“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

হাম্পিতে


.......চিরশ্রী দেবনাথ
(C)Image:ছবি
(কবিতাটি  "ত্রিপুরা প্রবাহ', শারদ সংখ্যা, ১৪২২/২০১৫তে প্রকাশিত )
 
ন্ধ্যা হতে তো দেরী নেই খুব একটা, রোদ আর ছায়ার চিরন্তনী সাতকাহন, হাম্পির পথে আজ তুমি আর আমি, বিরূপাক্ষ মন্দিরের প্রাচীন গা বেয়ে সূর্যাস্তের গুঁড়ো গুঁড়ো সোনা ঝরে পড়ছে, তুমি ঢেকে যাচ্ছো গোধূলি চ্ছটায়হোয়সল রাজকুমারী দাঁড়ানো যেন, শুকনো শিশির ফোঁটার চন্দন টিপ, কপোল জুড়ে অপেক্ষা নেই, শুধু ক্লান্তি, মাতঙ্গ পাহাড়ের ছড়ানো নুড়িতে পাথুরে নীরবতা, ঝলমলে বিজয়নগরের ঘোড়সওয়ার, ধুলোতে উড়ে যাচ্ছে সময়, ছিটকে ছিটকে সরে যাচ্ছে মুহূর্তযোদ্ধার হাতে পানপাত্র, মদিরতার আশ্লেষে রাত্রির কান্না, ঝকঝক করে উঠছে প্রেম, অধিকার নেই কোন, তবে কি মুক্ত তার বাহু, মিশে যাও শুধু মিশে যাও, বিমূঢ়তা তবু ছেয়ে থাকে তোমাকেপম্পা সরোবরের নিস্তরঙ্গতা  কেন তোমার শাড়ির পা ছুঁয়ে ছুঁয়েউষ্ণ হ্রদের বুকে আমার স্নান,রত্নরাজি তুলে আনবো অতীত থেকে, শতাব্দীর ফুল দিতে চাইলাম তোমার চুলে, তবু তুঙ্গভদ্রার স্রোত নেই চোখে, কোরাকল ভেসে চলে একা একা ........


কোন মন্তব্য নেই: