“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬

জু লে - লেহ এণ্ড লাদাখ ( ‘JULLEY’ Leh and Ladakh! )

Baishali
(C)Baishali Ghosh


    ।। বৈষালী ঘোষ।।

       বিয়ের আগে বেড়াতে যাওয়া মানেই বাঙ্গালোর , দিল্লী , কোদাইকানাল, মুম্বাই, অনেক শপিং, কিছু সাইট সীইং করে বাড়ি ফিরে আসা । ঐ কদিন নো স্কুল নো পড়াশোনা । আসল বেড়ানো শুরু করেছি বিয়ের পর । আমার বর খুব ঘুরতে ভালবাসে , ইণ্ডিয়া র  ম্যাক্সিমাম জায়গাই ওর অনেকবার করে দেখা । আমিও যে বেড়াতে ভালবাসি, সেটা আবিষ্কার করেছি ওর সাথে বেড়াতে যাওয়া শুরু হওয়ার পর । আমরা দুজনে দেশে বিদেশের অনেক জায়গা এক্সপ্লোর করেছি , তার মাঝে বেশ কিছু ঘোরাকে অ্যাডভেঞ্চারও বলা যেতে পারে ।

          কেউ যদি আমাকে  জিজ্ঞেস করে যে কোন জায়গাটা আমার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভাল লেগেছে, আমি বলব লেহ , লাদাক , কাশ্মীর । আজ আমি আপনাদের কে আমার সাথে লেহ, লাদাকে নিয়ে যাবো । স্বর্গ বলে কিছু যদি থেকে থাকে , আমার কাছে সেটা হোল লাদাক।
           ২০০৯ এর ১৫ই মে। সকাল সাড়ে ৬টার জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে আমরা ৩ জন লেহ এর পথে রওনা দিলাম । পুরো বিমানে মাত্র ১৫ জন যাত্রী । আমার যতটুকু মনে হয়, তখন লোকজন খুব একটা লাদাক ঘুরতে যেত না । পাইলট অ্যানাউন্স করলেন  যে নিচে হিমালয় দেখা যাচ্ছে, যাত্রীদের ইচ্ছে হোলে ফটো  তুলতে পারে । তারপর আর কে দ্যাখে , মনে হচ্ছিলো  পার্কে দৌড়াদৌড়ি করছে সবাই - কখনো ডান , কখনো বামদিকে I নিচে বরফের টুপী পড়া রৌদ্রস্নাত স্বর্ণালি হিমালয় ।
কিছুক্ষণ পর প্লেন ল্যান্ড করলো লেহ শহরে। ছোট্ট একটা এয়ারপোর্ট , চারিদিকে পাহাড় । বেরিয়ে আসতেই লাগলো হিমশীতল হাওয়া । দিল্লীর মে মাসের আগুনের হল্কা থেকে এসে যেন শরীরটা বাঁচল । কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে , আমার বর সব হোম ওয়ার্ক করে রাখে । আমাদের  হোটেল বুক করা ছিল স্পিক অ্যান্ড স্প্যান। ঝাঁ চকচকে সুন্দর একটা হোটেল , লেহ শহরের পাহাড়ের কোলে  অবস্থিত ।  খুশি খুশি মনে ওর দিকে তাকিয়ে একটু হেঁসে বোঝালাম –  প্রথম পরীক্ষা তে ১০ এ ১০ পেয়েছে । হোটেল এর ম্যানেজার আমাদের ডু স অ্যান্ড ডোন্টস গুলো বলে দিলো । ওটা আমাদের সিলেবাসেই ছিল , তাও আরেকবার মন দিয়ে শুনলাম ।
, প্রথম দিন রেস্ট নিতে হবে , আক্লেমেটাইজ করার জন্য । 
, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হোলে হোটেলের রিসেপশনে  জানাতে হবে । দরকার হোলে ওরা ডাক্তার ডাকবে ।
, যেখানেই যাবেন , আস্তে আস্তে হাঁটতে, তাড়া হুড়ো না করে ইত্যাদি ইত্যাদি ।
        হোটেলের নানা রকম ফর্মালিটি শেষ করে রুম এর চাবি টা হাতে নিয়ে লাগেজ রুমে রেখেই একটু পরে উঠে গেলাম হোটেলের ছাদে, দেখে মনে হচ্ছিলো নীল আকাশটাকে হাত দিয়ে ছোঁয়া যাবে, মেঘ গুলো  যেন হাতের কাছে । ওরকম নীল রঙ আজও আমি কোথাও দেখিনি । হিমালয় যেন হাত দিয়ে আমাদের ডাকছিল । ছাদ থেকে বরফের চাদরে মোড়া পাহাড়টা পরিষ্কার   দেখা যাচ্ছিলো । 
আমাদের তিনজনের মুখটাই উজ্জ্বল, যেন চারিদিকের সৌন্দর্য টা আমরা দুচোখ ভরে গিলছি । আমরা প্রথম দিনটা লেহ শহর আর আশপাশটা দেখার জন্যই রেখেছিলাম । আমরা বেরলাম মেন মার্কেটের দিকে, লাঞ্চ করবো কোথাও ।  খুব সুন্দর একটা পাহাড়ি বাজার। প্রধানত তিব্বতি জিনিষ, নানান রকম  গয়না , মুখোশ, টী সেট , দামী পাথর , হরেক রকমের জিনিষ । আমাদের কর্তা গিন্নীর ঘুরতে গিয়ে নানান রকম জিনিষ কেনার একটা শখ আছে । এত কিছু একসাথে হাতের কাছে পেয়ে, কোনটা কিনি কোনটা ছাড়ি যখন ভাবছি , তখন শুনতে পেলাম মাম্মি আমার খিদে পেয়েছে । ওটা আমাদের ছেলে , যে ওই বয়সেই বুঝতে পেরেছিল , ওই কথাটা না বললে আমাদের কে  নড়ানো যাবে না । ওর জন্যই সব ছেড়ে আমরা আবার  রেস্তোরাঁর দিকে গেলাম । পড়াশোনার মধ্যে ফুডটা একটা important chapter  ছিল আমরা খুব ভাল করে ওটা research করেছিলাম
          টিবেটান ফুড ট্রাই করবো ঠিকই ছিল । কিন্তু যত ভাল ভেবেছিলাম  ততো  ভালো লাগে নি । খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে আমরা তিন জন গাড়িতে চাপলাম সবাই যেন excitement - হাবুডুবু খাচ্ছি কারুর মুখে কোন কথা নেই , শুধু ক্যামেরার ক্লিক-এর শব্দ আমাদের সাত বছরের দুষ্টু ছেলেটাও চোখের পাতা না ফেলে সব কিছু উপভোগ করছিলো প্রথমেই গেলাম লেহ প্যালেস , মাটি দিয়ে বানানো ৯তালার একটা প্যালেস , যেটা ১৬শ শতাব্দীতে King Sengge Namgyal বানিয়ে ছিলেন প্যালেসটায় হেঁটে ওঠার সময় বুঝতে পারছিলাম যে নিঃশ্বাস নিতে একটু যেন কষ্ট হচ্ছে কিন্তু উত্তেজনা এতো বেশি ছিল যে কোন কিছুকেই পাত্তা দিচ্ছিলাম না পালেসের পর আমাদের চালক শহরের একটু বাইরের দিকে নিয়ে গেলোতারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলাম যায়গা গুলো বিকেল বেলা আবার মার্কেটে গেলাম যথারীতি উইন্ডো শপিং ও করলাম ।নানা রকমের জিনিষের   সাথে যে জিনিষটা সবচেয়ে  বেশি চোখে পড়ছিল ওটা হল অক্সিজেন সিলিন্ডার
          Dinner টা হোটেলেই ছিল   বুফে ডিনার , নানান রকম খাবার ছিল , গরম গরম পিজ্জা দিচ্ছিল ওভেন থেকে বের করে ।  ছেলেতো খুব খুশি । দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি এখানে । তাই হোটেলে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই । লেহ তে আর্মি বেস আছে  আর খুব strategic location আমাদের দেশের সুরক্ষার দিক থেকে  তাই এখানে ইন্টারনেট , মোবাইল ফোন কানেক্সান খুব একটা ভালো না, প্রায় নেই বললেই চলে পৃথিবীর থেকে কিছুটা  বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা, যেটা একদিক থেকে ভালো কারণ পুরো সময়টাই প্রকৃতির  সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় নিরিবিলিতে
           হোটেলের কমন রুমে নানা রকম ইন্ডোর গেমস ছিল ছেলে যথারীতি তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলো আমরা দুজন এদিক ওদিক হাঁটতে লাগলাম আমি রিসেপশানে জিজ্ঞেস করলাম , এখানে ডিস্কো আছে ভদ্রলোক যারপরনাই অবাক হয়ে বললেনম্যাম আপনি বোধহয় জানেন না যে এখানে নাচতে গেলে মরে যেতে পারেন করিনা কাপুর থ্রি ইডিয়টসএ প্যাঙ্গং লেকে কি করে নাচল সেটাই এখনও লাখ টাকার প্রশ্ন আমার কাছে রুমে ফিরে এসে শুয়ে  পড়লাম প্রথম দিনটা এভাবেই শেষ হোল
দ্বিতীয় দিন সকাল বেলা আমরা তিনজনই রেডি আমাদের বান্ডল অফ জয় ও এদিক ওদিক লাফিয়ে চলেছে
           আজ আমাদের লেহ শহরের বাইরের দিকে ঘোরার প্রোগ্রাম গাড়ীতে করে বেরলাম প্রথম গেলাম লেহ শহর থেকে ৫ কিমি: দূরে শান্তি স্তূপ, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৪২৬৭ মিটার উঁচুতে এখানকার আকর্ষণ  হল, উন্মুক্ত নীল আকাশের তলায় বিশালকায় গোল্ডেন বুদ্ধ মূর্তি পুরো লেহ শহরটাকে এখান থেকে দেখা যায় চারদিকে শুধু শান্তির বাতাবরণ জায়গাটা ছেড়ে আসতে মন চাইছিল না গাড়িতে উঠে নেক্সট ডেসটিনেশানম্যাগনেটিক হিল আমাদের ড্রাইভার কাম গাইড অনেক রকম গল্প শোনাচ্ছিল ঐ পাহাড় টাতে নাকি চুম্বক আছে , তাই বন্ধ গাড়ি গুলোও নিজের থেকেই ঐ পাহাড়টার দিকে এগোতে থাকে পড়াশোনাটা করেই এসেছিলাম , কিন্তু ওর গল্পগুলো মুহূর্ত গুলোকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলছিল  

        কারুর মুখে কথা নেই গাড়ি চলছে তার বেগে   চারদিকের সৌন্দর্য উপভোগ করছি আমরা

         মনের ক্যামেরাতে ছবি তুলে রাখছিলাম । ঝাঁ চক চকে রাস্তার পাশে আর্মি স্কুল, আর্মি ক্যাম্প । ওদের কে দেখে সত্যি খুব গর্ব হচ্ছিল। এখানে আর্মির এক্সারসাইজ করাটা বাধ্যতামূলক নয় , এখানকার উচ্চতার জন্য। চারদিকের মোহে যখন আমরা অভিভূত, হঠাৎ গাড়িটা দাঁড়িয়ে পড়ল । সামনে একটা বিশাল ন্যাড়া পাহাড় ড্রাইভার গাড়িটা বন্ধ করে নেমে গেলেন, কিন্তু গাড়ি টা সামনের পাহাড়ের দিকে গড়াতে থাকল । সেটাই ছিল বিখ্যাত ম্যাগনেটিক হিল । কিছুক্ষণ পর আমরা আবার স্টার্ট করলাম, এবার যাব সিন্ধু নদীর পারে। সিন্ধু নদী দিয়ে আমাদের দ্বিতীয় দিনের ঘোরা শেষ হল ।



          তৃতীয় দিন। সকাল পাঁচটা। আজ  যাবো ঐ বিখ্যাত প্যাঙ্গং লেক যার গল্প অনেক দিন ধরেই শুনে আসছি। লেহ থেকে পাঙ্গং যেতে প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক লাগে। মাঝে পড়ল সাঙলা । Pangong Tso, Tso মানে লেক , তিব্বতি ভাষায়। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৪২৭০ ফুট ওপরে হিমালয়ের বুকে এই নোনা জলের লেক এক অদ্ভুত মনোরম স্বর্গীয় দৃশ্য । ভারত আর চীন দু দেশে ই আছে এই ১৩৪ কিমি লম্বা লেক। ভারতের দিকে আছে ৪০% আর বাকিটা তিব্বত বা চীন এর দিকে । উপরে নীল আকাশ , তাতে গুটি কয়েক মেঘ , চারিদিক  পাথুরে পাহাড়ে ঘেরা, পাহাড়ের মাথায় বরফের টুপি আর মাঝ খানে রাজসিক প্যাঙ্গং কোথাও নীল জল , কোথাও সবুজ , কোথাও আবার হাল্কা লাল, যেন রামধনু লুকোচুরি  খেলছে লেকের জলে । দেশ বিদেশের ফটোগ্রাফাররা  সারাদিন ধরে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন ঐ রঙের খেলাকে ক্যামেরাবন্দি করার জন্য । লেকের আশেপাশে পড়ে থাকা পাথর গুলোর ও  অদ্ভুত  বাহারি রঙ । স্বপ্নের স্মৃতি  চোখে নিয়ে ফিরে আসলাম । প্রকৃতি কত অনাবিল , কত উদার । আবার আসিব ফিরে তোমারই তীরে
চতুর্থ দিন ।  আজ বিশ্রামের পালা । একটু বিশ্রামের জন্য রেখেছিলাম  আমরা। হাল্কা ঘোরা ফেরা করে কাটালাম। যারা লেহ বা লাদাক ঘুরতে যাবেন ভাবছেন , এক বা দুদিনহাতে রেখে যাবেন । এখানে কিন্তু প্যাকড প্রোগ্রাম করাটা উচিত নয় কারণ এখানে অক্সিজেন এর মাত্রা খুব কম, তাই  বেশি ধকল নেওয়া  ঠিক না। পাহাড়ি মানুষদের কথা অবশ্য আলাদা ,কারণ তারা এই পরিবেশেই জন্মা  ও বড় হন ।

           পঞ্চম দিন । আমাদের প্রোগ্রাম খারদুংলা হয়ে চলে যাবো নুব্রা ভ্যালি আর সেখানে কাটাব এক রাত্রি । ঠাণ্ডাটা বেশ জমপেশ পড়েছে। কিন্তু চারদিকে উজ্জ্বল রোদ্দুর। একটু পর পরই,  রাস্তায়  মরীচিকা  দেখা যাচ্ছে। আঁকা বাঁকা রাস্তায়,  পাহাড়ের আনাচে কানাচে দিয়ে আমরা পৌছুলাম খারদুংলা ।পুরো জায়গা টাই  বরফে  ঢাকা।পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম motorable road জায়গা টা দেখতে এমন কিছু ছিল না, কিন্তু সবাই ওখানে দাড়িয়ে ছবি তোলার জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল ,আমরা ও ওই পথেরই পথিক ছিলাম।  
আমরা আবার রওনা দিলাম ।আমাদের last but not the least destination  হল Nubra Valley ওখানকার লোকেরা বলে Nubra Valley র আসল নাম Ldumra (the valley of flowers)Leh শহর থেকে 150 km দূরে অবস্থিত Nubra Shayok নদীটা বয়ে যাচ্ছে Nubrar গা  ঘেঁসে  Nubra valley র আসল  আকর্ষণ  হল Cold desert আর ওখানের shaggy double humped bactrain camelsদু ঘণ্টার মধ্যেই আমরা পৌছে গেলাম। চারদিক টাই সবুজে  ঘেরা জনবিহীন একটা ছোট্ট শহর।সারাক্ষণ কল কল করে নদীর জলের আওয়াজ।দুটোই হোটেল ছিল তখন। সকাল ছটা থেকে রাত দশটা অবধি জেনারেটার দিয়ে বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা ।রাত দশটার পর মোমবাতিই একমাত্র সম্বল।কি মজার অনুভূতি যেন রপকথার জগতে পৌছে গেছি আমরা।পায়ে হেটেই বেশ কিছুদূর ঘুরে এলাম তিন জনে । দুপুর বেলা অনেকদিন পর গরম গরম ফুলকো রুটি আর সবজি। এবার যাব cold desert দেখতে।
               White sand বা সাদা বালির পাহাড় । যত দূর চোখ যাচ্ছিল বালির পাহাড় ছাড়া আর কিছুই নেই। মরুভূমির জাহাজ ওই বিখ্যাত double hump উট গুলোর উপর চেপে লোকেরা ঘুরে বেড়াছে। জায়গাগুলো এত সুন্দর যে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। Monastery তে গেলাম। কি শান্তির পরিবেশ । Monasteryটা দেখে কলকাতার টানা হেঁচড়া করা কালিঘাটের কথা খুব মনে পড়ছিল। লোকে বলে ওখানে নাকি wish করলে তা fulfill হয়ই হয়।মনে মনে বেশ কটা wish করে নিলাম।তার মধ্যে আবার লাদাক আসার কথাটাও ছিল । রাত হয়ে গেল, দশটায় হোটেলের আলো বন্ধ হবে। খাওয়া দাওয়ার পর বিছানায় শুতেই চলে গেলাম ঘুমের রাজত্বে। সারাদিনের ক্লান্তিই তার কারণ। পরদিন breakfast সেরে রওয়ানা দিলাম lehর পথে।বিকেল বেলা leh পৌঁছবো। অসম্ভব snow fall এর জন্যে গাড়ি বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় আটকে ছিল।পরের দিন সকালবেলাই ফিরে যেতে হবে নিজের নীড়-এ। Monastery তে করা wish টা নিশ্চয়ই  একদিন পূর্ণ  হবে
  ********
 ‘JULLEY’ Leh and Ladakh!

Most important word in Ladakh is julley (pronounced as joo-lay) meaning Hello /welcome/Thank you/Goodbye/Good day and so on.All those injust one word !!! That’s what the Ladakh is …







   


  

কোন মন্তব্য নেই: