি শেষ সীমা ছাড়ে।
২৫/০৫/২০১৮ইং
নিতাইনগর, হাইলাকান্দি (আসাম)

বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

সত্য নীরব

 ।।        রফিক উদ্দিন লস্কর         ।।

(C)Image:ছবি








মতার টানে আজ আমি সত্যি দিশেহারা ,
ভাগ্য দিলোনা সায় তাই হলাম গৃহছাড়া ।
রঙ্গিন স্বপ্ন উড়াউড়ি করে মেলিয়ে পাখা ,
চেয়ে দেখি মায়াময় মুখটা ধুলোয় ঢাকা।
সব বদলে গেছে ঐ পথ-ঘাট আর প্রকৃতি,
প্রাচীন সংস্কৃতির আমি ক্ষণিকের অতিথি।
গগনচুম্বী ভবন আর চাকচিক্যতায় মানুষ ,
অর্থের কাছে হেরে গেছে, সব রঙ্গিন ফানুস।
মিটে গেছে মনের ক্ষুধা, পেটের ক্ষুধা প্রবল
অনাহারে কাঁদছে মানুষ , নেই পেয়ো জল।
ভোগসুখে যারা মেতে ওঠে, শূন্য মনের ঘর,
লোলুপ দৃষ্টি তার আপনজন হয়ে যায় পর।
দিবস রজনী তাড়া করে মরীচিকার মায়ায়,
শত অপবাদ কলঙ্ক তার শিরে শোভা পায়।
ফেলে আসা অতীত যখন দিয়ে যায় নাড়া ,
সত্যের কাছে পরাজিত তাই সব ছন্নছাড়া।
মার খায় বাস্তবতা, মনে হয় সবটা অবাস্তব,
মুখ খুলেনি কেউ দাঁড়িয়ে দেখে সত্য নীরব।
শান্তির দূত কপোত গুলো ডানা জাপটায় ,
স্বপ্নবীজ বুনে চলে নতুন ভোরের অপেক্ষায়।
২৩/০৫/২০১৮ইং
নিতাইনগর,হাইলাকান্দি (আসাম-ভারত)
















শনিবার, ১৯ মে, ২০১৮

উনিশ

।। অভীক কুমার দে ।।










নিশ তখন--
মায়ের ভাষা মুখের বুলি
কথাবলা শিশুর তুলি
মনের আবেগ আঁকতে গিয়ে বারুদাকাশ বৃষ্টিগুলি !
উনিশ এখন--
কান পাতলেই শুনতে পাই কান্নাভেজা সুর
রক্তেরাঙা আঁচল গা'য় উনিশ ঈশানপুর
মরণ এলো কতক তবু স্বপ্ন বহুদূর !

শুক্রবার, ১৮ মে, ২০১৮

অশিক্ষিত বলদ আমি

  ।।  এম রিয়াজুল আজহার লস্কর ।।
(C) Image:ছবি















ধোড়া বলে নদীকে,
ধাঁধা একটা বলতে পারো
চলে নিরবধি কে ?
নদী উঠে বলে যে,
অশিক্ষিত বলদ আমি
যাইনি কোনো কলেজে !
( ঐক্যটা হোক স্বপ্ন সবার,  পৃষ্ঠা নং ১৩ )

বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮

শর্মিলা

।। অভীক কুমার দে ।।
    গো শুনছো, দেখো তো... কেমন লাগছে ? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের শরীরের দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে থেকেই কথাগুলো বলছিল শর্মিলা। প্রায় ঘন্টাখানেক সাজগোজের পর মনে হলো এবার জয়কে ডেকে দেখানো যেতে পারে।
জয় আজ অফিসে যায়নি। কদিন ধরেই ভাবছিল কাগজ-কাটা পোকার উপদ্রব বেড়েছে। আলমারিটায় একটু ঝাঁট দেওয়া দরকার। কতো দামি বইয়ের ভেতর নিজের আধিপত্য বিস্তার শুরু করেছে। যদিও ক্ষুধায় প্রাণী কী না করে, তা বলে শব্দ খাবে ! না, আজ একটা তদন্ত করতেই হবে।
-- কই, তোমাকে কী বলছি ?
উম, আমাকে বলছো ?
-- তবে কাকে বলবো !
আমি ভাবছিলাম আয়নাকে। যেভাবে তাকিয়ে আছো, আয়নার প্রতিফলন- ক্ষমতা হারিয়ে যাবার কথা।
-- বলো না, প্লিজ।
তোমাকে সাজলে খারাপ লাগে না, কিন্তু যখন ভাবি তোমার সাজার প্রয়োজন হয় তখনই খারাপ লাগে।
-- বুঝিনি।
তোমার আমার প্রথম যখন সংসার শুরু, দুজনেই অন্তরে অপরিচিত ছিলাম। তোমার রূপ আমার ভালো লেগেছিল। আমি তোমার রূপে ডুব দিয়ে রঙের ভেতর তোমাকেই খুঁজেছি। যতবার সাজো ততবারই নতুন হয়ে যাও। তোমার রূপ বদলাতে থাকে, আমি অপরিচিত হতে থাকি।
-- তোমার জন্যই তো সাজি !
হুম। আমি আর আমার আয়নার জন্য।
-- জয় জানো, অন্তু'র মা সেদিন অন্তুর সামনেই বলে বসলো-- আমি নাকি দিন দিন আরও সুন্দর হয়ে উঠছি। আমি লজ্জায় তাকাতে পারছিলাম না।
ঠিকই তো। শর্মিলা তুমি আরো আরও সেজে লাজুক হতে থাকো। আমার আয়না দেখুক।
       জয় একেকটি বই ঝেড়ে টেবিলে রাখছিল। একটু সময় চুপ থেকে বললো-- আমার আলমারিতে পোকায় বাসা করেছে। আজ থেকে ঝাঁট দেবো। অনেক দামি বই। পড়া বাকি।



স্মরণে ঊনিশে মে

।। চিরশ্রী দেবনাথ।। 
(C)Image:ছবি








মার খুব কষ্ট হচ্ছিল
লিখতে লাগলাম, লিখতে লিখতে
গলিতে সন্ধ্যা নামল, দিকচিহ্নহীন পাগলের চোখের মতো !
জ্বলে উঠল মোড়ের মাথার নিওনবাতি
আবছা আলোয় রাস্তার ধুলোতে অক্ষরের সবল শরীর,
তারা বলতে লাগল এক উদ্বাস্তু পুরুষের কথা
যাকে ছুঁয়ে ছিল নারী, শিশু, বৃদ্ধের দল
অদ্ভুত এক কীর্তনের সুর যেন পাখির ডুবন্ত শিষ
সেসব লেখায় মিশে যেতে লাগল নক্ষত্রের ভালোবাসাবাসি
পাশে বয়ে চলা দুগ্ধনদী, সফেন অন্ধকারে ধোঁয়া ওঠা অমৃত অথবা বিষের হাতছানি,
নিশিপাওয়া যুবক যুবতীরা বলছে, হেসে কেঁদে শুধু বলে যাচ্ছে,
...হৃদয়ের সকল ভাষা অশ্রুমতী  হও।
ভাষা কেড়ে নিলে কী হয়!
আগাছার মতো দুর্বল এক অনুচ্চ প্রজাতি জমি স্পর্শ করে থাকে
চাষ হয় না...আবাদ হয়,
হাজার কীটের দংশনে শুয়ে থাকে বাটুল সংস্কৃতি।
ভাষায় যেন না লিখি অক্ষমের  প্রতিবাদ, গালাগাল, খিস্তি।
শুধু ময়ূরীর রঙে আঁকা অভিমান পড়ে থাক, হলকা মেঘস্তুপ,
আমিও ঘুম থেকে ক্রমাগত আচ্ছন্নতা সরিয়ে নিচ্ছি,
অস্ফুট সকাল গাইছে  তাজা  মেঘমল্লার।
বিশ্বাসঘাতকতা দেহচরাচরে, অন্তরে এই মাত্র খুন হলো দুই এক বিন্দু আমি
তবে কি ক্ষমা চাইবো?
নিজের ভেতর হতাশায় ম্লান দুরন্ত সম্রাজ্ঞী।
অকাল বৃদ্ধা । হারিয়েছে মুক্তো হার।  সাহসের লকেট।
এবার ক্যানভাসে দীপালোক, জ্বলছে কালির দাগ।
গ্রীষ্ম অনাকাঙ্ক্ষিত । বর্ষা নিভছে।
হেমন্ত আমার প্রিয় যোদ্ধা।
মৃদু শীতে পাড়ি দেবো কয়েক ক্রোশ,  মুঠোতে কুয়াশা।
ছড়াবো না।
আগে ঝরে পড়ুক ভাষার সকল অভিমান।
উদ্ধত সিংহাসন হোক একটি একটি মাতৃভাষার।
নিরাপদ রাজ্যপাট, হাজার একর জমিতে সোনালি ধান।


মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮

জীবনের গল্প

।।     রফিক উদ্দিন লস্কর     ।। 

(C)Image:ছবি










ব্যস্ততার ঐ কালো আকাশে আজকাল 
মিলেনা আর চাঁদের দেখা,
মরে গেছে ইচ্ছেরা নেই চাওয়া পাওয়া
সময়ের তালে নিত্য একা।
সুখ-স্বপ্ন, অনুভূতি আর স্মৃতির পাতা
ভাসে আকাশে মেঘের মতো,
বাস্তব বলে এখন নেই কোন কিছু আর
 
বৈশাখী ঝড়ে ক্ষত-বিক্ষত।
নেই কোন লেনদেন ভারি খরার মরশুম
 
হিসেব গুলো শুষ্ক হয়ে মরে,
এই চাওয়া পাওয়া কভু পূর্ণতা পাবে কি?
এই শত ব্যস্ত দিনের পরে ?
ভেবে দিশেহারা অকালে ঝরে সর্ব আশা
জীবনটা ঝরা ফুলের মতো,
নীল আকাশে ভাসমান দুঃখ রাশি রাশি
 
ঐ মন পাখি আজ আহত।
ভবসাগরে ছন্নছাড়া এক নায়ের মাঝি
খুঁজে পাইনি কোন কূল,
একবারও ভাবিনি, আসেনি আমার মনে
 
চলার পথের শুরুটাই ভুল।
সেই বিরাট ভুলের মাশুল দিতে দিতে
আমি হয়ে গেছি খুবই ব্যস্ত,
জানিনা এই জীবনের জাগ্রত দিনমণি
 
কবে কোথায় হবে অস্ত।
জীবন সংগ্রামে অবিরাম লড়ে যাওয়া
আমি এক পরাজিত সৈনিক,
 
শুধু ব্যর্থতায় ডুবে গেছে আগপাছ
 
খুঁজে পাইনা জীবনের দিক।


১৫/০৫/২০১৮ ইং
নিতাইনগর, হাইলাকান্দি (আসাম)


গভীর রাতের কবিতা



    
      ।।  শিবানী ভট্টাচার্য দে ।।



(C)Image:ছবি








নেক রাতে কলম খুলে কবিতা লিখি
কথার ভিড়ে জ্যাম হয়ে যায় মগজখানা,
তবু এলোমেলো কথার নেইকো মানা
ঢুলু ঢুলু চোখে আখর একাকার দেখি

নিশুত রাতে সবাই ঘুমোয়স্বপ্ন দেখে
এলিয়ে শরীর ঠিক বা বেঠিক নিজ বিছানায়
ঘুমকে আমি আজ ঠেকাব এমনি দায়
নিয়েছি যখনবসেই ঢুলা ঠেকাবে কে

কবিতা কভু সংকল্পের নয়কো দাসী
জেগে থাকলে আসবেই সে মিথ্যে আশা
মিছেমিছি হিজিবিজি বানানো ভাষা
কবিতা বলে ফেসবুকে তা চালিয়ে আসি

ফাঁকিটুকু নিজের কাছেই পড়লে ধরা
নিজেই হাসিনিজেই কাঁদি অক্ষমতায়-----
তন্দ্রা ডোবে সংশয়ের ওই ক্ষুব্ধ তলায়,
নিরবয়ব পটে ফোটে একটি তারা

তারা ফোটেতারা ফোটে মন-আকাশে
স্বল্প আলোয় ঝিকিমিকি প্রকাশখানি
বিজন ঘরে নৈঃশব্দের শব্দ আনি
ওই  তো আমার কবিতা বালা মৃদু হাসে