“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৫ মে, ২০১৮

অভুক্ত কবিতারা

।। অভীক কুমার দে ।।


(C)image:ছবি















ভুক্ত কবিতারা বর্ণ ধুয়ে হাঁড়ি চড়ায়,
সন্ধ্যায় উনুনের দিক- দিকে মিছিল
ফুটন্ত চাল
আঁশফাটা গন্ধে ক্লান্ত রাত
হাড়ের শব্দ শোনায়,
যদিও নিঃশব্দে ঘুমায় পৃথিবী।
যতই রাত নামে দিনের দিকে
একমুঠো পান্তায় অসংখ্য কবিতাঘুম,
একেকটি কবিতায় শরীর খোলা শব্দ
শব্দের হামাগুড়ি
ঘেমে যাওয়া বর্ণ
বেরঙের ঘাম
হাঁড়িতে জল ঢালে।
এসব দেখে সয়ে প্রতিদিনের উত্তাপ কমে যায়
তবু অভুক্ত কবিতায় হাড়ের শব্দ কমে না !


কোন মন্তব্য নেই: