“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৬

নিভৃতের ঈশ্বরী



।। দেবলীনা সেনগুপ্ত।।


 
(C)Image:ছবি

















জ্যোৎস্না রাতে
সবাই যখন গিয়েছিল বনে,
আমি যাইনি।
আমি তখন বনজ্যোৎস্না মেখে
আদিম ঈশ্বরীর মত
চাঁদের ঝরে পড়া আলোয়
নিভৃতের স্নান সেরেছিলাম।
কোমল বল্কলের নিবিড় গল্পে
তৃণলতার বুননকাজ
নির্দিষ্ট করেছিল আমার রূপসাজ।
অনাদি প্রকৃতির নিবিড় রহস্যের ঢেউ
কতবার...কতবার খেলা করেছিল
আমার খোলা চুলে
আর তারপর,
প্রথম সূর্যাগ্নির দিকে চোখ মেলে
আমার প্রত্যয়ী ঠোঁট
উচ্চারণ করেছিল সেই তীব্র শব্দ স্রোত
যার অভিঘাতে
সমস্ত নির্দেশিত পথ
চিনে নিয়েছিল নতুন গন্তব্য
উন্মুখ গতিতে
বাতাসও কেঁপেছিল অশ্রুতপূর্ব ঘোষণায়-
সমস্ত উৎসব আজ সেখানেই
ঈশ্বরীর সাজে যেখানে গান গায়
এক নির্বিকার মানবীহৃদয়।

কোন মন্তব্য নেই: