“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৬

অনৃত – অলীক

।। দেবলীনা সেনগুপ্ত।।
(C)Imageঃছবি


















সূচিমুখ ক্ষত যত
জোনাক যন্ত্রণায়
জেগে থাকে অস্তিত্বে, আবহে
বলে যায়, বেঁচে আছি,
বেঁচে আছে জীবন
জীবন তো জেগেছে  সারারাত
শুনেছে বৃষ্টিপাত
সারারাত ধরে
ঝুরো মাটি নরম হয়েছে আরও
আগামী ফসলের ভাবে
তবু কিছু খরাদাগ
প্রশ্নচিহ্ণময়
রয়ে যায়-সকাতর উদ্বেগে
আলপথে শুয়ে থাকে
আলতো কুসুমবেলা
গোধূলির মায়াখেলা
ধরে রাখে সব বৃন্তচ্যুত আকাল ও অবেলা।
এক
দুই
তিন
পদছাপে
আকাঙ্ক্ষা লেখা হয়
অনৃত অলীকে।

কোন মন্তব্য নেই: