“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

শেষ কাব্য



।। নীলদীপ চক্রবর্তী।।
















...র পর অন্ধকার চারিদিক 
অথচ কিছু আগেও কলরব ছিল এই পথে
সকালের স্নিগ্ধ আলো পড়েছিল
ধূলি আলপনার উপর
গুটি গুটি পায়ে মানুষ আর গবাদি পশুর
মিছিল, পথ থেকে চলে গেছে মাঠের
ক্লান্ত দ্বিপ্রহর পর্যন্ত ।
দুর্দান্ত যৌবনের মতো পথ আসে
মধ্যদিনে ভিড় বাড়ে অশান্ত প্রেমিকের
দুরন্ত বা অজানা আবেগে বেপরোয়া
গতিমুখ, ত্বরিতে পাল্টায়।
অতিদ্রুত সরে যায় বিষণ্ণ আকাশ
পথ শুধু সাবলীল হতে থাকে ।
গোধূলি-আবিরে রঙিন পথের গালিচা -
গুটি গুটি পায়ে মানুষ ও পশুর মিছিল
চলে, শুকনো পথ ছেড়ে তারাদের দেশে
ভগীরথ পণ ভাঙে, গোমুখের নদী মেশে অজানা
সাগরে সুচতুর প্রেমিকের মতো রাত্রি এসেছে
অথচ কিছু আগেও কলরব ছিল এই পথে
এখন নিচ্ছিদ্র অন্ধকার চারিদিক... ।

কোন মন্তব্য নেই: