“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৫

স্বগত সংলাপ —২


(C)Image:ছবি




















============
© সুনীতি দেবনাথ

লে গেছো গেছো নাকি?
চলে যাওয়া যায় নাকি
সমগ্র সত্তা নিয়ে প্রেমে অপ্রেমে
ক্লান্তিতে বিষাদে আনন্দে অপাপবিদ্ধতায়
জানা তো নেই।


চলে গেছো কি? সেটা কতদূর?
সে কি যোজনের পর যোজন
অগুনতি যোজন দূর
আকাশের শেষ সীমানায়
নাকি এখানে এই বুকের ভেতর?
লাল লাল রক্তের ঢেউয়ে
এই বুকে এখনো হৃদপিণ্ড নামক যন্ত্রটা আছে
শব্দ তোলে ধুকপুক ছন্দ আন্দোলিত হয়।
দূরে তবু এইতো কাছে, তবুও অপার দূরে।

তাই আঁচল বিছিয়ে আমি
মাথা পেতে দিলাম তেমোহানায়,
সেইসব তোমার সবকিছু
ছাই হয়ে মিশে যাওয়া তেমোহানা,
আমার রক্ত দিয়ে ধুয়ে মুছে দিতে
ভিজিয়ে ভিজিয়ে শীতল শান্ত স্নিগ্ধ
পবিত্র করে দিতে দিন রাত শুয়ে থাকি,
দিন রাত রাত দিন এখন রক্ত ঝরাই
তেমোহানায় রক্তের প্রবাহে
তোমাকে চাই।

আমার দেহে উথাল- পাথাল রক্ত শুধু
বিন্দুমাত্র জল নেই চোখ মরুভূমি
ধুলোবালি পাপ গ্লানি ধোয়ার মত
জলের আকাল রক্ত তাই উথাল - পাথাল।

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ 

কোন মন্তব্য নেই: