“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

কুয়াশাকণা

চিরশ্রী দেবনাথ 
 
(C) সময়ের কন্ঠস্বর
সময়ের কণ্ঠস্বর
সময়ের কণ্ঠস্বর





















গুচ্ছ কবিতা
....................
এক
খন আমলকী বনের অম্লতায়,
উষ্ণ শুধু উষ্ণ হয় জমাট শিশির,
তখন বুঝে নিও,
মাঝে মাঝে ক্ষত গুলো
বেয়াড়া রকমের ভালো হয়,
রসেবসে ভরা শীতে  তারা ভীষণ মেদুর....


দুই
হাটে বিকিকিনি নেই,
ছেঁড়া রোদ্দুর গায়ে মেখে নিঃসাড়,
মন্ত্রজল তো আমার কাছে,
উপেক্ষা ভাঁপের মত, তুমি কিন্তু উষ্ণ হচ্ছো ক্রমশ..


তিন
এ শীতে  রঙজোৎস্নায় ভিজে ভিজে মাটি,
আমিই  সব ধূসরতা গিলছি আকণ্ঠ,
সব ছাপিয়ে আমার গ্লাসে ভরন্ত সময়,বেহায়া সুখ..
চার
শীতের রাতের পায়ে পায়ে অন্ধ মশাল ...
ধোঁয়ায় ঢেকে  দিয়ে যায় চোখ।
পলকে রেখে যায় তোমাকেই,
কেন কেটে যায় না অসুস্থ সকাল,দিন আর রাত,
দোয়ানিয়া পাহাড়ের শ্রান্তি ভেসে আসে....
হলুদ ফসলছাড়া মাঠ তবু যেন
রেখে যায় সব শস্য আমারই আঁচলে......
পাঁচ
বর্ণচোরা শীত, লাজুক বড়ো
ধোঁয়ায় ঢেকে রাখে শুকনো ঠোঁট
পাছে কুয়াশা ধুয়ে দিয়ে যায় চুমুর দাগ
হোক ধুলোমাখা, আশ্লেষে এখনো হিমঝড়....

কোন মন্তব্য নেই: