“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

বিযুক্ত

(C) Image:ছবি












।।      রফিক উদ্দিন লস্কর     ।।


কালের হুজুগে পড়ে
একা একা নিজের গল্প করি নিজের সাথে
তারপর একগাল হাসি...
আমি কে? অনেক বড়ো, এই তো!
পৃথিবীর আলো হাওয়ায় আমার উত্তরণ।
  
মনে হয় আমি মঙ্গল গ্রহের ভিন্ন কেউ
পুরানো সিন্দুকের চাবি আমার হাতে,
রত্ন ভাণ্ডারের আমি মালিক।
ওরা অমানুষ বটে! তবু ও এক পাতে খাই
কারণ বেশি খুঁজিনা, সময়ের কথা।
আমি করি শব্দের আন্দোলন...
 
তোলপাড় করে দেবো অশান্ত এ বিশ্বকে।
   
আসলেই আমি পারি,
 
দু-চার দশকের ইতিহাস
  বিদগ্ধ বলতে হবে।   
এখন শুনতে পাইনা পায়রার গোঙানি।
 
তুলো এঁটে দিয়েছে দু'কানে...
আমি চাই, চাই, জোর চাই, আরও আর
একদিন এ বিশ্বে আমার নামে হবে স্তুতি।
 
তা কি আদৌ সম্ভব!?
 
সেটা ভাবার সময় নেই আমার কাছে।
আছে শুধু মাটি কাঁপানো কয়েকটা বাক্য
গিজগিজ করে তা দিয়ে চষে বেড়াই।
 
=====
নিতাইনগর, হাইলাকান্দি (আসাম)
        

কোন মন্তব্য নেই: