“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৫

মনে হয়

(C)Image:ছবি


















।। চিরশ্রী দেবনাথ ।।
 
ই যে এখানে দাঁড়ানো এই মুহূর্ত,
মনে হয় এখান থেকেই শুরু হবে সব,
বনবনান্ত, নদী, পাহাড় ও হিমবাহ,
এর আগে বিলিয়ন বছর থমকে দাঁড়িয়ে ছিল
এ পৃথিবী, ছড়িয়ে পড়বে  আশ্চর্য কণ্ঠ,
সব জলবিন্দুতে জমাট বাঁধবে শৈশব,
কোনও আনমনা প্রেমিকের উষ্ণ হাত,
হাতের তালুতে বয়ে চলা ঘর্মাক্ত সরণী,
সরণী বেয়ে দাদুর হেঁটে আসা খুকখুক কাশি,
কাঁপা হাতে মায়ের মৃত্যুসংবাদ লিখতে বসা
বাবুর চোখদুটো,
গুটলি পাকিয়ে শুয়ে থাকা শিউলি সকালে
তোমার ঘুমন্ত মুখে আমার দিন,
চায়ের কাপের ফিকে ধোঁয়ায়
চলে যাওয়া মায়ের জ্বলজ্বলে মুখ,
এতো অনিবার্য কেন সব?
এখান থেকেই  শুরু হয় তর্পণের ঘনঘটা,
নাস্তিক জলরাশিতে আস্তিকতার  বুনন,
পুরাতন মানুষেরা আসে, হাত পেতে নেয়,
মন্ত্ররা ব্যথা হয়ে জেগে থাকে মহালয়ার ভোরে,
ঠিক সেই মুহূর্তে সবকিছু বিশ্বাস করি ...
আমিও কোনদিন জল মেখে আসবো,
নেবোমেয়ের হাত থেকে
গড়িয়ে পড়া অস্মিতবিন্দু ...

কোন মন্তব্য নেই: