“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮

শহর শিলচর


।। অভিজিৎ দাস।। 

শিলচর এক আজব শহর । ঐতিহ্যমণ্ডিত যেমন, ঠিক তেমনই আবর্জনামণ্ডিতও । এতদিন ধারণা ছিল আবর্জনা বোধহয় শুধু পথেঘাটেই, কিন্তু সে ছিল এক ভ্রান্ত ধারণা মাত্র । মানুষের মন যত পরিষ্কার, তাদের পরিবেশও তত পরিষ্কার । অবশ্য এই সূত্রকে সত্য ধরা হলে এটা মেনে নিতেই হবে, হিঁদুদের চেয়ে খ্রিস্টানরা অনেক বেশি ভালো মনের অধিকারী । ত্রিপুরায় দেখেছি একই গ্রামের হিঁদুদের এলাকা কত নোংরা এবং খ্রিস্টানদের এলাকা কত বেশি পরিচ্ছন্ন ।
শিলচর ভাষা শহীদদের শহর । শিলচরের আনাচে কারা যেন শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে স্থাপন করেছেন স্তম্ভ । খুব খুশি হতাম দেখে । কিন্তু কেন হতাম তা আদৌ জানিনা, শহীদ বেদি স্থাপন করাটা হচ্ছে লোকদেখানো, এছাড়া আর কিছুনা । কই, কলেজের ৯৯% সহপাঠীতো বাংলা পড়তে ও লিখতে জানেনা ঠিকঠাক ।
কিছুদিন আগে বিকেলে হাঁটতে বেরিয়েছি, চা খাব । রামানুজ কলেজের ওদিকটায় হাঁটছিলাম, হঠাৎ চোখে পড়লো একজন ভদ্রলোক রাজকীয় কায়দায় বৈকালিক আলাপচারীটা সারছেন । তিনি সুঠাম পাছা রেখে বসে আছেন শহীদবেদীর উপর । অত্যন্ত ঘৃণা জন্মাল । ইহাই কি তবে শহর শিলচরের প্রকৃত রূপ, নাকি শহরের লজ্জা মাত্র ?



কোন মন্তব্য নেই: