“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫

ফিরে এসো লাবণ্যলতা

[ Photo from ]























================
© সুনীতি দেবনাথ

যেন কালান্তরের ওপারে আজো ছায়া খেলে...
বিস্মৃত অতীতের বাতায়নে স্মৃতি সব মগ্ন থাকে
তাই বর্তমান হারিয়ে ফেলে বেঁচে যেতে হয়।
কুয়াশাচ্ছন্ন অতীতের ঘ্রাণের চেতনাতে
আমার অতীত জুড়ে তোমার আঁচল পাতা
তুমি নেই বলে আমিও হারিয়ে যাই অন্য দিগন্তে,
কত মৃত্যু দেখেছি আমি হিসেব রাখিনি
রূপ রূপান্তরে মৃত্যুকে দেখেছি ভয়াল নদীর মত,
এ নদীর জল যেন জল নয় আগুনের স্রোত
সূক্ষ্ম সেতু পার হয়ে ওপারে যেতে হয়।
যারা চলে যায় ফেরেনা কখনো
তুমিও গিয়েছো চলে সে কতদিন আগে
বিভ্রান্ত মন সে হিসেবও গেছে ভুলে,
তবু মনে হয় যাওনি তো এই আশেপাশে
মল্লিকার মৃদু সুগন্ধি ছড়িয়ে তুমি সত্য হয়ে আছো!
তোমার শীতল স্পর্শ এখনো মাতাল করে
মৃদু কলভাষ আমার আত্মাকে ঘিরে
কলমন্দ্রে সারাবেলা কত কথা বলে যায়।
লাবণ্যলতা, আমার চৈতন্যের ভাবঘরে
ভাবুকলতা হয়ে স্বর্ণলতার মত জড়িয়ে ছিলে,
আজ তুমি নেই তবু আছো আমার সত্তায়
আমার অজান্তে কোন অদ্ভুত ক্ষণে
তুমি আমি মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছি,
আমি তো জানি না, তুমি জানো কিনা
তাও তো অজানা।

আজ বিষণ্ণ এই সন্ধ্যার বিষাদিত সন্ধিক্ষণে
যখনই ভাবি আমার সৌর সংসারের
কোনখানে তুমি নেই অন্য কোন সূর্যের
অন্যতর আলোকিত পথে তুমি চলেছো,
মহিমান্বিত বলয়ের পর বলয় পেরিয়ে
অন্য কোন পরম প্রাপ্তির চরম বাসনায়,
আমার সারাটা অন্তর হঠাৎ কেঁদে ওঠে
আর অস্তিত্ব কেঁপে কেঁপে শূন্যতায় বিলীন,
বলো কার হাত জড়িয়ে ধরে স্বস্তির অন্তরে যাবো?
লাবণ্যলতা,কোন পথে সৃষ্টির নিখাদ সত্য
সুবিমল ধারাপথ নিত্য প্রবাহিত জানি না তা,
এবার তুমি ফিরে এসো লাবণ্যলতা,
আমার অন্দর বাহিরে অনাদি অনন্ত
আলোকময় প্রশান্তির পথে এবার
হাত ধরে নিয়ে যেতে তোমাকেই চাই।


কোন মন্তব্য নেই: