“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১৮

তিনসুকিয়ায় ‘উজান’-এর ভাষা শহিদ দিবস পালন


।। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।।  
       ত ১৯শে মেসন্ধ্যায় স্থানীয় ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড প্রেক্ষাগৃহে এক অনাড়ম্বর, ছিমছাম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভাষা শহিদ দিবস পালন করল তিনসুকিয়ার উজান সাহিত্য গোষ্ঠী। প্রদীপ প্রজ্বলন তথা অস্থায়ী শহিদ বেদী ও ১১ শহিদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে শুভারম্ভ হয় এদিনের ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানের। এরপর সমবেত উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন উজান’-এর শিল্পীবৃন্দ।
সমবেত সঙ্গীতের পর উজান সাহিত্য গোষ্ঠীর সভাপতি সুজয় কুমার রায় তাঁর নাতিদীর্ঘ ভাষণে বর্তমান অস্থির সময়ে শহিদ দিবস পালনের যাথার্থ্য বর্ণনা করেন। সম্পাদক ভানুভূষণ দাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর মঞ্চে বক্তৃতা প্রদান করেন এদিনের আমন্ত্রিত বক্তা- তিনসুকিয়া মহিলা মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রবক্তা হিমাংশু বিশ্বাস। শ্রী বিশ্বাস তাঁর বক্তব্যে ১৯শে মের তাৎপর্য সহ হাল আমলে ভাষার আগ্রাসন তথা ভাষার বিপন্ন অস্তিত্বের বিশদ ব্যাখ্যা সাবলীল ভাবে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে একটি স্বহস্তে লিখা রচনা পাঠ করে শোনান ১৯৬১র ভাষা আন্দোলনের জীবন্ত প্রত্যক্ষদর্শী নীহারিকা দেবী। অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় তিনি স্মৃতিচারণা করেন সেই অভিশপ্ত দিনটির কথা।
এদিনের অনুষ্ঠানে একটি করে প্রাসঙ্গিক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জিনিয়া চন্দ, দিশানী সরকার, বর্ণালি চৌধুরী, অচিন্ত্য দেব, মিতালি মালাকার, জীবনকৃষ্ণ সরকার ও ডঃ তুহিনা ভট্টাচার্য। তবলা সঙ্গতে ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, হিমাংশু বিশ্বাস ও সুশান্ত চক্রবর্তী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন নমিতা ঘোষ, মুনমুন চৌধুরী ও বনশ্রী দত্ত একটি স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
সব শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অনুষ্ঠান সঞ্চালক ত্রিদিব দত্ত।


- - - - - - - - - - - - - - - - -

 

 

 










কোন মন্তব্য নেই: