“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫

মা তুমি পরিব্রাজিকা

।। শিবানী দে ।।























  
মা তুমি পরিব্রাজিকা কত শত যোজন হেঁটেছ
অনেক ভুবন গড়ে বালি কাদা মাটি ছেনে ছেনে
অনেক ফুলের রঙ চাঁদনির রুপোর মিশেলে----
ঝড়ের নীড়ের মত ভেঙ্গে গেলে যন্ত্রণা কেঁদেছ ।
নাড়ী থেকে কতদূরে পায়ে পায়ে এগোলে জননী,
সভ্যতার আদি মাতৃগর্ভ অন্ধকার আফ্রিকার বন
উপকূল হয়ে আরবীয়, ককেশীয় মোঙ্গলীয় ভূমি,
পুরাতন সভ্যতার দীর্ঘপথ ঘুরে ঘুরে নূতন জগৎ
আবার নূতন ঘরে নবগর্ভে নূতন প্রাণের জন্ম দিয়ে
 তুমি ধাত্রী ধরে রাখ পালন পোষণে । নরের আঘাতে 
ভাঙ্গে বারবার বাসা , তুমি শুধু এগোও----- এগোও ।
তুমি মা পরিব্রাজিকা আবর্তনী পুরাতন পৃথিবীর মত
আদিম বৃক্ষের তলে ইভ, নির্বাসিত স্বর্গোদ্যান হতে
আদি পুরুষের পাপে----সেই থেকে ক্রমাগত চলা
বানিয়ে নতুন নীড়, দিয়ে তৃষ্ণাজল, অন্ন, আশা:
নির্বাসিত স্বভূমির থেকে, তবু পেছন ফেরো নি ।

কোন মন্তব্য নেই: